চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রেজিয়া বেগম (৩০) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯টায় সেনাবাহিনী ও বিজয়নগর থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় রেজিয়া বেগমের কাছ থেকে ১২১০ পিস ইয়াবা, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯৩ হাজার ৮৯০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার মোছা. রেজিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের মো. রুবেল মিয়ার স্ত্রী। এসময় মো. রুবেল মিয়া (৩৮) পালিয়ে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আশুগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ খান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার নারী মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত মামলায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাড়িয়াপুর এলাকায় ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে আপ লাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া।
জানা গেছে, অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দাড়িয়াপুরে মালবাহী কন্টেইনারের একটি ওয়াগনের ১২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শেখ রাসেল মিনি ফুটবল স্টেডিয়ামে হৃদয় নামে এক শিশু বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ঐ স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। মৃত হৃদয় (১৪) উপজেলার ক্ষুদে হারিয়া গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে।
চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইব্রাহিম জানান, ঐ শিশুটি কয়েকজনকে নিয়ে মাঠে ফুটবল নিয়ে খেলা করছিলো। এ সময় তাদের ফুটবলটি ছাদে আটকে যায়। ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সেখানে থাকা বিদ্যুতের তারে আটকে হৃদয় মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার দীন ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামের একটি ভবনের ওপর বিদ্যুতের তার ছিলো। তারটি বেশ নিচু। ধারণা করা হচ্ছে- হৃদয় ঐ তার পেরিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যায়। ছাদে পানিও ছিলো। যে কারণে সে সহজেই বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর জামিয়া রশিদীয়া মাদরাসার ছাত্র মুজাহিদ। বয়সমাত্র ৯বছর। আর এই অল্প বয়সেই হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বালক। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক ও সহপাঠীরা আনন্দিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মুজাহিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর পাক্কাবাড়ীর ইসমাঈল ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদ্রাসার (নুরানি) বিভাগে ভর্তি করানো হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের রিডিং পড়ানো হয়। এর পরে হিফজের উপযুক্ত হলে আল্লাহর রহমতে ১৪ মাসের মধ্যেই কোরআনের হাফেজ হয়ে ওঠে।
তার শিক্ষক হুসাইন আহমাদ বলেন, মুজাহিদের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। তার লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ আমাদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সঠিক পরিচর্যা হলে সে জগত বিখ্যাত একজন আলেম হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের মাদ্রাসায় মুজাহিদ সহ আরো অনেক এতিম ও গরীব অসহায় মেধাবীদের যাবতীয় খরচ আমরা বহন করে থাকি।
হাফেজ মুজাহিদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। পড়ালেখার সমস্ত খরচ তার বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হুসাইন আহমাদ এর বড় ভাই বহন করেছেন। আল্লাহ পাক ওনার এই সহযোগিতা কে কবুল করুন এবং তাকেও দ্বীনের দায়ী হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি সকলের নিকট দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।
হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।
হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।