চলারপথে রিপোর্ট :
১৪ দিন আগের মেয়াদ উর্ত্তীণ পাউরুটি দিয়ে বার্গার, স্যান্ডউইচ, হটডগ তৈরি করে বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে সতর্কতামূলক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২৪ আগস্ট রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মৌলভীপাড়াস্থ সমবায় মার্কেটের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ক্যাফে আল নূর রেস্টুরেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মৌলভীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে মৌলভীপাড়াস্থ সমবায় মার্কেটের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ক্যাফে আল নূর রেস্টুরেন্টে (১০/০৮/২০২৫) ১৪ দিন পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পাউরুটি দিয়ে স্যান্ডউইচ বার্গার হটডগ প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাটিতে সঠিক প্রক্রিয়ায় খাদ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছিল না। এজন্য স্বাস্থ্যকর উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান ও প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ সকল অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম মিয়া (৩০) হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত ইকরামের বাবা মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রায়হানকে (২২) মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি ঢাকার বংশালের সিদ্দিক বাজার এলাকার জিয়াউল করিম জিয়ার ছেলে।
এর আগে মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে রায়হান ইকরাম মিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় ইকরামের বাবা গ্রেফতার রায়হানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর পরই রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাতে ইকরামকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি বলেন, শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় ইকরাম মিয়ার আসা-যাওয়া ছিল। সেখানে রিমোর মামাতো ভাই রায়হান থাকতো। রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিমোর দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে। সে মাদকাসক্ত। রিমোর এক মামার মোটরসাইকেল রায়হান ও ইকরাম মাঝেমাঝে চালাতো।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ইকরাম সেখানে গেলে মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে রায়হানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে রায়হান ইকরামকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সতিন মোচর, দুধপুলি, মিষ্টি কুমড়া, চিড়াপুলি, শুটকী পুলি, দুধ চিতই, ঝাল চিতই, হান্দেশ নামক নকশী, মাংসপুলি, পোয়া, মালপোয়া, ঝালভর্তা, ঝিনুক, চকলেট পাটিসাপটা, পাটিসাপটা, ঝুরি, পাপর, ঝিরমিল, শামুক, ঝাল ও মিষ্টি দুই ধরণের ভাপা, মাছ পিঠা, ফুল পিঠা, ভাপা, মেরা, গোল পিঠা, বউ সুন্দরী, আলু পিঠা প্রভৃতি বাহারী নামের অর্ধ শতাধিক জাতের মুখরোচক লোভনীয় পিঠার সমাহার নিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী পূর্বাঞ্চল সীমান্তের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ইন্ডাষ্ট্রিয়েল স্কুল চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চলছে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪৩০ এবং লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশনা।
স্থানীয় সরকারি মহিলা কলেজ, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, উপজেলা মহিলা উন্নয়ন ফোরাম, সরকারি শিশু পরিবার, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, চাপুইর মহিলা উন্নয়ণ সমিতি, দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, আনোয়ারা পিঠাঘর সহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ষ্টল প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত পিঠা প্রদর্শণ এবং বিক্রয় করছে। গত বুধবার বিকেলে প্রধান অতিথি নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গেটে ফিতা কেটে উৎসব উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে প্রতিদিন ভেন্যু এলাকায় বিপুল সংখ্যক পিঠাপ্রেমী শিশু শিক্ষার্থী, নারী, পুরুষের সমাগম ঘটছে। এই উৎসব সমগ্র জেলা সদরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহমুদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ছড়াকার কবি জয়দুল হোসেন।
উপস্থাপনা করেন প্রভাষক ওসমান গণি সজিব।
বক্তারা বলেন, শীতকালে ঘরে ঘরে বাঙালী লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসব আমরা ভুলতে বসেছি। ছোট বেলায় মায়ের বকুনি খেয়েও পিঠা না খাওয়া পর্যন্ত পড়তে বসতাম না। পিঠা উৎসব শুধু হিন্দুর নয়, শুধু মুসলমানের নয়। এটা বাঙালী জাতির লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এই পিঠা উৎসব আমাদের জাতির হারানো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনবে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরী করতে আবারো মনোযোগী হবে। ঘরে ঘরে মা চাচীদের শীতকালীন পিঠা আয়োজন আমাদের অতীত স্মৃতির একটা অংশ। পিঠা উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। এটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই, হারাতে দিব না।