অনলাইন ডেস্ক :
‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খাবার তৈরির কাজে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহারকৃত লাল রং খাবারের সাথে মিশিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের আলিপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত ওই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে ‘কাচ্চি ভাই’ নামক খাবারের রেস্টুরেন্টে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহৃত লাল রং খাবারের সাথে মিশিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইনে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান বলেন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, খাবার তৈরির কাজে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও কাপড়ে ব্যবহারকৃত রং খাবারের সাথে মিশিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। এসব অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইনে রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিহ্নিত নারী মাদক কারবারি পলি বেগম (২৮) ও তার ভাই বোনসহ ৫ মাদক কারবারীকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে গোপন সংবাদে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃতদের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজিগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প এবং হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উপজেলার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী কাজী আহমেদ শরীফ (৩৫), আইয়ূব ভূঁইয়া (৪৫), খোরশেদ আলম (৩৮), মানিক কাজীর মেয়ে পলি বেগম (২৮) ও নাজিয়া আক্তার কাঁকন (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও তাদের বাড়ি হতে ৩শ” ৯০ পিসইয়াবা, ২শ” গ্রাম গাঁজা, নগদ ৪১ হাজার টাকা এবং ৩ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক জানান, এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতেরা হলেন- সিএনজিচালক আব্দুর রাজ্জাক, যাত্রী এনাম ফকির, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল করিম আলাল ও আলম মিয়া মিলিটারি।
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজির সাথে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজি চালকসহ চারজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাকি দুইজনকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করতে পারেনি কেউ। সংঘর্ষের পর পরই ট্রাক চলে যায়।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ট্রাক ও সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহের তথ্য রয়েছে। সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন কম্বাইন্ড পেট্রোল’। এই অপারেশনের অংশ হিসেবে রংপুর মহানগর তাজহাট থানা এলাকা থেকে রাতে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ। এছাড়াও ডেভিল হান্ট অপারেশন ও নিয়মিত অপারেশনে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পেজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেফতার ২ ছিনতাইকারীরা হলেন-নগরীর বাবুপাড়া সাজাপুর এলাকার মোহাম্মদ নান্নু মিয়ার ছেলে চান মিয়া (২২) ও আনসারী মোড় নোঙ্গরখানা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মাহিম (২০)।
এদিকে, রংপুর মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা এবং চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধকল্পে রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হয়। এসময় সন্দেহভাজন হলে বাইকার ও অন্যান্য গভীর রাতে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ‘অপারেশন কম্বাইন্ড পেট্রোল’ এর আওতায় সারারাত চেকপোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নগরীর অলি-গলি টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বাইক পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদী বন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবারও চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদীপথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।