চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আখাউড়ায় দরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মরহুম হাজী শাহাদাত হোসেন ফুল মিয়ার স্মরণে এ.এম.ডি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৬ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিয়াজ, আলু, ছোলা, ডাল ও মুড়ি।
ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য কাজী ইউছুফ, মোঃ ফিরোজ মিয়া, ব্যবসায়ী শাহীন খান, ডাঃ ইকবাল হোসেন, নাজমুল হোসেন সুমন, নাসির চৌধুরী, আলী আকবর, বাছির মিয়া ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মরহুম হাজী ফুল মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন সুমন বলেন, গরীব-দুখী মানুষ সারাদিন রোজা রাখার পর সুন্দভাবে যেন ইফতার করতে পারে সেজন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। এএমডি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিগত ৫/৬ বছর যাবত আমরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে আসছি। গরীব-দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আমাদের উদ্দেশ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। ভারতে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি যাত্রী পারাপারও হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। ধীরে ধীরে যাত্রীদের কাছে পছন্দের রুট হয়ে উঠছে আখাউড়া স্থলবন্দর। ফলে যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে। তবে যাত্রীর সঙ্গে রাজস্বের পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা মিলছে না আখাউড়া স্থলবন্দরে। আন্তর্জাতিক এই স্থলপথের যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাণিজ্য চলছে। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়ায় ২০০৮ সালে স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে আখাউড়া স্থলবন্দর। বর্তমানে প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকার বরফায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, পাথর, তুলা, প্লাস্টিক ও কাঠের ফার্নিচারসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানিকৃত পণ্য ত্রিপুরা থেকে সরবরাহ করা হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও।
পণ্য রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি সরকার যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদও বিপুল রাজস্ব পায় আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে। চিকিৎসা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন আটশ থেকে এক হাজার যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত গমন করে থাকেন। বিভিন্ন উৎসবের সময় এই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর পার হলেই আগরতলা শহর। সেখান থেকে মাত্র মিনিট বিশেকের পথ পাড়ি দিলেই আগরতলা বিমানবন্দর। এছাড়া রেলস্টেশনও শহরের কাছাকাছি। এর ফলে আকাশ ও রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশি যাত্রীরা সহজে কলকাতা, গৌহাটি, দিল্লি, চেন্নাই, জয়পুর, গ্যাংটক ও শিলংসহ দেশটির পর্যটন শহরগুলোতে যাতায়াত করতে পারেন। এতে খরচও সাশ্রয় হয়। মূলত এসব কারণেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বাড়ছে। এছাড়া আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চার লেনের জাতীয় মহাসড়কের কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থলবন্দর যাত্রী পাপারের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রুট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজারের কিছু বেশি যাত্রী। এ সময় যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩ হাজার। সরকার রাজস্ব পেয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার কিছু বেশি। বিগত অর্থবছরে যাত্রীর ভ্রমণ কর পাঁচ শ টাকা থাকলেও চলতি অর্থবছর থেকে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীরা বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্যও এই কর দিতে হয়। তবে বন্দরে কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
জরাজীর্ণ কাস্টমস ভবনের ছোট্ট এক কক্ষে কাস্টমসের কাজ শেষ করে যাত্রীদের আরেক ভবনে যেতে হয় ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের জন্য। এরপর সেখান থেকে বিজিবি চৌকি পার হয়ে যেতে হয় ইমিগ্রেশন ভবনে। রুগ্ণ ইমিগ্রেশন ভবনটিও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আরও কয়েক বছর আগেই। তবুও ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের কাজ করা হয়।
ছোট্ট ইমিগ্রেশন ভবনের বেশির ভাগ অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত জায়গা না পেয়ে ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রী আবুল কাশেম জানান, ঢাকা থেকে ভারতের সব শহরে ফ্লাইট সুবিধা নেই। এছাড়া ঢাকা থেকে ফ্লাইটে খরচও বেশি। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলা থেকে আকাশপথে ভারতের বিভিন্ন শহরে সহজেই যাতায়াত করা যায়। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি খরচও লাগে কম। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করেন তিনি। তবে আগরতলা স্থলবন্দরের তুলনায় আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রীদের জন্য তেমন কোনো সেবা নেই।
ফজলে রাব্বি নামে আরেক যাত্রী জানান, ট্রলি সুবিধা না থাকায় যাত্রীদের লাগেজ বহনে সমস্যা হয়। এছাড়া ইমিগ্রেশন ভবনে যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নেই। এতে করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অথচ আগরতলা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এবং ব্যাগেজ স্ক্যানিং সুবিধা মিলে একই ছাদের নিচে। সেখানে যাত্রীদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী মাহাবুবুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, ছোট্ট ইমিগ্রেশন ভবনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী বসার সুবিধা নেই। ফলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে গরমের সময় ভোগান্তি বাড়ে। এছাড়া বৃষ্টি হলে জমে হাঁটুপানি। এসব সমস্যা নিরসন করলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার আরও বাড়বে এবং সরকারও বেশি রাজস্ব পাবে বলে জানান তিনি।
যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর পাশাপাশি যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আখাউড়া স্থলবন্দরে আধুনিক ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্টরা। ২০১৬ সালে পুরাতন ইমিগ্রেশন ভবনের পাশে শুরু হয় ছয়তলা বিশিষ্ট নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজ। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন জটিলতায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আপত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভবনের নকশা পরিবর্তন এবং দুইতলা ভবন নির্মাণের শর্তে নির্মাণকাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু একতলা করার পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আবারও বাধা আসে বিএসএফের তরফ থেকে। ফলে এখনো বন্ধ রয়েছে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা নিজেরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন ইমিগ্রেশন ভবনটি হয়ে গেলে যাত্রীরা এক ছাদের নিচেই সব ধরনের সেবা পাবেন। তখন আর দুর্ভোগ থাকবে না। তবে সীমান্ত আইন জটিলতায় ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজটি বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ ফের শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের সম্পর্ক এক বছর। এরই মধ্যে এখানে-সেখানে ঘুরাঘুরি। বিয়ের আশ্বাসে হয় মেলামেশা। অবশেষে প্রেমিকের পিছটান। থানায় গিয়েও লাভ হয়নি। ফলে আদালতের শরনাপন্ন হন মেয়ের বাবা। তাতেও দৃশ্যত কোনো ফল আসেনি। অবশেষে নিজের সম্মান আর অস্তিত্বের প্রশ্নে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন প্রেমিকা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন কিশোরীর বাবা।
ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।
প্রেমিকা অবস্থান নেওয়ার পর প্রেমিকের বাড়িতে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে অন্য স্বজনরা এসে অবস্থানরত প্রেমিকাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাউতলা গ্রামের ওই কিশোরী জানায়, প্রতিবেশী রেদুয়ান ইসলাম তানভীর ওরফে রাব্বির সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাব্বি তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। সর্বশেষ সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ বাইরে রাখেন। ফেরত আসার পর রাব্বির মা আমাকে ওষুধ খেতে দেন যেন বাচ্চা পেটে না আসে। পরে এ নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে শেষ করতে বলে। কিন্তু আমিও আমার পরিবার বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু রাব্বির পরিবার এটা না মানলে আমরা থানায় যাই।
পুলিশ মামলা না নিলে গত বছরের ডিসেম্বরে আমার বাবা বাদী হয়ে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।
ছেলের মামা ইয়ার মাহমুদ জানান, ছেলে ও মেয়ে তাদের ইচ্ছাতেই বাইরে ঘোরাঘুরি করে। এখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সবাই মিলে তাদের টাকা দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ছেলের চাচা মো. আবুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ মিথ্যা। সাংবাদিকরা কেন এসব বিষয় জানতে এলেন এ নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জানান, রাব্বির পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যেহেতু ধর্ষণ মামলা হয়েছে সে অনুযায়ী বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর মাজার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মার্কেটের একটি হোটেলের রান্নাঘর, একটি মোমবাতির কারখানা এবং মাজার শরীফের অতিথি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে ভূক্তভোগীরা। আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে হোটেলের রান্নান চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে খড়মপুর মাজার সংলগ্ন দ্বিতল বিশিষ্ট মাজার মার্কেট কাম রেষ্ট হাউজের জাহাঙ্গীর ভূইয়ার হোটেল লাগোয়া খালপাড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি রান্নাঘরে আগুণ লাগে।
মুহুর্তের মধ্যে আগুন হোটেলের পাশের বাঁশ ও কাঠের তৈরি মোমবাতির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুণের লেলিখান শিখা মাজার কমপ্লেক্সের দুতলার অতিথি কক্ষে পৌছে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খড়মপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টুকে খবর দেয়। মাজার কমিটির সম্পাদক মিন্টু খাদে নিজে ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে হোটেলের মাচা, মোমবাতির কারখানা, কমপ্লেক্সের অতিথির কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে তাপে মার্কেটের দেয়ালের কিছু অংশের আস্তর খসে পড়ে যায়।
মোমবাতির কারখানার মালিক রুবেল খাদেম বলেন আগুনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন রাত ১০টার দিকে হোটেল বন্ধ করে চলে যাই। সকাল আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে আসি। কিভাবে আগুণ লেগেছে বলতে পারছি না। আগুনে হোটেলের রান্নার সরঞ্জাম, মসলা পুড়ে গছে।
জানতে চাইলে খড়মপুর মাজার কমিটির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন সকাল আটটার দিকে মোবাইল ফোনে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে গিয়ে খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। অগ্নিকান্ডে মাজার শরীফ অতিতি কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে গেছে এবং বিল্ডিংয়ের আস্তর খসে পড়েছে। এতে মাজার কমিটির ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সেরর স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছি।
উল্লেখ্য, এরআগেও মাজার মার্কেট কমপ্লেক্সে ২ বার আগুন লেগেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি খালের মাটি কাটায় দুই ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ ফেব্রায়ারি সোমবার সন্ধ্যায় জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেন দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ধরখার ইউনিয়নের কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের তিতাস নদীর বনগজ স্টিল ব্রিজের কাছে অভিযান চালায়।
দণ্ডিত মো. মজিবুর রহমান ও শেখ খোকন মিয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ধরখার গ্রামের বাসিন্দা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মো.মজিবুর রহমানকে দুই লাখ টাকা ও শেখ খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি দুলাল ঘোষ এর সভাপতিতে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সভার প্রথম অধিবেশনে বিগত বছরের আয় ব্যয় উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সবার সর্ব সম্মতিক্রমে শাহাদাত হোসেন লিটনকে (দৈনিক মানবজমিন) সভাপতি ও মোঃ ফজলে রাব্বিকে (দৈনিক ইত্তেফাক) সাধারণ সম্পাদক করে দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন (ডেইলি বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম (দৈনিক যায়যায়দিন), তাজবীর আহমেদ (দৈনিক আমাদের সময়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম (প্রতিদিনের সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক- নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম রনি (দৈনিক খোলা কাগজ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল মামুন (বিজয় টিভি), কার্যকরী সদস্য- মোঃ রফিকুল ইসলাম (দৈনিক আজকের হালচাল), দুলাল ঘোষ (দৈনিক সংবাদ), নাসির উদ্দিন (দৈনিক সমকাল)।