চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্জ্য থেকে সার ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য নবনির্মিত প্লান্ট উদ্বোধন ও পৌরসভার কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় স্থাপিত প্লান্টটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক মীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
এতে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
পরে প্লান্টটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্লান্টটি প্রতিদিন ১২ টন জৈব বর্জ্য থেকে ৫০০ কেজি জৈব সার ও এক টন প্লাস্টিক ও পলিথিন থেকে ৫০০ লিটার অপরিশোধিত তরল জ্বালানি উৎপাদন করতে সক্ষম। এক কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্লান্টটি স্থাপনের ফলে বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদে আজ ২৬ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার মানববন্ধন করেছে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকী ২৫টি সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দিলারা আক্তার খান, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের হিসাব বিভাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পাঠান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান চেয়ে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারদের আধিপত্যের কারণে অন্যান্য ক্যাডাররা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্ব স্ব দপ্তরগুলোতে স্বস্ব ক্যাডার নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে যা দেশের জন্যই মঙ্গল। বক্তারা আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্য নিরসন করে সকল ক্যাডারে সমতাসহ উপসচিব পদে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে ক্যাডার নিয়োগ ও কৃত্যপেশাভিত্তি মন্ত্রণালয়ের দাবী জনান। দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পালিত এই কর্মসূচিতে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুক্তিবাদী হতে হলে বিতর্ক শিখনের মাধ্যমে বাস্তববাদী মানুষ হওয়া যাবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিতর্কসহ বিভিন্ন কারিকুলামে অংশ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রথম স্কুল ভিত্তিক বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর। গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের সহায়তায় ও-ই স্কুলের ১৫৫ জন ছাত্রী অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল নয়টায় শুরু হওয়া বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উচ্চারণ ও পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ক বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিতার্কিক তৌহিদুর রহমান আদিল ও আবৃত্তি শিল্পী অমর আহমেদ। সকাল আটটায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনে সারা দিনব্যাপী বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েট এর বিতার্কিক। বিকাল চারটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া দিঘীর পাড়ে বেলাল হাউজে দারুল ফিকরিল ইসলামী তাহফীযুল কুরআন মাদ্রাসার উদ্বোধন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সবক প্রদান করেন শায়খুল ইসলাম কুতুবুল আলম আল্লামা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর সুয্যেগ্য দৌহিত্র আওলাদে রাসুল (সা.) ভারত দেওবন্দ এর আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানী দা. বা.।
সবক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসার মুফতী তোফায়েল আহমদ নোমান, হাফেজ মাও: মুফতী যাকারীয়া, হাফেজ মাও: এমদাদুল্লাহ, হাফেজ মাও: আবুল খায়ের, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুজাম্মেল হক (আজাদ মোল্লা), সহকারী পরিচালক মুফতি খোর্শেদ আলম, মুফতি রাব্বিকুল হাসান।
সবক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উক্ত মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মুফতী তাফাজ্জুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।