অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে। ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপসচিব মোঙ্গল চন্দ্র পাল স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে ৭ জুলাই জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ১৪ জন সদস্যদের অবমূল্যায়ন, খারাপ আচরণ, হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধান ও কর্মচারীদের সাথে অবমূল্যায়ন, স্বেচ্ছাচারিতাসহ শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদার বিলের ফাইল আটকিয়ে রেখে ঘুস বাণিজ্য এবং চরম দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগের পর মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব অতুল সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৩০ জুলাই খাগড়াছড়িতে পরিষদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং ৩১ আগস্ট অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর তদন্ত সভা করে। পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় জিরুনা ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়েন জিরুনা ত্রিপুরা।
উল্লেখ্য, বর্তমান পরিষদ সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নিজ কার্যালয়ে সালিশে বসে এক আইনজীবীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. এনামুল কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ ১৯ জুন সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. এনামুল কবিরকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী ১৮ জুন থেকে তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার আদেশ দেওয়া হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা আবশ্যক ও সমীচীন বিবেচিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
গত ১৫ জুন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ আনা হয় অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আইনজীবী আশিকুর রহমান নিজেই এ অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতি জরুরি সভা করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানেও একই দাবিতে আইনজীবীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদলিপি দেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনজীবী সমিতির সদস্য আশিকুর রহমান তার ভাই নেত্রকোনা থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে অভিযোগ করেন। বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) এনামুল কবিরের কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানি নেওয়া হয়।
এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি আশিকুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুই বাঁকা হয়ে ঘাড় ত্যাড়া করে দাঁড়িয়েছিস কেন? তুই কার সামনে দাঁড়িয়েছিস জানস?’ এ কথা বলেই কাছে গিয়ে তিনি চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আশিকুর রহমান নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবির। তিনি কনস্টেবলের মাধ্যমে রড এনে আশিকুরের হাতে ও পায়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পরে আশিকুর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনামুল কবির জানিয়েছিলেন, ‘অভিযোগ শুনানির জন্য আশিকের পরিবারকে ডাকা হলে এক পর্যায়ে দুই ভাই একদিকে আর পাঁচ ভাই ও তাদের মা অন্যদিকে অবস্থান নেন। সেখানেই ঝগড়া করায় প্রথমে থাপ্পড় ও পরে পুলিশের বেত দিয়ে বাড়ি দিয়েছিলাম। রড দিয়ে মারধর করা হয়নি।’
এ ঘটনায় আশিকুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতি ১৮ জুন রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজির স্থায়ী বরখাস্ত চেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। রবিবার পুনরায় বৈঠক করে আল্টিমেটামের সময় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ায় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ নিয়ে গত শুক্রবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবী আশিকের ভাই গোলাম মোহাম্মদ সোহেল পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ‘সরকার নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করছে। আমরা এতে খুশি।’
তবে ভুক্তভোগী আইনজীবী আশিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তার স্থায়ী বরখাস্ত চাই এবং আইনজীবীবান্ধব আইন চাই। এটি কেবল আমার দাবি নয়, সারা দেশের আইনজীবীদের দাবি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
লালমাই পাহাড়ের ঢালুতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। হানিকুইন জাতের আনারসে হাসছে পাহাড়ের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় কৃষকরা দুই হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ করেছেন। প্রথমবারে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।
সরেজমিনে শনিবার বড় ধর্মপুরে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ, আবদুর রশিদ ও তার সহযোগীরা বাগান থেকে আনারস কাটছেন। কেটে এনে বাগানের পাশে স্তুপ করছেন। পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ পেরিয়ে ট্রাক্টর বাগানের পাশে এসে পৌঁছেছে। স্তুপ করা আনারস ট্রাক্টরে তুলে দেয়া হচ্ছে। সেই আনারস চলে যাবে পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের দুতিয়াপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। সেখানে খুচরা পাইকারি আনারস বিক্রি করা হয়। পাহাড়ে আনারস চাষ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। আনারস কেটে জমিতেই অনেক ক্রেতা খেতে শুরু করেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আনারসের মিষ্টি ঘ্রাণ। আনারসের রসে ভিজে যায় ক্রেতার মুখ ও হাত।
স্থানীয় দুতিয়াপুরের ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, লালমাই পাহাড়ে একসাথে এতো জমিতে আর আনারস চাষ হতে দেখিনি। ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়রাও সাশ্রয়ী মূল্যে আনারস ক্রয় করতে পারছেন।
দত্তপুর গ্রামের ক্রেতা আবদুল হাসান। তিনি বলেন, তিনি ভ্যানে আনারস ও পেয়ারা কেটে বিক্রি করেন। পাহাড়ের আনারসের স্বাদ ও গন্ধ ভালো হওয়ায় তিনি এখান থেকে আনারস কিনে নেন।
উদ্যোক্তা আলী নেয়াজ বলেন, অন্য সবজিতে বেশি সার ও কীটনাশক দিতে হয়। খরচ বেশি হয়। তাই আমরা এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে আনারসের চাষ করেছি। এটাতে খরচ কম। কৃষি অফিস আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রথম বছরে ভালো ফলন হয়েছে। ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ৬-৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমাদের দেখে অন্য কৃষকরাও আরনারস চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে হানিকুইন জাতের আনারসের ৬০ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। ফলন আসার পর মাঠ পরিদর্শন করে দেখেছি। ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষক খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই পাহাড়ের প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। তাদের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন। লালমাই পাহাড়ের আনারস সম্প্রসারণের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বিন্যাস করে রায় দিয়েছেন। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাক্ষিক মত ও পথ-এর আয়োজনে ‘সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা নিশ্চয় কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই পূরণ হয়নি। বাস্তবে এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি হয়নি। এই ৭-৮ শতাংশ কোটা পূরণকারী প্রতিযোগীরা প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভায় নিজস্ব যোগ্যতার বলে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপর এসেছে কোটার প্রশ্ন। তথাকথিত আন্দোলনকারীরা এসব বিষয়ে না বুঝেই আন্দোলনে মাঠে নেমেছে।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে নিজেদের রাজাকার আখ্যায়িত করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনাবিরোধী তাদের এই স্লোগান সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
তাদেরকে বুঝতে হবে যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ দেশের মানুষ সহ্য করবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং সুধীসমাজের কতিপয় সদস্যের নেতিবাচক বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করেছে, সেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যারা পিটিয়েছে, তাদের হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তাদের সমালোচনা না করে উনারা বরং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, অগ্নিসংযোগকারী আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করছেন। এই সহমর্মিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ তাদের হীন উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা যে স্বাধীনতার আদর্শে অনুপ্রাণিত নয় এতে সেটাই প্রমাণিত হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে তারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছে, যারা নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিয়েছে; তারা প্রকৃত অর্থে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে।
তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি, ত্রাণ অধিদপ্তর, সেতু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তারা শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করেনি, তারা নিজেদেরও ক্ষতি করেছে। কারণ এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদে সবারই অংশীদারি রয়েছে।
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করে কখনো সরকার উৎখাত করা যায় না, বরং এটা নিজেদেরই ক্ষতি। এই অযৌক্তিক আন্দোলনকে ইস্যু করে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও সব কিছুর সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত এবং বর্তমান সরকার তা সঠিকভাবে করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’-এর সভাপতি এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী ডাকসুর প্রথম জিএস মাহবুব জামান প্রধান আলোচক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির স্মৃতিচারণা করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হতাহতের ঘটনা ঘটার দুই দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাথিউ মিলার কিভাবে দুজন নিহতের ঘটনা উল্লেখ করলেন সে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার সেখানে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। সার্জারির আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি হন রাষ্ট্রপতি।
বুধবার সকালে কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপ্রধানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি তার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সবার দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, সোমবার সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে এসেছিলেন আমেরিকান নারী ব্যাংকার শ্যারন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুকে বিয়েও করেন তিনি। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান। এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান আমেরিকায়। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়। বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুরের ঝাউখোলা গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকু ও তার পরিবারকে বলে যান তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিংকুকে গ্রহণ করবেন। কয়েক মাস পর তিনি সেই কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গেই থাকছেন। প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকু বেশ ভালোই আছে।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। বাবাকে সে আমেরিকায় নিয়ে গেছে।