মোহাম্মদ ইসমাইল, আখাউড়া :
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মুখে কালো ব্যাজ বেঁধে আখাউড়ায় মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রিপোর্টার্স ইউনিটি যৌথভাবে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন লিটন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কাজী মফিকুল ইসলাম সহিন (বাংলাদেশ গার্ডিয়ান) জালাল হোসেন মামুন (দৈনিক দেশ রূপান্তর), রুবেল আহমেদ (দৈনিক কালবেলা), মোশাররফ হোসেন কবির (মোহনা টিভি) নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), সাদ্দাম হোসেন (আর টিভি) ও অমিত হাসান অপু (দৈনিক নবচেতনা) প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা শুধু ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা নয়-এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত। সাংবাদিককে হত্যা করা মানে সত্যকে হত্যা করা। সুতরাং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সমাজে দুর্নীতি, অন্যায় ও অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝুঁকি নেন-প্রভাবশালী মহলের হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা প্রাণনাশের ভয় নিয়েই তারা সংবাদের জন্য কাজ করেন। সুতরাং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন করেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৭০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, পৌর এলাকার কালভৈরব, কারখানাঘাট- আনন্দবাজার, বর্ডার বাজার, দক্ষিণ পৈরতলা শেখ জালাল মাজার গেইট ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোন রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এসময় ট্যাগ অফিসার মোঃ বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনীর মৃত রহমান দেওয়ানের মেয়ে টুম্পা খাতুন, বেলাল হোসেনের মেয়ে পাপিয়া খাতুন ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে রিয়া খান।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টাকালে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধীনস্থ আখাউড়ার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/৬-এস থেকে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর থেকে ওই ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের আয়েত আলী মিয়ার ছেলে মানব পাচারকারী দালাল মো. আবুল বাদশা এই ৩ নারীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রেরণের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট এলাকার মানব পাচারকারী দালাল অহিদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার মাধ্যমে কাজের উদ্দেশ্যে তারা ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ শনিবার নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দিবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে এবং একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় গণপূর্তমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন রক তারকা জেমস ও আইনমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আঁখি আলমগীর।
এদিকে দুই মন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি তোরণ নির্মাণ ও অসংখ্য ব্যানার- পোস্টার সাঁটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মহান স্বাধীনতার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪-(কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নতুন সরকারের এই দুই মন্ত্রী শনিবার নিজ নিজ এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। শনিবারের দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তবে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমসের আগমনের বিষয়টি ব্যাপক হারে প্রচাল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ায় চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মোকতাদির চৌধুরী এমপির গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মঈন উদ্দিন এমপি, ব্র্র্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ফয়জুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে সংবর্ধণা জানাবেন। এরপর সন্ধ্যায় রক তারকা ব্যান্ড নগরবাউলের জেমস, ব্যান্ড আবাস ও সঙ্গীত শিল্পি লায়লা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী জানান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে এবারই প্রথম কাউকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা শতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে। তিনজন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে শনিবার একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের মাঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গণসংবর্ধণা দেয়া হবে। উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে এলাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬- (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন আঁখি আলমগীর পুলক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে সংবর্ধনার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো আখাউড়া শহরসহ উপজেলায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কালিয়া উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা, দেশীয় তৈরি অস্ত্র রামদা, জিআই পাইপ, নগদ টাকা ও ৭টি মোবাইলসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
৯ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের চোরখালী ও খাশিয়াল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, চোরখালী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল মোল্লা (৩০), খাসিয়াল গ্রামের জমির উদ্দিন এর ছেলে আকবর উদ্দিন, হাসমত বিশ্বাস (৩০), হাসমত বিশ্বাসের ছেলে নাঈম বিশ্বাস (২০), হাসমত বিশ্বাসের স্ত্রী বিনা বেগম, ও পুঠিমারী গ্রামের আকাশ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাসিয়াল -জয়নগর এলাকায় নিয়মিত টহল চলাকালে পুটিমারী বাজারের পাশে একটি স্কুলের ফ্যান চুরি করার সময় আকাশ নামের একজন চোরকে গ্রামবাসী ধরে হস্তান্তর করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ জানায় চুরি করা টাকা দিয়ে সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে মাদক ব্যবসায়ী আকবরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৩ পিস ইয়াবা, ৮০ গ্রাম গাঁজা ও চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ ৩৩,২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আকবর জানায়, রফিকুল নামে এক ডিলারের কাছ থেকে সে এই সকল মাদক সংগ্রহ করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আকবর ও তার স্ত্রী এবং ২ সহযোগীকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী চোরখালীতে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা এবং ২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, কালিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে ৬ জন আসামি নড়াগাতী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে নড়াগাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাঁদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিশ্বজিৎ পাল নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া তার স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশুকে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। এ সময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি হিসেবে ৪০০ টাকা চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। একপর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা আশিষ সাহা নামের আরও একজনের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। পরে ফি না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুমন ভূঁইয়া ২০-২৫ জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। এ সময় সুমনের নেতৃত্বে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা আক্তারকে জোর করে তুলে নিতে গেলে বিশ্বজিৎ পাল বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনের নেতৃত্বে তার লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পালকে (২৮) তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
হামলায় বিশ্বজিৎ পাল মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ৮টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে (সালমা আক্তার) তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দিলে তারা আমাকে ‘তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া’ বলে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। পরে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।