চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আখাউড়ায় দরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মরহুম হাজী শাহাদাত হোসেন ফুল মিয়ার স্মরণে এ.এম.ডি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৬ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিয়াজ, আলু, ছোলা, ডাল ও মুড়ি।
ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য কাজী ইউছুফ, মোঃ ফিরোজ মিয়া, ব্যবসায়ী শাহীন খান, ডাঃ ইকবাল হোসেন, নাজমুল হোসেন সুমন, নাসির চৌধুরী, আলী আকবর, বাছির মিয়া ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মরহুম হাজী ফুল মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন সুমন বলেন, গরীব-দুখী মানুষ সারাদিন রোজা রাখার পর সুন্দভাবে যেন ইফতার করতে পারে সেজন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। এএমডি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিগত ৫/৬ বছর যাবত আমরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে আসছি। গরীব-দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আমাদের উদ্দেশ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকার তামাশা করছেন বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন নির্বাচন নিয়ে তামাশা করেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভ্যাস উদ্ভট উদ্ভট কথা বলা। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি এবং তাদের হোতারাই অতীতে তামাশা করেছেন।
এ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকাসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে, আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মবিরতির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চার ঘন্টা ছিল।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারতগামী প্রায় ১শ যাত্রী আটকা পড়ে। এতে দূর- দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। তবে বেলা ১ টার দিকে ভারতীয় নাগরিক এবং চিকিৎসাজনিত জরুরি কাজে যাওয়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাঠানো হয়। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসার যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
কুমিল্লা থেকে আসা জান্নাত বেগম বলেন, আমার স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাব। বিকেল ৪ টায় বিমানে উঠার সময়। সেজন্য সকাল ৯ টায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আসি। আমাদেরকে বার বার অপেক্ষার জন্য বলা হয়। এতে আমাদের সময় যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে। কুমিল্লার ফরিদ উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে সকাল ১০টায় ইমিগ্রেশনে এসে জানতে পারেন পুলিশের কর্মবিরতি চলছে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এখন তিনি বিপাকে পরেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম জানান, সারাদেশে থানায় হামলা হয়েছে, অনেক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন পুলিশ সদস্যরা। এর ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে বেলা ১ টার পর ভারতীয় নাগরিক এবং চিকিৎসা জনিত জরুরি কাজে যাওয়া যাত্রীদের পাঠানো হয়েছে। এখন আর কোন যাত্রী আটকা নাই। তবে বাংলাদেশী যাত্রীদেও মধ্যে শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থ মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রীদেও ভারত গমনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসার যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়ে, গায়ে হলুদ, পুজা, খেলা-ধুলা বা মিছিলে বাদ্য বাজানোর জন্য ডাক পরে তাদের। কাঁধে ঢোল ঝুলিয়ে দু’হাতে ঢাকে কাঠির বারি দিয়ে ছন্দের আওয়াজ তুলেন। সেই ছন্দে মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে। মানুষকে আনন্দ দিয়েই চলে ঢুলিদের সংসার। পুজা এলেই কদর বাড়ে তাদের। ঢাকের বাদ্য ছাড়া পুজার আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ। তাই আসছে দুর্গাপুজায় বাদ্য বাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী ঋষিদাস পাড়ার ঢুলিরা। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা।
সোমবার দুপুরে ঋষি পাড়ায় ঢুকতেই কানে আসে ঢোলের আওয়াজ টেম-টে টেটেম..টেম.। সেই আওয়াজের ছন্দে শিহরণ জাগায়। মনে করিয়ে দেয় পুজা আসছে। উঠানে গিয়ে দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র পরখ করে নিচ্ছেন ঢুলিরা। কেউ বা আঙ্গুলের আলতো ঁেছায়ায় ঢোলে তাল তুলছেন। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।
ঢুলিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য ঢাক-ঢোল বাদ্য-বাজনার পেশা ধরে রেখেছে ঋষিদাস পাড়ার ৫/৬টি পরিবার। বিয়ে-গায়ে হলুদ, পুজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। তাছাড়া ঢাক-ঢোল মেরামত আর মাঝে মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করেও কিছু আয় হয়। তা দিয়েই চলে সংসার। তবে তাদের ভাষ্য, দিন দিন আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। তবু বাপ-দাদার পেশা বলে আকড়ে ধরে রেখেছেন।
ঢুলির সর্দার বিশাম্বর ঋসি প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ডোল বাজাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা ঢুলি ছিলেন। ১০/১২ বছর বয়স থেকে বাবার সাথে ঢোল বাজাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম। এভাবেই ঢোল বাজানো শিখি। শখ থেকেই ঢোল বাজানো পেশা হয়ে গেছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি বাবার পেশা ধরে রেখেছি। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ঢোল বাজানোর সাথে জড়িত আছি। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলে আছে তারাও আমার সাথে বাজনা বাজায়।
তিনি আরও বলেন, বছরের অন্য সময় বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে বাদ্য বাজনার ডাক পরে। বছরের ২০/২৫টি অনুষ্ঠান করতে পারি। তবে পুজার সময় কাজের চাপ বাড়ে। এবার দুর্গাপুজায় ৪টি মন্ডপে কাজ পেয়েছি। একটি মন্ডপে ১০/১২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। লোকজনকে দিয়ে নিজের কিছু থাকে। বাপ-দাদা এ পেশায় ছিল। আমিও করছি। আমার ছেলেরাও করবে। তিনি বলেন আয় রোজগারের পাশাপাশি, ভক্ত-বৃন্দ আনন্দ পায় এটাই আমাদের আনন্দ।
কথা হয় রাখাল ঋসির সাথে। তিনি বলেন, ৬৫ বছর বয়স হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই ঢাক-ডোল বাজাই। পুজার সময় রোজগার বেশি হয়। তাই সারা বছর পুজার জন্য অপেক্ষা করি। ঢাক বাজাতে বিভিন্ন জেলাতে চলে যাই। পুজাতে ঢাক বাজিয়ে বেশি আনন্দ পাই। তিনি আরও বলেন, বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে ২/৩ হাজার টাকা পাওয়া যাই। এভাবেই আমাদের সংসার চলে। বয়স হয়েছে। জানি না আর কত দিন ঢোল বাজানোর কাজ করতে পারবো। আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ^জিত পাল বাবু বলেন, পুজার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার। এটি আদিকাল থেকেই ছিল। এখনও আছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আয়ের স্বল্পতার কারণে অনেকেই এ পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ঋষিদাস পাড়ার কয়েকটি পরিবার পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে কোন রকমে টিকে আছে। আশা করি, সরকারসহ স্থানীয়রা তাদের প্রতি নজর দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকা থেকে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জয়পুর এলাকার মান্নান মিয়া ছেলে মুন্না মিয়া (২৪) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২১)। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসে। ব্যক্তিগত কাজে তারা বাংলাদেশে আসে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে।