অনলাইন ডেস্ক :
খুলনার পাইকগাছায় মোবাইলে চার্জ দিতে গিয়ে রাব্বি (১২) নামে এক শিশু মোবাইল বিস্ফোরণে মারাত্মক আহত হয়েছে। সে পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী এলাকার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ গাজীর ছেলে। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার সকালে সে মোবাইলে চার্জ দিতে যায়। চার্জার বিদ্যুতের সুয়েজ বোর্ডে লাগানোর সময় নেগেটিভ ও পজিটিভ এক হয়ে গেলে মোবাইলটি বিস্ফোরিত হয়। যা তার চোখ, মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লেগে আহত হয়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাড়ুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদারের ছেলে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি মোবাইলের একটা পুরনো ব্যাটারি ভ্যানের ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করে। একদিকে নষ্ট ব্যাটারি অন্যদিকে ভ্যানের ব্যাটারি। এতে চার্জ না হওয়ায় সে বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ দিলে নেগেটিভ ও পজিটিভ এক হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির সময় পানি জমে থাকা ডোবায় ফুটবল খেলতে গিয়ে মারা গেছে জীবন কুমার (১২) নামে এক শিশু। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত জীবন যশোরের ঝিকরগাছা গ্রামের বিকাশ কুমারের ছেলে। সে দু’দিন আগে আইলহাস গ্রামে তার মাসির বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত জীবনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যে আলমডাঙ্গার আইলহাস গ্রামের একটি ডোবায় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলছিল কয়েকজন শিশু। খেলতে খেলতে পানিতে তলিয়ে যায় জীবন। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইলহাস গ্রামের এক যুবক জানান, খেলার সময় কেউ একটি ইটের টুকরো ছুড়ে মেরেছিল। সেই ইট জীবনের মাথায় লাগে। এতেই সে পানিতে পড়ে যায়। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, জীবনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মৃত্যুর কারণ মাথার আঘাত না পানিতে ডুবে, তা নিশ্চিত করার জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ৫ মে সোমবার ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা আদালতে হাজির করা হয়নি কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে জেলখানা থেকে সংযুক্ত করা হয়।
জানা যায়, চিন্ময়কাণ্ডে কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া চারটি মামলার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুনের একটি এবং পুলিশের কাজে বাধাদান, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আরও তিনটি মামলা রয়েছে। হত্যা মামলার শুনানি সোমবার ভার্চুয়াল আদালতে হয়। বাকি তিনটির শুনানি মঙ্গলবার একইভাবে হবে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তী সময়ে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাওয়াতে দই টক হওয়াকে কেন্দ্র করে কনে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আজ ১৭ মে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে এমন ঘটনা ঘটে।
বাধা দিতে এসে হামলার শিকার হন কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারের সত্তাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব, সোহেল, পরান, মাজেদ, শাহাদাত, ইউনুস ও রাসেলসহ ২০ জন। পরে অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিরা জানান, সদর উপজেলার শাহ্পুর এলাকার খোকন মিয়ার মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে একই উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের জাফর চৌধুরীর ছেলে আল আমিনের বিয়ে উপলক্ষে দুপুরে কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে দু’পক্ষের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ে শেষ হলে খাওয়ার পর্বে দই টক হয়েছে বলে কনে পক্ষের অতিথিরা অভিযোগ তোলেন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটির সত্তাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব এগিয়ে এলে কনে পক্ষের লোকজনও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে প্রতিষ্ঠানের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অতর্কিত হামলা ও হুড়োহুড়িতে নারী-পুরুষসহ ২০ জন আহত হয়। পরে তাদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার পরপরই দ্রুত রেস্টুরেন্ট ছেড়ে যায় কনে ও বর পক্ষের অতিথিরা।
আহত রাকিবুজ্জামান রাকিব জানান, বিয়ের প্রথম পর্ব শেষে খাওয়ার সময় দই টক হয়েছে এমন অভিযোগে উত্তেজিত হয়ে পড়েন লোকজন। এসময় তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে কনে পক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা শুরু করে। তাদের হামলায় তিনিসহ প্রতিষ্ঠানের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। রাকিব জানান, হামলায় তার মাথা ফেটে যায়। হামলাকারিরা সেখানে থাকা কাচের প্লেট ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কনের বাবা খোকন ও বর আল আমিন এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশে অনাগ্রহ জানিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ্ উদ্দিন জানান, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির চিঠির প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো এখন দিকদ্বিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা ভেবেছিল দেশে নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হলেও জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে বিএনপির সমর্থকরাও যোগ দিয়েছে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র (পিআইবি) গবেষক পপি দেবী থাপা গ্রন্থিত ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই পেট্রোলবোমা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, মা ও শিশুকে এক সাথে হত্যা করে, ট্রেন লাইন কেটে, ট্রেনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, গাড়িতে, বাসে মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে নির্বাচন ভণ্ডল করতে চেয়েছে, পারেনি। না পেরে তারা এখন তাদের সেই পুরনো কায়দা বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখা শুরু করেছে।’
যারা পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, ট্রেন লাইন যারা কেটে ফেলেছিল তারা ধরা পড়েছে, স্বীকার করেছে কে টাকা দিয়েছে, কার নির্দেশে এগুলো করেছে, এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই কাজগুলো ২০১৩-১৪-১৫ সালে করেছে, এখন আবার করছে। এখন আত্মরক্ষার্থে চিঠিপত্র লিখছে।
যাদের কাছে চিঠি লিখছে, তারাও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে, পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে এবং তারা বলছে যে, নির্বাচন যেন সহিংসতামুক্ত হয়। দেশের বিরুদ্ধে বহু চিঠি বিএনপি লিখেছে, এই চিঠিতে কোনো লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী মারা গেলে সেই আসনে নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে তারা এই পরিকল্পনা করেছে।
তবে সন্ত্রাসী দলের মতো এ সব ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ গ্রন্থ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে কত বেদনার, কত সংগ্রামের, সেটি যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের পক্ষে অনুধাবন করা কঠিন। আমরা ১ কোটি শরণার্থীর কথা বলি, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরেও ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছিলো, যাদের ঘরবাড়ি হানাদারেরা জ্বালিয়ে দিয়েছিল, অপরের ঘর-বাড়িতে থাকত।’
বাল্যস্মৃতিচারণ করে হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রান্তে রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের গ্রামটা ছিল শরণার্থী যাওয়া আসার রোড। সেই পথ ধরে মিজোরাম যেতে হলে উঁচু পাহাড় পাড়ি দিতে হতো।
অনেক বাচ্চা ও বয়স্ক যারা পাহাড়ে উঠতে পারত না, তাদের ফেলে অন্যরা চলে যেত -এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।’
গ্রন্থকার, পিআইবির সহ-সম্পাদক আকিল উজ-জামান, গবেষক মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বইমোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।