চলারপথে রিপোর্ট :
ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শরীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর মীরবাড়ির মৃত আব্দুল কাইয়ুম মীরের ছেলে৷ তিনি স্থানীয়ভাবে একজন পরিচিত ব্যবসায়ী এবং কান্দিপাড়ার সিরাজিয়া ট্রেইলার্সের মালিক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে রাতে তিনি নিজ ভাড়া বাসায় প্রবেশ করার পর আর বাইরে বের হননি। এদিকে তার স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি থাকায় ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিককে অবগত করেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, তিনি হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক জটিলতায় মারা যেতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, আমরা ফ্ল্যাট থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণের উচ্ছাসে তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্ট থেকে মেড্ডা মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্ট পর্যন্ত তিতাস নদীতে এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুুপুর পৌনে তিনটার দিকে শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্টে নৌকা বাইচ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। প্রতিযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার ১৫টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।
এর মধ্যে ছিলো সদর উপজেলার ৪ টি নৌকা (ভাড়াকৃত), বিজয়নগর উপজেলার ৫টি নৌকা, সরাইল উপজেলার ১টি নৌকা, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) নবীনগর উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) ও নাসিরনগর উপজেলার ১ টি নৌকা ( ভাড়াকৃত) প্রতিযোগীতায় নবীনগর উপজেলার নৌকা প্রথম, সরাইল উপজেলার নৌকা দ্বিতীয় এবং সদর উপজেলার নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
বিকেল ৫টায় মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে তিতাস নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জনকারী নবীনগর উপজেলার নৌকাকে নগদ ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সরাইল উপজেলার নৌকাকে ৫০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সদর উপজেলার নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া ১৫ টি নৌকাকেই ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যত দিন বাঙ্গালি ও বাংলা সংস্কৃতি থাকবে তত দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তিতাসপাড়ে আজ হাজার হাজার মানুষ। এতেই বুঝা যায় মানুষ নৌকা বাইচকে কত ভালোবাসে। তিনি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মহামারি করোনার কারনে গত দুই বছর ২০২০ এবং ২০২১ সালে নৌকা বাইচ বন্ধ ছিলো। করোনার পর ২০২২ সালে আবার নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীতেও এই নৌকা বাইচ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের ঢল নামে। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে মেড্ডা পর্যন্ত তিতাস নদীর তীরে জন¯্রােতে পরিনত হয়। নদীর পাড় ছাড়াও মানুষ নদীর পাড়ের বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদে উঠে, শেখ হাসিনা সড়কের ব্রীজে উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করে। আবার অনেকেই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
এদিকে নৌকা বাইচ উপলক্ষে প্রতিযোগীতাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টীম নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও ছিল ডুবুরী দল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সুন্দরভাবে করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৮টি টীম কাজ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপমহাদেশীয় রাগ সংগীতে প্রবাদ-প্রতিম সংগীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সুরসম্রাটের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংগীত পিপাসুদের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সংগীতের মহাগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাম জানেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি অজপাড়াগা শিবপুরে জন্ম নিয়ে কিভাবে একটি মানুষ স্বীয় সাধনা বলে রাগ সঙ্গীতের উচ্চ শিখরে কিভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারেন – তা এক মহা বিস্ময়ের বিষয়। সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ, লক্ষ্যে পৌঁছুবার কঠোর সাধনা, অখণ্ড অধ্যবসায়ই তাঁকে সংগীতের উচ্চাসনে নিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সংগীতে অনুশীলনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র কঠিন সাধনার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ তহবিল গড়তে আমেরিকার মেডিসিন স্কয়ারে জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে যে কনসার্ট ‘ফর বাংলাদেশ’- অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে এ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ ও মেয়ে জামাতা রবি শংকর সরোদ ও সেতার পরিবেশন করে হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে মাতিয়ে রেখেছিলেন, – আজকে যা ইতিহাস।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জয়দুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতাঙ্গনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিচালনা করেন সংগীত প্রশিক্ষক রুনাক সুলতানা পারভীন, সংগীত প্রশিক্ষক মনি সাহা। তবলা লহরা পরিচালনা করেন তবলা প্রশিক্ষক আবিদুল হোসেন বাবলু, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া আমিন। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন বিটিভির সংগীত পরিচালক ও সুরকার আলী মোসাদ্দেক মাসুদ (ম্যান্ডোলিন), ওস্তাদ সামছুদ্দিন খান (বেহালা), দিলীপ বণিক (তবলা), কিরণ রায় (তবলা), খোকন সেন (তবলা)। অনুষ্ঠান সহযোগী ছিলেন সাজন সরকার ও বকুল ঋষি। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও উপস্থাপনা করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম। সাংস্কৃতিক পর্বের বিভিন্ন শাখায় অংশগ্রহণ করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। বৃষ্টি-বিঘ্নিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ ও অভিভাবক মন্ডলী মিলিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক দর্শক শ্রোতা এই যত্নশীল ও ছিমছাম অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অতিথিবর্গ ও সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঐদিন সকালবেলা আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয?। দোয?া পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পথ হারানো বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব রাজাকার, আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে তারাই আবার বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরেও তারা ক্ষমতায় এসে দাপটের সঙ্গে দেশকে লুণ্ঠন করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক জায়গা দিতে চায়নি।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও এই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান।
পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩০ জন এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, জেলা হোটেল রেস্তুরা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ফারহান ইসলাম।
এ সময় বক্তারা পবিত্র রমজান মাসসহ সবসময়ই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনার জন্য জেলার হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ১২৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক অভিযানে ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযানিক দল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে করে। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন (২৬) বিজয়নগরের সিংগারবিল মাইজহাটি গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ৩২২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জিলায়োর হোসেন তরফদার প্রকাশ দেলোয়ার (৪০), মো. হাবিবুর রহমান (২০), মো. শামিম আহম্মদ (৩১), পলাশ দাস (৩৫)।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।