চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৭নং তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা সেন্টার (ইউডিসি)-এর অপারেটর মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণের দাবিতে আজ ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক বদরুল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইমন আহমেদ, শরীফ, জিয়াউল, জুনায়েদ, বাবু, সাব্বির, ফারুক, ওমর, জুবায়ের, মোবাশ্বের, মো: শফিকুল ইসলাম, তানভীর, বাইজিদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম ও মৃত্যুসনদের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার ভুল জন্ম ও মৃত্যুসনদ প্রদান, সনদ সংশোধনের নামে একাধিকবার অর্থ আদায়, ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে খারাপ আচরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ। ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে।
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, জন্ম নিবন্ধনে বাবার নাম- খলিলুর রহমান, মায়ের নাম- আমেনা খাতুন কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি অংশে বাবার নাম আসে-AMENA এবং মায়ের নাম-KHALIL লিপিবদ্ধ হয়। এক বছর যাবৎ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঘুরেও এ কোন সুরাহা করতে পারেনি। সরকারি বিভিন্ন কাজ করতে পারেনি।
আরেক জন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে তার ছেলেন নাম ভুল আসে পরে এটি ২০১৭ সালে সংশোধন করা হয় পরবর্তীতে কিভাবে সার্ভার থেকে অটোমেটিক নাম পরিবর্তন হয়ে যায় যা বোধগম্য নয়।
মানববন্ধনে আসা একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল ইচ্ছা করেই এই কর্মকান্ড করে থাকে কারণ সংশোধন করতে গেলে অনলাইন করতে হয় তখন তাকে অনলাইনের টাকা দিতে হয়। আবার সরকারি ফি তাও দিতে হয়। পরে এর বাইরেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
মানববন্ধন শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম এর কাছে তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে ৭ দিনের সময় প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল এর জন্য তাঁর নাকি বদনাম হয় কারণ সে রাতেও নাকি অফিস করে। রাতে কিসের জন্য অফিস করতে হয়। এছাড়া অফিসও ঠিকভাবে করে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ফ্রি ডায়াবেটিকস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার শহরের মধ্যপাড়ায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব প্রাঙ্গনে এই ক্যাম্পে ১৩১ জন রোগী চেকআপ করেন। তাদের মধ্যে ৬২ জন নতুন রোগী সনাক্ত হয়। ক্যাম্প উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন প্রফেসর ডাক্তার রুহুল আমিন-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক লিও লীডার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সভাপতি আল আমিন শাহীন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের আহবায়ক আশরাফুল হক ফারুক। ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব ট্রেজারার লায়ন শরিফুল হক, লিও এডভাইজর লায়ন আর্কিটেক্ট মো রুবেল মিয়া, লায়ন মো মজিবুর রহমান ও ক্লাব অরগানাইজর লায়ন এটিএম ফয়েজুল কবির এমজেএফ, ব্রাদার্স ইউনয়ন ক্লাব কর্মকর্তা তাপস পাল ও আবুল খায়ের। এছাড়া ক্যাম্পে সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেন লিও সেক্রেটারি নওসিন কবির ঐশী, জয়েন্ট সেক্রেটারি লিও এমরান, লিও সদস্য আরশী, আরিয়ান ও সহ-সভাপতি লিও আফরোজা বিনতে রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, জোর করে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসা এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায়না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচন এই দেশের মানুষ মেনে নেবেনা। রাতের ভোট আর বাংলাদেশে চলবেনা।
তিনি আজ ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে পৌর এলাকার কাউতলীতে স্বপ্নতরী কনভেনশন হলরুমে আয়োজিত ওলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই আরো বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় রাঘব বোয়ালরা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। এস.আলম গ্রুপ ৮টি ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সূধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্পাদক গাজী নিয়ামুল করীম, মাওলানা আলী আযম কাসেমী, মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা হারুনুরর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ-সবল, সৃজনশীল ও মেধাবী জাঁতি গঠনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার, এ সরকার ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এ স্বাধীন দেশকে ভালবাসতে হলে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে হবে, আর সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হতে হলে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গঠন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খেলাধূলা মানুষকে অন্যান্য অপকর্ম থেকে দূরে রাখার একটি হাতিয়ার।
আজ ২ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (আব্দুল কুদ্দুস পৌর মুক্তমঞ্চে) জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ও এম.আর টেক্সটাইল এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এম.আর টেক্সটাইল এর সত্ত্বাধিকারী দিদারুল আলম মারুফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, সদস্য নাজমুল হক সেলিম, মহিম চৌধুরী, আল মামুন, মোঃ মাসুদ প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় নবারুন ক্রীড়াচক্রকে পরাজিত করে আমরা সবার বন্ধু সংগঠন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছের ডাল কাটা নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সরকার পাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- নুরুল ইসলাম (৫০), আমাতু (৪০), রফিকুল ইসলাম (১৮)।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকার পাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ির গাছের ডাল কাটা নিয়ে স্থানীয় হারুন মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার পরিবারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল ইসলামের পরিবারের ৩জন আহত হয়। শহর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আহত নুরুল ইসলাম জানান, গত ৪২ বছর যাবত মস্তু মিয়ার ভাই হারুন মিয়ার সাথে ৩৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এ জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মামলা হয়েছে। আদালতের রায়ে নুরুল ইসলাম জায়গা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে হারুন মিয়ার ছেলে আশরাফুল, সিরাজুল, সাইফুল, ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে বিজয়, হৃদয়, বাক্কি তাদের বাড়ির গাছের ডাল কাটতে আসে। এসময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী আমাতু ও তার ছেলে রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেন। আহত অবস্থায় তার স্ত্রী ও ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেছে। তিনি এ হামলার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভনের আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ৭ জুন শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ার গ্রামের একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে তার সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফারাবী তাকে গুলি করে কোমড়ে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ সময় তার (ইজাজের) বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের পিতা হাজী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একটি বিশেষ টিম, সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের একটি ব্রীজের পাশের ঝোপের মধ্য থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর হাসান আল ফারাবী জয় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও এলাকায় তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজাজকে মাথায় পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
পুলিশের কাছে দেয়া জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালাল হোসেন খোকা এবং জয় খুবই ঘনিষ্ঠ, ইজাজও তাদের সাথে চলাফেরা করতো, তারা একই পাড়ার বাসিন্দা। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতো খোকা ও জয়। তবে তাদের সব সিদ্ধান্ত ইজাজ ও তার সাথে কয়েকজন মেনে না নিয়ে কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতো। আর এ কারনেই ইজাজ ও তার কয়েকজন বন্ধুর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো খোকা ও জয়। এই বিরোধ আস্তে আস্তে চরম আকার ধারন করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।