চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে ডিও লেটার (আধাসরকারি পত্র) দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ৩ আগস্ট এ পত্রটি দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের পথ সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। শীঘ্রই এর অনুমোদন মিলবে বলেও আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুধী সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে স্মারকলিপি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
অর্থ উপদেষ্টা তার দেওয়া পত্রে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন জনপদ। এ জেলায় রয়েছে নয়টি উপজেলা এবং জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৮ জন। অতি প্রাচীন কাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, কারুশিল্প, কুটিরশিল্প, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশে সুপরিচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ফলে জেলার দরিদ্র ও অসহায় জনসাধারণ বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। জেলা সদরে স্থাপিত সদর হাসপাতালে ডাক্তার স্বল্পতাসহ আধুনিক চিকিৎসার তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। এলাকার জনসাধারণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকা শহরে আসতে হয়। কিন্তু দরিদ্র জনসাধারণ বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে দরিদ্র জনসাধারণ বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী উপজেলা সমূহের জনসাধারণ নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
অর্থ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবস্থান ঢাকা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। জেলার ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয়প্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর অবস্থিত। সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য গুরুতর রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা শহর ছাড়া নিকটবর্তী কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে যাতায়াত খরচসহ ঢাকা শহরে অবস্থান করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা দুরূহ।
তিনি আরো লিখেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দ্বিতীয়। এ জেলা থেকে লাখ লাখ দক্ষ, অদক্ষ এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি করছে। তাদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশ সরকারের আমদানি ব্যয় অনেকাংশে মিটানো হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম তিতাস গ্যাসফিল্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং আমদানি বিকল্প দেশীয় গ্যাস উৎপাদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদান রেখেছে। বর্ণিত অবস্থায়, উপযুক্ত তথ্যাদির গুরুত্ব এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৌশলগত অবস্থান, ঘন জনবসতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান ইত্যাদি বিষয়াদি সক্রিয় ভাবে বিবেচনা পূর্বক ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সর্নিবন্ধ অনুরোধ জানানো হয়। এ সংক্রান্ত পত্রটি শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, আমাদের জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি, প্রাণের দাবি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে অর্থ উপদেষ্টার দেওয়া পত্রের বিষয়টি জেনে ভালো লাগলো। অতি দ্রুত এর বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাবো।
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনেতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনে আমরা কাজ করছি। অর্থ উপদেষ্টার চিঠির বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনো ভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।
ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খবরটি জানার সাথে সাথে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।
নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সাথে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার তার জায়গায় কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।
এ সময় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়া হস্তশিল্প ও দেশীয় পণ্য উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড কর্তৃক মাসব্যাপী ‘ব্লক, হ্যান্ড পেইন্ট ও গহনা তৈরি’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে পৌরশহরে সমিতির কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
নারী উদ্যোক্তা সংগঠন চকরিয়া হস্তশিল্প ও দেশীয় পণ্য উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শারমিন জন্নাত ফেন্সির সভাপতিত্বে ও সম্পাদক ইসরাত হোসাইন এলির সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি সাংবাদিক আবুল মনসুর মো. মহসিন, পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক রাজিফুল মোস্তফা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও সংগঠনের উপদেষ্টা সেলিম রেজা, সহসভাপতি আসমাউল হোসনা লাভলী, কোষাধ্যক্ষ ফারজানা শিরিন জাহান, নির্বাহী সদস্য শামীমা ফেরদাউসী ও খাদিজা ইসলাম লোপাসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বাড়িতে পানি নিয়ে সংঘর্ষে বর-কনেসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনিবাজার এলাকার সরকার বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, চর রুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনিবাজার এলাকার সরকার বাড়ির হুমায়ুন কবিরের মেয়ে রুমা আক্তার সাথে একই ইউনিয়নের চর রুহিতা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির দিন মোহাম্মদের ছেলের সঙ্গে দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয়। শুক্রবার বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে যায়। ১৩০ জন বরযাত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও কনে পক্ষের দাবি তারা আরও বেশি অতিথি যান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বরের দুলাভাই নাসির পানি চাইলে সেটি দিতে দেরি হওয়ায় বর পক্ষের লোকজন চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এনিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বর কামাল হোসেন, কনে রুমা আক্তার, বরের ভগ্নিপতি জহির হোসেন, কনের নানা আনায়ারুল্লাহ, মামা খোরশেদ, মামা স্বপন, প্রতীবেশি রাসেল, ইমন, বরের আত্মীয় রাসেল ও পারভীনসহ দুই পক্ষের দশজন আহত হয়। এদের মধ্যে রাসেল, জহির, পারভীন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস স্থানীয় জন প্রতিনিধির।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য হুমকি। আশা করি শীঘ্রই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে। প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি প্যানেল ডিসকাশন শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্বমানের করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গত সাড়ে ১৪ বছরে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আট হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সেসময় সবমিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এজন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি।