চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২২ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার ছেলেটি হারিয়ে গিয়েছে। ছেলেটির নাম রানা মিয়া, বয়স-৩২, গায়ের রং ফর্সা, মুখের আকৃতি : গোলাকার, গায়ের রং : শ্যামলা। অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয় (যাহার নং- ১০২১) । যদি কোন সু-হৃদবান ব্যক্তি ছেলেটির খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে মেহেরবানী করে নিম্ন ঠিকানায় পৌছে দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে ।
সন্ধানপ্রার্থীঃ
মোছাঃ বিউটি আক্তার
দেওড়া শাহবাজপুর
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মোবাইলঃ ০১৭৪১৫৮৫৮৯৩ ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। ধীরে ধীরে প্রেম। শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ। নাম বদলে এখন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা মিলে বৃষ্টি ও প্রকিপের। কথা বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। জানালেন বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু। গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন প্রকিপ। সে দিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে।
কথা হলে বৃষ্টি জানান, প্রকিপকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি। প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত সে কথা রেখেছে তার। আমিও তার সাথে চলে যেতে প্রসেস করছি।
প্রকিপ জানায়, তার বিয়ে করা দরকার ও সে মুসলিম হবে- এ দুটি বিষয় আকৃষ্ট করেছে তাকে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে সে খুব খুশি। বাংলাদেশ তার ভালো লাগছে।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ফরহাদ আলী বলেন, প্রেমের এমন ঘটনায় তারা সবাই খুশি। এ দম্পত্তিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতীয় পার্টির সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সরাইলের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়াম হলরুমে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির ১০১ জন সদস্য করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও হাফেজ আলী নেওয়াজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির নেতা আবু হানিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির পার্টির আহবায়ক শাহ জামাল রানা, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী নেওয়াজ, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলু মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মেরাজ মিয়া, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ছায়েদ হোসেন, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির নেতা দুলাল বক্স, উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, সরাইল সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ফরিদ মিয়া, সরাইল উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি শিরিন আক্তার, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, চুন্টা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা মো. বিল্লাল মিয়া, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতি সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, পানিশ্বর ইউনিয়ন যুবসংহতির নেতা মো. কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মোস্তফা, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মোহম্মদ আজাদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক হোসাইন আহমদ শাওন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৫) ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১২) এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭)।
তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে।
তারা ঢাকার মগবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সৈয়দ মোবারক হোসেন ইতালির সাবুনা শহরে ব্যবসা করতেন। সেখানে ৪টি কসমেটিক দোকান পরিচালনা করতেন। তার বড় মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর ইস্পাহানী স্কুলে এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ মগবাজারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার তাদের গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা লাশ হয়ে একে একে এ্যাম্বুলেন্স করে গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে ফিরলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মগবাজারে থাকতেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে বেইলী রোডে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়া ভবনটিতে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আসার পর বাদ আসর খন্দকার মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। তাদের মৃত্যুর খবরে শাহবাজপুর ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার। পরিবারের সবাই ভিসাও হয়েছিল। চলতি মাসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুরো পরিবার আর ইতালিতে পাড়ি জমানো হলো না। সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
নিহত মোবারকের খালাতো ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মোবারক প্রথমে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইতালি পাড়ি দেন। তার দেশে আসা যাওয়া ছিল। গত দেড় মাস আগে প্রায় দুই বছর পর ইতালি থেকে দেশে ফিরেন মোবারক। স্ত্রী-সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন। আগামী ২০ মার্চ ইতালিতে যাওয়ার দিন নির্ধারিত করেছি।
নিহত মোবারের স্বজন মো. ফয়সাল বলেন, ইতালিতে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। ভিসাও হয়েছিল। পরিবারের সকলে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন অপূরণীয় রয়ে গেলো। ওই পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
নিহত সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের শ্বশুর একই গ্রামের মুন্সী বাহার উদ্দিন জানান, তার মেয়ের জামাই মোবারক ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। তার মেয়ে স্বপ্না আক্তার, দুই নাতনি সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর এবং একমাত্র নাতি সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রাতের খাবার খেতে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সবাই পুড়ে মারা গেছেন। পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ-(২১) নামে এক যুুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়। নিহত পরশ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে।
আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত দুইদিন আগে পাশের বাড়ির আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউবওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদেবৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে পরশকে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
আহতবস্থায় পরিবারের লোকজন পরশকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।