চলারপথে রিপোর্ট :
মাগুরায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন হয়েছে। আজ ২৯ আগস্ট শুক্রবার সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে নোমানি ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য এ র্যালিতে মাগুরা সদর উপজেলার ২৫ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। র্যালি শেষে মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিতর্ক ব্যক্তিত্ব ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এনডিএফ বি ডির চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব ও বিশেষ বিতর্ক ব্যক্তিত্ব ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ এম ডি এফ বিডি খুলনা অঞ্চলের তাকদিরুল গনি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান।
দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক শিশু বিতর্ক রম্য, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সনাতনী স্কুল বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বিতর্ক এ অংশ নেয় মাগুরা সদর উপজেলার ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৬টি বিতর্ক ক্লাবের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে মাগুরা আদর্শ বিতর্ক সংঘের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন মাগুরা সদর এ উৎসবের আয়োজন করে।
সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাগুর আদর্শ বিতর্ক সংঘের চেয়ারম্যান নাহিদুর রহমান দুর্জয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিতর্কিকদের অংশগ্রহণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা ২৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতক জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ আদালত লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত আপীল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদালতের আপীল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।
জেলা প্রশাসন মামলায় হেরে যায়। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের (আইন অধিশাখা-৪) ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরিপত্র দ্বারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ এর ২২ (৩) ধারা বিধান বিদ্যামান থাকায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। আপীল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উচ্চ আদালত রিট দায়েরের জন্য কোনো প্রস্তাব প্রেরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল রায়ের কার্যকারিতার উপর সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। অর্পিত আপীল ট্রাইব্যুনাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত দেয়া ডিক্রি বাস্তবায়নের আদেশ বিদ্যমান থাকায় মামলার রায়-ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মতামত দেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ভবনে থাকা দোকানদারকে মালামাল সরিয়ে নিতে ২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। ২টার পরে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।
জমির মালিক লীলাময় ভট্টাচার্যের ছেলে নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের পূর্বপুরুষদের। বিভিন্ন কারণে এটি পরে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে জায়গাটি আমাদের পক্ষে আসে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমারখালীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে কুমারখালী পৌর শিশুপার্কের সবুজ চত্বরে নাট্য উৎসবের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উদ্বোধন শেষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আলী প্রমুখ।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুখের নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তারুণ্যের উৎসব এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধায় নাটক “রক্ত গন্ধা জুলাই” মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শুরু হবে নাট্যোৎসব। এদিন রাতেই মঞ্চায়িত হবে সামাজিক নাটক”এ পৃথিবী টাকার গোলাম”। এছাড়াও দ্বিতীয় দিন বুধবার একই মঞ্চে ঐতিহাসিক নাটক: “কোহিনূর” মঞ্চায়িত হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে: “সুখের সংসার” নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ নাট্য উৎসব।
অনলাইন ডেস্ক :
ফরিদপুরের মধুখালীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা গেছেন। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার ঢাকা-ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের শকড়িকান্দি এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর মহল্লার সাধন কুমার দাসের ছেলে বাঁধন কুমার দাস (২৮) ও তার শ্যালক ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত দাস (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শকরিকান্দি এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্টে সিগন্যাল দিয়ে ফরিদপুরগামী একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ।
এ সময় মাগুরার দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী মুক্তা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে মোটরসাইকেলটি চাপা পড়ে।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, বাসচাপায় মোটরসাইকেল এর দুইজন আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল, আখাউড়া :
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের পেশাগত ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মুখে কালো ব্যাজ বেঁধে আখাউড়ায় মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রিপোর্টার্স ইউনিটি যৌথভাবে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন লিটন, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কাজী মফিকুল ইসলাম সহিন (বাংলাদেশ গার্ডিয়ান) জালাল হোসেন মামুন (দৈনিক দেশ রূপান্তর), রুবেল আহমেদ (দৈনিক কালবেলা), মোশাররফ হোসেন কবির (মোহনা টিভি) নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), সাদ্দাম হোসেন (আর টিভি) ও অমিত হাসান অপু (দৈনিক নবচেতনা) প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার এবং সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা শুধু ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা নয়-এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত। সাংবাদিককে হত্যা করা মানে সত্যকে হত্যা করা। সুতরাং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সমাজে দুর্নীতি, অন্যায় ও অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝুঁকি নেন-প্রভাবশালী মহলের হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা প্রাণনাশের ভয় নিয়েই তারা সংবাদের জন্য কাজ করেন। সুতরাং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট:
ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক ফায়ার ফাইটার মো. সজিবুল ইসলাম (২৩)। এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৪ মে রবিবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায়।
সজিবুল ইসলাম কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় কর্মরত ছিলেন তিনি। নিহত সজিবুলের পাঁচদিন বয়সী সন্তান রয়েছে।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে কুমিল্লাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল চালক সজিবুল নামে একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে।