চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অধীতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ASSET) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ১৬ আগস্ট হতে ১৫ নভেম্বর সেশনে ৩ মাস মেয়াদী ৫ টি কোর্সে ভর্তিতে আগ্রহী বেড়েছে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার উপজেলার এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক পরিক্ষা গ্রহণ করেন কর্তপক্ষ।
টিটিসিতে কর্মরত প্রশিক্ষণ শাখার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ৩ মাস পর পর কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, সিভিল কন্সট্রাকশন (মেশন) ও মোটর ড্রাইভিং এর আওতায় ২৪ জন করে মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী তে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকে দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ায় ভর্তিতে আগ্রহী হয়ে মোহনপুর সহ আশে পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে এবার ভর্তি ফরম উত্তোলন করেছে ৬২৮ জন।
প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মোহনপুরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক সংগ্লন্ন আমাদের টিটিসি তে প্রশিক্ষকরা অত্যত্ত গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করায় আমরা উপকৃত হচ্ছি। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে এসে কঠোর ভাবে তদারকি করার কারণে এখানকার সকল কোর্সের মান উন্নত হচ্ছে। তাই আজ এতো বেশি শির্ক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। আগামীতে এখানে প্রকল্প বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন কোর্স আসবে ও আগামীতে বেকারত্ব কমবে বলে আমরা আশাবাদী।
মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা কোন ত্রুটি করিনা, অনেকেই এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপকৃত হয়।
তাই এবার আগের তুলনায় অনেকে এখানে ভর্তিতে আগ্রাহ প্রকাশ করেছে। এবার যাদের হবেনা তারা আবার ৩ মাস পর ভর্তির আবেদন করে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা দেশ-বিদেশ প্রকল্পের আওতায় আরো ৪০ জন কে ৩ মাসের মোটর ডাইভিং কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করাচ্ছি। আগামীতে আমরা চেষ্টা করছি যেন অন্যান্য প্রকল্প আওয়ায় আমাদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারি।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমারখালীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে কুমারখালী পৌর শিশুপার্কের সবুজ চত্বরে নাট্য উৎসবের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উদ্বোধন শেষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আলী প্রমুখ।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুখের নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তারুণ্যের উৎসব এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধায় নাটক “রক্ত গন্ধা জুলাই” মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শুরু হবে নাট্যোৎসব। এদিন রাতেই মঞ্চায়িত হবে সামাজিক নাটক”এ পৃথিবী টাকার গোলাম”। এছাড়াও দ্বিতীয় দিন বুধবার একই মঞ্চে ঐতিহাসিক নাটক: “কোহিনূর” মঞ্চায়িত হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে: “সুখের সংসার” নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ নাট্য উৎসব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিলেটের রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে জনতার হাতে ধরা পড়া ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটকের পর আটজনকে ১০ লাখ টাকা কাবিন ধার্য্য করে বিয়ে দিলেন এলাকাবাসী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক অপর আটজনকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা ঘটে ১৯ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকায় অবস্থিত রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে।
জনতার হাতে আটকের পর তরুণ-তরুণীরা জানায়, তাদের কারো বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। রবিবার দুপুরে জনতা রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা এসময় তাদের অভিভাবকদের খবর দেন। পরে কথিত প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক আটজন ছেলে-মেয়েকে প্রকাশ্যে কাজী ডেকে অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক আট তরুণ-তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়। বিয়ে পড়াতে কাবিনে ১০ লাখ টাকা করে ধার্য করেন জনতা। এছাড়া কাজির বিয়ে পড়ানোর টাকাও জনতা চাঁদা তুলে পরিশোধ করেন।
এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুলও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি জানান, মালিক পক্ষের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, গ্রামের ভেতরে করা রিসোর্টটিতে বিশ্রামাগারে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের অসামাজিক কার্যকলাপ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এছাড়া এখানে কোনো পর্যটক আসেন না। এ কারণে গ্রামের তরুণ সমাজের ওপরে প্রভাব পড়ছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে ভাড়া করা কক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় আটক করেন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পার্কটি বন্ধ ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে এসএমপির মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে অসহায় ছিলেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টটির মালিক সিলেট নগরের কুমারপাড়ার মো. মঞ্জু চৌধুরী। তিনি বলেন, পার্কটি নগরের ঝর্ণারপাড়ের হেলাল উদ্দিনকে চুক্তিতে ১০ বছরের জন্য ভাড়া দেন। ভাড়ার মেয়াদও শেষ হয়েছে। তবে হেলাল উদ্দিন চুক্তিবদ্ধ হলেও নেপথ্যে থেকে প্রবাসী মিসবাহ উদ্দিন রুপন পরিচালনা করেন। এদিন ঘটনার পর পুলিশের তরফ থেকে রিসোর্টের মালিক মো. মঞ্জু চৌধুরীকে তলব করা হলে রাতে তিনি ভাড়ার বিভিন্ন কাগজাদি নিয়ে থানায় গিয়ে দেখা করেন।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় জনতা ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে অভিভাবকদের খবর দেন। তাদের সম্মতিতে আটজনকে বিয়ে দেওয়া হয়। অপর আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু জনতার রোষানলে পুলিশ কোনো কিছু করতে পারেনি।
সিলেটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও সেখানে ১৬ জন তরুণ-তরুণীকে আটকের বিষয়টি জানতে পারে। পরে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তক্রমে অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়। যদিও বিষয়টি থানায় নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় করা যেত। এরপরও জোরপূর্বক কেউ কিছু করার অভিযোগ করলে পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে আজ ৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা সদরের পৌর মুক্তমঞ্চে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
নিহত সুজন ফকির কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউয়িনের জাজিজার গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত ঘাতক শাওন তার আপন চাচাতো ভাই। তিনি লিটন মিয়ার ছেলে। সুজন ফকিরের দুই সন্তানের জনক ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী অন্তস্বত্ত্বা।
মুক্তমঞ্চ এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা খোকন ফকির, মা আবেদা বেগম, স্ত্রী আকলিমা আক্তার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভীর শাহিন, উপজেলা যুব জামায়াতের সদস্য সচিব মো. শরীফ প্রমুখ।
বক্তারা, সুজন হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার করে শাওনের ফাঁসির দাবি করেছেন এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে আপন চাচাত ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির খুন হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে বাড়ির আঙিনায় ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সুজন ও শাওনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাওন ধারালো ছুরি দিয়ে সুজনকে উর্পর্যুপরি আঘাত করে। এতে সুজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা খোকন ফকির বাদী হয়ে শাওনকে প্রধান আসামী করে সাতজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।