চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জায়গার দলির ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ০৮ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
“ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলা, সরাইল উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে সঙ্গীতা বেগম বলেন, আগে আমরা নৌকায় থাকতাম। যাযাবর জীবন ছিলো আমাদের। এখন থেকে নিজের ঘরে থাকব, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। তিনি তাকে ঘর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে শিল্পী বেগম বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপন ঠিকানা দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি বলেন, আমি জীবনেও নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারব ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী হিরন মিয়া বলেন, আগে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের ঘরে থাকব। শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ ঘর দিয়েছে, আমি অনেক খুশি।
ঘর পাওয়া আনোয়ার, রবিউল ও শফিক মিয়া জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ঈদের আগেই ঈদ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আমাদের স্বপ্নের নিজের ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করব।
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর করা ১০৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ঘর বেদে পরিবারকে দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ থাকা ১৪ নম্বর কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন করতে কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) শুরু হয়েছে। সংস্কারকাজ শেষে ওই কূপ থেকে দৈনিক দেড় কোটি (১৫ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিএফসিএলের আওতাধীন তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। কিন্তু পানি ওঠাসহ নানা কারণে সেখানকার চারটি কূপ বন্ধ আছে। এ ছাড়া দেশের আরও কয়েকটি কূপ থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ আছে।
এমতাবস্থায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাসক্ষেত্রের বন্ধ থাকা সাতটি কূপ সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) জন্য ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় বিজিএফসিএল। বিজিএফসিএল সূত্র জানায়, সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই কূপ থেকে ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ২০০৯ সালে গ্যাসের সঙ্গে অতিরিক্ত পানি আসায় কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংস্কার (ওয়ার্কওভার) করে ওই বছর আবার উৎপাদনে আসে। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ হয়। ২০২০ সালে আবার পানি এলে গ্যাসের সরবরাহ কমে যায়। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। সরকার সাতটি কূপ সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) প্রকল্প নেওয়ার পর নতুন করে কূপটির সংস্কার শুরু হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা বলেন, ২০২১ সালের নভেম্বরে ১৪ নম্বর কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দুই মাসের মধ্যে ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে। ওই কূপসহ এখন তিতাসের তিনটি কূপ বন্ধ আছে। তিনটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে। ইসমাইল মোল্লা আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে সাতটি কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ করা হবে। তখন জাতীয় গ্রিডে ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া বাকি চারটি কূপ এখনো উৎপাদনে আছে। উৎপাদন ধরে রাখতে মেইনটেন্যান্স করতে হবে।
তিনি বলেন, সাতটি কূপের মধ্যে চারটি ওয়ার্কওভারের কাজ করবে বাপেক্স। দ্রুত গ্যাস উত্তোলনের স্বার্থে অন্য কূপগুলোর সংস্কার করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, প্রায় ৫৫ বছরে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের কূপগুলো থেকে প্রায় সাড়ে ৫ টিএসএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমছে। গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসর বসানো হয়েছে।
এ ছাড়া বন্ধ কূপগুলোর ওয়ার্কওভার শেষ হলে বিজিএফসিএলের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের উৎপাদন আরো বাড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে তিনি শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
আল-মামুন সরকারের শ্যালক তানভীর আহমেদ জানান, সোমবার সকাল সাতটার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর স্ত্রী জিনাত আখতার তাঁকে ডাক দেন। কিন্তু তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে চিকিৎসক ডাকলে তিনি এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আল-মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনি, ফুসফুসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আল-মামুন সরকার দশম শ্রেনীতে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
“নির্লোভ রাজনীতিবিদ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত আল-মামুন সরকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। সমাজসেবায় তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবকল্যান পদক লাভ করেন।
এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুর খবর শুনে সকালেই তার বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজার আগে মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব সিগবাতুল্লাহ নূর। নামাজে জানাযার আগে জেলা পুলিশের একটি দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে জেলার সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সভূক্ত ৯টি সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাকিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম, কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ ইউসুফ খান, ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শহিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বান্দরবান ও থানচিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে ব্যাংক ও ব্যাংকারদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় শঙ্কা প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুদিন ধরে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য বাড়ানোর দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে স্মারকলিপি দেন তারা। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জেলার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। তবে সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবেন। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে তা আমরা দেখবো।
তবে, এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, আপনারা আজ যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রি কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রি করতে পারবেন না। আবার অতিরিক্ত দরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করবেন। তাই তারা দোকান বন্ধ করছেন। সবশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনে মাংস বিক্রি করতে হবে।