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৭টি ষ্টলে বাহারী নাম ও সৌন্দর্যের পিঠা বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় লোকজ অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশ করে সবাইকে মুগ্ধ করছেন। আগামী কাল শুক্রবার রাতে তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের সমাপনী ঘটবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ বেতারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা রিয়াজউদ্দিন জামির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বাদ আসর জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামে মসজিদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি খ, আ, ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সহসভাপতি ইব্রাহিম খান সাদত, সাবেক কোষাধক্ষ্য আশিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধক্ষ্য মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, আইসিটি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইসিটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, সদস্য ইসহাক সুমন, সাংবাদিক খন্দকার স্বপন, মনিরুজ্জামান পলাশ, আশেক মান্নান হিমেল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস। এছাড়াও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সূধী সমাজসহ নানা শ্রেণী পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন। মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার।
এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জেলা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির পরিবারের পক্ষ থেকে কালইশ্রী পাড়াস্থ বাসভবনে দোয়া এবং দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ মার্চ রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মেধাবী ও সাহসী সাংবাদিক জামি ১৯৭৪ সালের ৩০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের শীর্ষ দৈনিক জনকণ্ঠ, দেশের প্রথম বেসরকারী টিভি চ্যানেল একুশে টিভি, আরটিভি, এনটিভি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গনমাধ্যমে সুনামের দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর পিতা মরহুম আব্দুস সাহিদ ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক উপাধক্ষ্য ও মাতা মরহুম ফাতেমা বেগম। তাঁদের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কর্মসূচির শুরু হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারদের সদস্য এবং জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ নোমান মিয়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শংকর কুমার বিশ্বাস। এছাড়া অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যসহ জুলাই যোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য তাদের সন্তানরা অকাতরে রক্ত ঝরিয়েছে। তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। কিন্তু যারা এই গণ আন্দোলনে গণহত্যা চালিযয়েছিল তাদের এখনো বিচার হয়নি। বক্তারা দ্রুত জুলাই আন্দোলনের গণহত্যাকারী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১ জন শহীদ পরিবারের সদস্য ও ৯৭ জন জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম খুন করা হয়েছে। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অতঃপর জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালাতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় বড় বড় নেতারা বুজ পাখির মত নাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, ৭৫ এর পর দেশের মানুষ যেভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঘরে ঘরে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্র কিছু কিছু টের পাচ্ছে। ভোটের কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ সব সময় ভোটের জন্য আন্দোলন করেছে, বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা না নিয়ে দ্রুত ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ দেশ চলবে মানুষের রায়ে। জনগণ যাকে খুশি তাকে বেছে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপি আর কোনদিন এদেশে বিনা ভোটের সরকার আসতে দেবে না।
আজ ২০ অক্টোবর রবিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর প্রথম গেট এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপজেলার জনগণের আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশবরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি কৃতি সন্তান জন্ম দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসনগুলোতে তাক লাগানো সব সংসদ সদস্য আমরা এতো বছর দেখে আসছি। ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি পাশে থাকেন। আপনারা যদি আমাদের হাত শক্তিশালী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ছয়টা আসন আছে, সে ছয়টা তাক লাগানো এমপি তৈরি করে দেব আমরা।
বিএনপি নেতা মুন্সী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জহিরুল হক খোকন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ-সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খোকন সেন, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুর রহমান সফিক, সরাইল উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, আশুগঞ্জের বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারনম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অলি আহাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি শহিদুল ইসলাম।