চলারপথে রিপোর্ট :
‘মাদকমুক্ত আখাউড়া গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রানিং কমিউনিটির আয়োজনে ৫ ও ১০ কিলোমিটার রান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ আগস্ট শুক্রবার সকাল ভোর সাড়ে ৫টায় আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রান শুরু হয়।
দুটি ক্যাটাগরিতে আখাউড়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় তিনশত দৌড়বিদ অংশ নেয়। এর মধ্যে ছোট বালক থেকে বয়স্ক যুবকরাও ছিল। ফিমেল ক্যাটাগরিতে ৫ কিলোমিটার রানে কয়েকজন নারী দৌড়বিদ অংশ নেন। কলেজ মাঠ থেকে দৌড় শুরু হয়ে আনোয়ারপুর রোড ঘুরে কলেজ মাঠে ফিরে এসে ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ হয়। অপরদিকে ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশগ্রহণকারীরা চাঁনপুর খেলার মাঠ পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে। রাস্তার দুপাশে সবুজ গাছপালা, নির্মল বাতাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রানকে আকর্ষনীয় করে তুলে। ৫ কিলোমিটার রানে ১ম হয়েছে নরসিংদীর মারুফ মিয়া এবং ১০ কিলোমিটার রানে ঢাকার পারভেজ পলাশ। পরে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন আয়োজকরা।
এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দৌড় সম্পন্নকারী প্রত্যেককে সুদৃশ্য মেডেল উপহার দেওয়া হয়েছে। দৌড়বিদদের জন্য ছিল পানি, সেলাইন, জুস ও নাস্তার ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে এম্বাসেডর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রভাষক দিলারা আক্তার খান, নরসিংদী রানিং কমিউনিটি আকতারুজ্জামান আক্তার, আখাউড়া কলেজ প্রভাষক অলি আহাদ রতন, আখাউড়া রানিং কমিউনিটি প্রধান উপদেষ্টা কাওসার হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
আয়োজনে সার্বিক সহযেগিতায় ছিলেন আখাউড়া রানিং কমিউনিটি এডমিন ময়নুল আহমেদ, খালেদ শাওন, মো. আশরাফুল, আকরাম হোসেন, রফিকুল হৃদয়, রুবায়েদ খান, ইমাদ খাদেম, মো. রাজু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সি ক্যাটাগরির ১৭ জন জুলাই যোদ্ধার মাঝে ১৭ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
গতকাল ২৮ মে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক বিতরণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া। এ সময় সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল মাহমুদ ভূইয়া, সদর উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আপনারা যে ভূমিকা রেখেছেন এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতেও আপনার রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের এক যোদ্ধা বক্তব্যে রাখতে গিয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের দিনাজপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ ২৪ আগস্ট রবিবার ভোরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হেরিটেজ পরিবহনের একটি রাত্রিকালীন যাত্রীবাহী বাস দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে আসছিল। বাসটি দ্রুতগামী ছিল। ভোরের দিকে ওই মহাসড়কে দিনাজপুরের আমবাড়ী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের জলাশয়ে খাদে পড়ে যায়।
এতে বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৫জন আহত হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কয়েকজন যাত্রী চলে গেলেও ছয় জন আহত যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এসময় যাত্রীরা জানান, বাসের চালক ঘুমন্ত অবস্থায় স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত একজনের নাম পাওয়া গেছে তিনি গণ অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন। আহত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানালেন হাসপাতালে চিকিৎসক।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, ওই বাসে যাত্রী ছিলেন ১৫জন। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ ১৫ জন কমবেশি আহত হলেও কারো গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্ত্রী ও শ্যালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামিউল কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জামতলী এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক সামিউলকে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তার বেহাল দশার কারণে ১ যুগ ধরে হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার ৫০ গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নে কাজীরবাজার থেকে বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি পর্যন্ত রাস্তাটির ভগ্নদশার কারণে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে এখন ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ ২২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বড় ভাকৈর ইউনিয়নের চর সোনাপুর গ্রামে ১০ সহস্রাধিক ছাত্র -জনতা এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কয়েক শ শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাজীরবাজার টু মার্কুলি সড়কটি মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এরকম রাস্তা পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু আমাদের সময় লাগে ৩ ঘন্টা। পুরো রাস্তায় অসংখ্য গর্তের কারণে এইই রাস্তায় যাতায়াত করা আমাদের জন্য আতংকের বিষয়। এবং গত ১ যুগ ধরে আমরা এই অবস্থার মধ্যে রয়েছি। ইউএনও, জেলা প্রশাসক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাসের বাহিরে আমরা সমাধান পাইনি। এখন আমাদের ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে। এখন আমরা ৫০ গ্রামের মানুষ দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের দাবি করছি। যদি দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে মহাসড়ক অবরোধ করবো। এর সাথে দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাদের পাশে থাকবে। এখন আমরা আর আশ্বাসে বিশ্বাস করি না, বাস্তবায়ন চাই।
রিংকু কুমার দাশ ও হিফজুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় বিশাল মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শেফু, গণঅধিকার পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন জীবন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ক্ষেতের শসা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ ১০ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সবশেষ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন জালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (৩২), শাহ আলম (৩৫), রাব্বি মিয়া(১১), আমীর আলী (৩৫), মাসুক মিয়া (৪৫) ও সাহার আলী (১৮)।
সংঘর্ষের পর তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার্ড করা হয়েছে।
তাছাড়া সংঘর্ষে আহত অন্তত ৮১ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীঘর গ্রামে জমিতে শসা চাষ করেছিলেন সরকার বাড়ির বাসিন্দা জুয়েল। গত দুদিন আগে সেই ক্ষেত থেকে শসা খেয়ে ফেলেন গ্রামের বড়বাড়ির মির জালালের ছেলে হৃদয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সবশেষ মঙ্গলবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শসা খাওয়ার ঘটনার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বাড়ি ও বড় বাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে সরাইলে একটি রেস্টুরেন্টে টিস্যু চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।