চলারপথে রিপোর্ট :
চারপাশে সবুজ। ঠিক মাঝখানে লাল। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন বাংলাদেশের পতাকা। নাসিরনগর উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চিত্র এটি। উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে এটি করা হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, উত্তর লক্ষ্মীপুরে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৪০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘরসহ ভূমি পেয়েছেন বিধবা নারী, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী ও গৃহহীনরা। ঘরগুলো দৃষ্টিনন্দন করতে চাল লাগানো হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজে। ২২ মার্চ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার এসব ঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী ঘর হস্তান্তরের পর জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ ধাপে ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এসব পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১০৫টি, বাঞ্ছারামপুরে ১২৬টি, নবীনগরে ১০০টি, আখাউড়ায় আটটি, সরাইলে ৪৯টি, আশুগঞ্জে ২০টি ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার রয়েছে। এরই মধ্যে সুবিধাভোগী ভূমি ও গৃহহীনদের নামে ভূমির দলিল নিবন্ধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরগুলো একই নকশায় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় গ্রাম পুলিশদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১২ জুন বুধবার দুপুরে ১৩টি ইউনিয়নের ১০ জন মহিলা ও ৪০ জন পুরুষ গ্রাম পুলিশের মধ্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়। নতুন বাইসাইকেল পেয়ে ভীষণ খুশি এ সকল গ্রাম পুলিশরা। নতুন সাইকেল পাওয়ায় তাদের কাজের গতি আরো বেড়ে যাবে এমনটাই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেয়া বাইসাইকেল বিতরণ করেন উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাইসাইকেল পাওয়া একাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, এ সাইকেল বিতরণের ফলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের কাজ আরও গতিশীল হবে। সময় বাচঁবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সব তথ্য তারা গ্রামে গ্রামে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মে মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ১৫ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা ও সুমাইয়া আফরিন। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে ইসরাত জাহান, সৃষ্টি রায়, সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। ২১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে লামিয়া আক্তার।
বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায় ও স্নেহাল গোপ পান্না। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন শয়ন গোপ।
ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। আমি নাসিরনগর উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত পাবলিক লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখি প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন পাঠক লাইব্রেরিতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, পরে সেখান থেকে চিন্তা করি লাইব্রেরিতে কেমন করে পাঠক বাড়ানো যায়। তখনি ঘোষণা দেই লাইব্রেরিতে বেশি দিন উপস্থিত থেকে যে বই পড়বে তাদেন পুরস্কার দেওয়া হবে। এখন প্রতিদিন লাইব্রেরিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন পাঠক আসে।
তিনি আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়েছিলেন তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। মে মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়ার জন্য আজ ১২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক গুলো বইয়ের নাম বলেছেন, যেগুলো তারা পড়তে চাই। আমি সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে পাবলিক লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত হয়ে বই পড়ায় ৯ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বালিকা ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন ছাত্রী শেখ সুমাইয়া ও ঐশী সরকার, যৌথভাবে ২য় হয়েছে ইসরাত জাহান ও হাফসা বেগম এবং ৩য় হয়েছে সুমাইয়া জাহান। বালক ক্যাটাগরিতে প্রথম অময় সরকার, ২য় সৌমক রায়, ৩ যৌথ ভাবে হয়েছে অয়ন সূত্রধর ও অনির্বান দাস।
জানা যায়, আগে উপজেলার লাইব্রেরিতে আগে তেমন পাঠক ছিলো না। জরাজীর্ণ ভবনে নানান রকমের বই থাকলেও গড়ে এক বা দুইজন শিক্ষার্থী এখানে আসতেন। পাঠক ফেরাতে সপ্তাহব্যাপী বই মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত ব্যক্তি পাবেন পুরস্কার। সেই ঘোষণায় বেড়েছে নাসিরনগর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক উপস্থিতি।
এ উপলক্ষে পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এ সময় মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি নেই। এটি নাসিরনগরের সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমি উপজেলায় যোগদানের পর লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা খুবই কম। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে যারা সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়বেন, তারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বইয়ের পাঠকদেরকে আমরা পুরস্কৃত করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পীরজাদা মাওলানা রিয়াজুল করিম আলকাদরীর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছ (শোভাযাত্রা) বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে সমবেত হয়। এসময় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ হাজার হাজার মুসল্লী জুলুসে অংশ গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পীরজাদা মাওলানা রিয়াজুল করিম আলকাদরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আতাউর রহমান গিলমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (এমপি)।
এসময় উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাবেক সভাপতি পীরজাদা মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমেদ, বর্তমান সহ-সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজি, জামিয়া মতিনিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, প্রভাষক মাওলানা আশরাফুল আজিজিসহ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগন বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আলেম-ওলামা ও বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখগন উপস্থিত ছিলেন। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এসময় মাহফিলে একটি বিশেষ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
পরবর্তীতে মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলটি শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাবেক সভাপতি পীরজাদা মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমেদ আলকাদরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় স্কুলছাত্রীদের ইভটিজিং করার দায়ে মাসুম (২৪) নামে এক যুবককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাসুম বীরগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ইভটিজিংয়ের সময় অভিভাবকরা তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, মাসুম প্রায় সময় বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করতেন। এছাড়াও তিনি অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতেন। মঙ্গলবার বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার সময় অভিভাবকরা তাকে আটক করে খবর দেয়। সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। তার মোবাইলেও একাধিক মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।