চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিলেট থেকে আসা ইরফান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বিকেলে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ২৫ জন যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পৌষের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ঝেঁকে বসেছে শীত। প্রকোপ শীত বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে দিন মজুর। এছাড়াও চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে ভিড়। অনেকে খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে তাপে শরীর গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতেছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাশের আদ্রতা ছিলো ৯৩। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে শহর থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এক দিন পর আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাপের তেমন প্রখড়তা ছিলো না। প্রকোপ শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আবার অনেক দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চায়ের দোকানেও অনেকেই আড্ডা জমিয়েছে। ফাঁকা জায়গায় অনেককেই ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিকশা চালকা আবেদ আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার শীত থাকায় শহরে লোকজন কম বের হয়েছে। এতে প্রায় ৪০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
এলজিইডি মোড় এলাকার দিন মজুর জুব্বার মিয়া বলেন, এখন একটু কাজ কম। তারপর শীতের কারনে কাজ আরও কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছে।
সদর উপজেলা গালা গ্রামের উজ্জল মিয়া বলেন, শীত মানেই গ্রামে পিঠার উৎসব চলে বেশির ভাগ বাড়িতে। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মতো হচ্ছে। শীতে কষ্টের পাশাপাশি সকলে মিলে আনন্দে উৎসবে কাটানো যায়।
অপর জন রাসেল মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়িতে চাল গুড়া করার ঢেকি ছিলো। তখন দেখতাম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুড়া করতে গ্রামের অনেকেই সিরিয়াল দিয়েছে। শীতে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল হতে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতালের সামনে ৩২০ জন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় ৬৮ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ টাকা করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাজে বিতরণ করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিল শাপলা জলমহাল ইজারা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার জেলেরা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাসিরনগরের জেলেরা বলছেন, বংশ পরম্পরায় ওই বিলে মাছ ধরে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারাও নেন। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে সরাইলের জেলেরা বিলটি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা নাসিরনগরের জেলেদের মাছ ধরতে বাধা ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপরদিকে সরাইলের জেলেদের ভাষ্য, তাঁরা মিলেমিশে বিলে মাছ ধরতে চান।
৩৯৬ দশমিক ৬৫ একরের বিল শাপলা জলমহালটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের পূর্ব পাশে। কাছেই তিতাস নদী। জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত জেলে ৫৩৮ জন। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত আরও প্রায় ৭০০ জেলে এখানে মাছ ধরেন। সব মিলিয়ে ১২০০ জেলে পরিবারের সদস্য প্রায় ১০ হাজার। তাঁরা সবাই বিলের ওপর নির্ভরশীল। বিলের দক্ষিণে সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর গ্রাম। শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধিত সদস্য ৪৯।
জেঠাগ্রামের প্রবীণ জেলে মিলন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বাপের জন্ম এই বিলের পাড়ে। আমার জন্মও। ছেলেমেয়েও জন্ম নিছে এ বিলের পাড়েই। আমরার আগের পুরুষ বিলের পাড় থাইক্যা মাছ ধরত।’ নিজেদের কোনো জমিজমা না থাকায় বিলের মাছ আর পরের জমিতে শ্রম বিক্রি করেই জীবন পার করছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিল না পাই, মাছ ধরতাম না পারি, তইলে বাল-বাচ্চা (ছেলেমেয়ে) লইয়া না খাইয়া মরণ লাগব।’
তাঁর মতো এমন হাজারো জেলের আশঙ্কা–এবার না বিলের ইজারা সরাইলের শাহজাদাপুরের জেলেরা নিয়ে যান! এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জলমহালটি ছয় বছরের (১৪৩০-১৪৩৫ বঙ্গাব্দ) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ জন্য আবেদন করে শাহাজাদাপুর গ্রামের তিতাস মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে–এমন আশঙ্কায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি। তাই তিতাস সমিতির আবেদন বাতিলে সিদ্ধান্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সই করা চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। পরে জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে নতুন করে ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে আগ্রহী হয়ে তদবির শুরু করে শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
নাসিরনগরের জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা জানান, ১৯৭৭ সালে সমিতি গঠনের পর থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে তাঁরাই বিলটি ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি শাহাজাদাপুরের জেলেরা তা ইজারা নিতে চাইছেন। নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৪(চ) অনুযায়ী স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন, নিকটবর্তী বা তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এ হিসেবে জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির এ অধিকার বেশি।
জেঠাগ্রামের জেলে হিরামন দাস বলেন, ‘বিলে মাছ ধরনের লাইগ্যা নতুন জাল, নৌকা কিনা হয়ছে এনজিও থেইক্যা (ঋণ নিয়ে)। এই গেরামের কয়েক হাজার মানুষ কোটি টাকা ঋণ নিছে।’ এভাবে ঋণ নিয়ে মাছ ধরে তা শোধ করেন জানিয়ে হিরামন বলেন, ‘আমরার এলাকার বিল যদি সরাইলের মানুষরে দিয়া দেয় তাইলে ঋণ শোধ করতে বসতঘরটাও বেইচ্যা দিয়ন লাগব।’
জেলে নয়ন দাসের ভাষ্য, ‘আমরার লোকজন বিলে গেলেই সরাইলের লোকজন মাইরধর করে। এহন হুনতাছি সরাইলের লোকেরা নাকি বিল লইয়া যাইব। এই বিলের লগে আমরার রক্ত মিশ্যা আছে। জান থাকতে বিল কেউরে নিতে দিমু না।’
জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ইজারা বিষয়ে শুনানির জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। সরাইলের জেলেদের সঙ্গে মিলেমিশে মাছ ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, জলমহালের ইজারা সরাইলের জেলেদের পাইয়ে দিতে তদবির করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সরাইলের শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, ‘কাগজেপত্রে বিলের মৌজা নাসিরনগরের। মিলেমিশেই বিলের মাছ ধরতে চাই। আমরাও জেলে পরিবার। কিন্তু ওই এলাকার জেলেরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কথা বলিনি। বিলটি নাসিরনগরের, এটা সবাই জানে। সরাইল ও নাসিরনগরের প্রকৃত জেলেরা যেন মিলেমিশে মাছ ধরতে পারে–সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’ বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র ঘেঁটে বিলটি দীর্ঘদিন ধরে নাসিরনগরের জেলেরাই ইজারা নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার। ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী ও তীরবর্তী হিসেবে নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামই আসে।
বিল ইজারা দিতে রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী যাঁরাই উপযুক্ত, তাঁরাই এ বিল (ইজারা) পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক ‘বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি, সততা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আজ ১৯ মে সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা, রচনা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। লটারীর মাধ্যমে বিতর্কের বিষয় ও পক্ষ/ বিপক্ষ নির্ধারণ করা হয়। বিতর্কে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে বিভিন্ন শ্রেণির ২৫ জন শিক্ষার্থী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা’ বিষয়ক রচনা প্রতিযেগিতায় প্রথম হয়েছে অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় হোসনে আরা আফজাল উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আইয়ুব খান। বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ ও সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান।
প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজয়ীরা। প্রধান অতিথি বলেন, বিতর্ক শুনে বুঝতে পেরেছি সরাইলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এই শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক প্রতিভা রয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিরোধ করে এরাই পারবে সরাইলকে এগিয়ে নিতে। এই জনপদের মানুষ খুবই সহজ সরল ও ভালো। প্রত্যেকটি স্তরের লোকজন আমাকে সকল কাজে সহযোগিতা করছেন। আমি এখানে অনেক সাবলিল ভাবে কাজ করছি। সরাইলকে এগিয়ে নিতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সরাইল উপজেলা এলজিইডির অধীনে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ৩ এর মহিলা কর্মীদের মাঝে জরুরী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় এলজিউডির প্রধান প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রামের অতিদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠী কে কর্মসংস্থান এর আওতায় আনা এবং তাদের মাধ্যমে গ্রামের রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো আবদুল মান্নান এর কর্মতৎপরতায় আজকে সরাইল উপজেলার ৯০ জন নারী উপকার ভোগীর মাঝে পিপিই, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহ ফাষ্ট এইড বক্স, মাটি কাটার ঝুড়ি, কোদাল, দা, দুরমুজ, কাজের সময়ে পানি খাওয়ার কলস বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন বর্তমানে যে প্রকল্প চলছে তা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে হবে। তাহলেই রাস্তা টেকসই হবে এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দশ জন করে অতিদরিদ্র মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্রতা দূর করছেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মো: আবদুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী, মো: এসকান্দর আলী উপজেলা সার্ভেয়ার সহ এলজিইডি সরাইল উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. শাহানাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে তাকে বারপাড়া ইউনিয়নের তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে সুলতান মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। দীর্ঘ ১১ মাস পর এ বছর জুন মাসের ২৬ তারিখে তার স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে ৩৩ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ২৯ নম্বর আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট গৌরীপুর বাজারে সুলতান মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ মামলার ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে তাকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসা. শাহানাজকে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।