চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ‘৩১ দফা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ অক্টোবর শনিবার সকালে দিনব্যাপী উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যা দলটির তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে জোরদার করার একটি অংশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক মাস্টারসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর ইসরাইল কর্তৃক বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও ইসরাইলী পণ্য বর্জনের দাবিতে এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সরাইল উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে উচালিয়ায়াপাড়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও সৈয়দটুলা সুফিয়া করিম মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সহস্রাধিক আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদি মুসলিম জনতা অংশগ্রহন করেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই এমপি। আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সরাইলে উপজেলায় অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মী সভায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)।
সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর প্রত্যাহার করা আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান আলম সাজু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন করি একজন সাহসী মানুষ হিসেবে। যিনি তারেক রহমানের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই বয়সেও শিরদাঁড়া শক্ত করে মাথা উঁচু করে আছেন। আশা করি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে পাঁচ বার এমপি ছিলেন।
আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে খাদিজা বেগমের (৪৫) পরিবারের দুই ছেলে প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আশেক মিয়া (২২) শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। মেজ ছেলে লাদেন মিয়া (১৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। মিথ্যা মামলায় স্বামী দুলাল মিয়া (৫০) জেলখানায়। মেয়ে একটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। বইখাতা ও বেতনের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে।
বড় ছেলে আশেক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিছুটা চলাফেরা করতে পারলেও লাদেন ঘরের বাইরে যেতে পারে না। লাদেনের যখন আট বছর বয়স তখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে সময় লাদেনের বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেশের নামিদামি বহু হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সেই থেকে লাদেনের হৃদয় যেন বেদনার বালুচর।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলা করা ছোট্ট লাদেন এখন হয়ে গেছেন প্রতিবন্ধী। তখন থেকে বাইরে বের হয়ে দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ কিছুই দেখা হয় না তার। ছোটবেলার ছোটাছুটি আর বন্ধুদের সঙ্গে মাতামাতি এখন কেবলই স্মৃতি। সবই বিধাতার খেলা। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুস্থ হওয়ারও। এখন আর চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। কোথায় পাবেন অত টাকা? কোথায় করাবেন চিকিৎসা? প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে কোনোরকমে অর্ধাহার-অনাহারে চলে তাদের সংসার।
সকালে খেলে বিকালের খাবার থাকে না। ক্ষুধায় ছটফট করে কাটে সারারাত। তাদের শেষ সম্বল যেটি ছিল, সেই ভিটেবাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। অসুস্থ ছেলেমেয়েদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় খাদিজা আশ্রয় নিয়েছেন লাদেনের চাচার বাসায়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী খাদিজার স্বামী ফেঁসে গেছেন মিথ্যা মামলায়। জেলখানায় রয়েছেন ছয় মাস ধরে। একদিকে দুই সন্তান অসুস্থ, মেয়ের পড়ার খরচ, স্বামী জেলখানায়। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। চারবার করিয়েছেন বেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন। তাতেও সফল হয়নি। ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে গেছে পুরো শরীরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেলা থাকতেও যেন আঁধার এসে গ্রাস করেছে তাকে। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তার।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যান এ প্রতিবেদক। তার কাছে নিজের এ ভাগ্যবিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন মৃত্যুশয্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীর। জানান বাঁচার আকুতি। বাঁচাতে চান ছেলেমেয়েদেরও। দুই ছেলের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে চান। পড়াতে চান মেয়েকে। আর এ জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। চাইছেন তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াক। আর এ জন্য দিয়েছেন বিকাশ নম্বর। খাদিজার বিকাশ নম্বর ০১৭৭২২৯৪৬৮৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে আজবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আজবপুর এলাকার মৃত আসিদ মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জান্নাতুল ফেরদৌসের জন্মের আগেই তার বাবা আসিদ মিয়া মারা যায়। তারপর মোর্শেদা বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বড় করেন। সকালে মোর্শেদা বেগম বাজারে গেলে এ সুযোগে জান্নাতুল ফেরদৌস ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। তবে কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।