চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি আজম, এবিএম মমিনুল হক প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাক-ঢোল বাজিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। পুরো অনুষ্ঠানস্থল ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিহ্নিত ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের কান্দিপাড়া বাবুর বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কান্দিপাড়া মাইমল হাটির মো. রিগ্যান পাঠান (৩৫), একই এলাকার সানজু রাজ (২২), শহরের কাজীপাড়া দরগাহ মহল্লার মো. সায়েম (২০) ও কাউতলী এলাকার তুষার মিয়া (১৯)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা শহরের চিহ্নিত ছিনতাকারী। গ্রেফতারকৃত রিগ্যান পাঠানের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ৯টি মামলা এবং অন্য তিন জনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েকটা দিন আছে, এখন কিন্তু মাসও নেই। বুকের মধ্যে সমস্ত সাহস নিয়ে এগোতে হবে। এই ১৫ বছরে হাজারো নেতাকর্মী মেরে ফেলেছে। গুম করেছে। আমাদের ৫০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে গতকালও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর কোনো কথা নয়, কথা নয়। আসুন আজকে আমরাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে একটা জিনিস কিন্তু আশা, সাহস জোগাবে, আজকে দেশের সব মানুষ এক হয়েছে। সমস্থ রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। বাম-ডান সবাই একটা কথাই বলছে, এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হতে পারে না।
বিএনপি সন্ত্রাসী দল প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন নতুন সুর শুরু করেছেন বিএনপি সন্ত্রাসী দল। গতকালও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আপনারা কি? আপনারা তো সন্ত্রাসের বাবা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে, সেমিনারে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন একেবারে মৃত্যবরণ করার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দ্র্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি নজিরবিহীন। সব দেশেই কিছু কিছু দাম বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে যেটা বেড়েছে এটা অবিশ্বাস্য, নজিরবিহীন দাম বেড়েছে। এর পেছনে কারণ অনেকগুলো। মূল কারণ জবাবদিহিহীন সরকার। তাকে কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই করতে পারছে। তাদের দুশাসন দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এখন একেবারে মৃত্যবরণ করার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রজেক্ট অনেক করা হচ্ছে। প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য চুরি করা। এমন চুরি যেটা এক কোটি টাকায় হবে সেটা তিন কোটি টাকা। যেটা ১০ কোটি টাকায় হবে সেটা ২০ কোটি টাকা।
সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন বেশিরভাগই অসুখি নন বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। এর পেছনে কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সবাই (সরকরি কর্মকর্তা) কম না কম প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত থাকলে পয়সা আসে। অবস্থা এখন এমন সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না। ডাল কিনতে পারছে না, শাক কিনতে পারছে না কিন্তু নির্বাচনে ঘুস দেওয়ার জন্য ইউএনও এবং ডিসিদের জন্য ৩৬৫ কোটি টাকা দিয়ে নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে আলাদা করে। শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে যারা ডিসি, এসপি যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে।
গত ১৫ বছরে এই দেশকে লুটের রাজ্য বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এটা বর্ণনা করার ভাষা নেই যে কি হারে এরা (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ) লুট করেছে। যে লুটের পরিণতি মানুষের ওপর পড়ছে। প্রতিটি পয়সা আমাদের পকেট থেকে নিয়ে নিচ্ছে।ঋণ করেছে। তার ভারও আমাদের ওপর এসে পড়বে।
এই পরিস্থিতির উত্তরণে বর্তমান সরকারকে সরানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণের নূন্যতম অধিকার ফেরত পেতে চাই। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্নীতি লুটপাট মগের মুল্লুক এই প্রক্রিয়ায় সবাই জড়িত হয়ে গেছে। সেই মগের মুল্লুক থেকে তো এরা সহজে বের হতে চায় না।
আমাদের কাছে বন্দুক নেই, সবাইক বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের তো উপায় নেই, আমরা খালি হাতে আছি। আমাদের হাতে তো বন্দুক পিস্তল নেই যে আপনাকে ভয় দেখাবো, গ্রেফতান করে নিয়ে আসবো। আপনাকে আমি ডিবিতে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন করবো। সেই ক্ষমতা তো আমার নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমার একটাই ক্ষমতা আছে। মানুষকে সংগঠিত করা, মানুষকে বলা এই অবস্থা থেকে বেরোতে চাইলে মুক্তি পেতে চাইলে কোনো উপায় নেই রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে। এই রাস্তায় বেরিয়ে আসাই তো বড় কথা। আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় কি করছে। তার পরে যা হোক। আপনাকেও রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইবে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খাদ্যদ্রব্য বলেন, মানুষের জীবনের মূল্য বলেন সব কিছু নির্ভর করছে এই সরকারকে সরাতে না পারলে আপনার কোনো কিছুর অস্থিত্ব থাকবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে তো ইচ্ছে করে একেবারে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তাকে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা বানিয়েছে। এটার তো কোনো কিছু ঠিক নেই। তারা বলছে যদি পরিবেশ অনুকূলে হয়… তাহলে পরিবেশ অনুকূলে নয়! এখনো পরিবেশ অনুকূলে হয়নি। দরকার কি বাবা, পদত্যাগ করো না, আসো আমাদের সঙ্গে। আমাদের সঙ্গে আসো।
বিএনপির মহাসচিব শেষবারের মতো সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শেষ বারের মতো সরকারকে বলতে চাই দয়া করে পদত্যাগ করুন। মানে মানে শান্তিতে আপনারা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারে হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যান। দেশের মানুষকে বাঁচতে দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুঃশাসন করছে। লুটপাট আর অর্থপাচার করছে।একজন এমপি ৬৮২ কোটি টাকা ডিল করেছেন। এ নিয়ে দুদক বা কেউ কিছু ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। এর পরিবর্তন চাই। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরে যাক। সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরি এস এ ইসলাম ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি: সরকারের অব্যবস্থাপনা-কৃষক এবং জনগণের নাভিশ্বাস’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সোনালী দল, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সোনালী দলের সভাপতি অধ্যাপক গোলম হাফিজ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
চলাপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী আদর্শ দেশপ্রেমিক তৈরি করবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে অটল থাকতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে বইটি অসামান্য ভূমিকা পালন করবে।’
বাহেরচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের তরে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই দেশ স্বাধীনতা লাভ করছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির মডেলকে ফলো করছে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলানায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক আইটি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক ফয়জুন নাহার প্রম্খু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস, ইফতেহার রিফাত, মোঃ সাইফুল, মোঃ রাসেলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা, দৈনিক আমার সংবাদের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ- সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো My Road, My Responsibility নামক কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্যরা।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলীতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সড়কে নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহীদের ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা যানবাহন চালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করা হাইওয়ে পুলিশকে থ্যাংকইউ কার্ড এবং ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন, ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি সাদিয়া চৌধুরী, মানব সম্পদ কর্মকতা জসিম মিয়া, প্রকল্প কর্মকর্তা বায়েজিদ বিন বাশার, ভিবিডির সাকেব সহ-সভাপতি ও বর্তমান কমিটি মেম্বার টি.এম. একরাম, সাধারণ সদস্য ইমান হুসাইন, জয়নব আক্তার স্নেহা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানীসহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেছি।