চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পোষ্ট অফিসের সরকারি ৫টি গাছ টেন্ডার ছাড়া কর্তন করা হয়েছে। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়ে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব মূল্যবান গাছ কর্তন করেছেন। গাছের কয়েকটি কান্ড এবং ঢালপালা পোষ্ট চত্বরের মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার গাছগুলি কাটা হয়। তবে পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন দাবি করে বলেন গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে।
জানা যায়, আখাউড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোষ্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোষ্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোষ্ট মাষ্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এরমধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকী গাছগুলো কান্ডের উপরের অর্ধাংশ ঢালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। তবে গাছ কাটার জন্য পোষ্ট অফিস বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়নি পোষ্ট মাস্টার।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরজমিনে পোষ্ট অফিসে দেখা যায়, পোষ্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় কিছু গাছের কান্ড এবং ঢালপালা রাখা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোষ্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন বলেন, গাছের ঢালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল। এজন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে, তিনি লিখিত কোন অনুমতি দেখাতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোষ্ট অফিসের কোন চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।
আখাউড়া উপজেলার সদ্য সাবেক বন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মাপঝোক করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর নিলাম কমিটি নিলাম দেওয়ার পর নিলাম প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোষ্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পরে সেজন্য গাছের ঢালপালার ছেটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোষ্ট মাস্টারকে নির্দেশ দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মূলক ট্রেন গেল ভারতের আগরতলায়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ৬ জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নব নির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে একটি ট্রায়াল ট্রেন আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ায় ট্রেন চালক মো. মাফুজুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথম বারের মতো আমাদের ৬ জন স্টাফ নিয়ে আগরতলায় যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেঘা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে বিলম্ব হয়।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফসী আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২৪ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপকারভোগী ৫’শ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জাহিদ হাসান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আয়েত আলী প্রমুখ।
এসময় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫’শ জন প্রান্তিক কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হয়। এরমধ্যে আখাউড়া পৌরসভায় ২০ জন, উত্তর ইউনিয়নে ৪০ জন, দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৬০ জন, মোগড়া ইউনিয়নে ১২০ জন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ১৫০ জন এবং ধরখার ইউনিয়নে ১০ জন। প্রত্যেক কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাস্সুম বলেন, আখাউড়া উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫’শ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। এবার আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ হেক্টর। সেজন্য কৃষকদের মাঝে সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। আশা করি আউশের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে দুইদিন বন্ধ থাকার পর আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। বন্ধ শেষে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে গত ২ দিন এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে জানানো হয়েছে। বন্ধ শেষে সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মোহাম্মদ খায়রুল আলম বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী ও বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ২ দিন বন্ধ থাকলেও এ বন্দর দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক ছিল।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রফতানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষকদেরকে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদানের উদ্দেশ্যে আখাউড়া উপজেলায় ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম আওতায় শ্রেণী শিক্ষকগণের ৭ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে পৌরশরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি দাখিল মাদ্রাসার ৩১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
১০ টি বিষয়ে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩০ জন মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ করাবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণগ্রহণকারী শিক্ষক জিয়াউল হক উজ্জল বলেন, এ প্রশিক্ষণ আমাদের অনেক সহায়ক হবে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার ইমতিয়াজ উল কবির বলেন, প্রশিক্ষণগ্রহণার্থী শিক্ষকরা নতুন কারিকুলামকে ভালোভাবে গ্রহণ করছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন তিনি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, নতুন কারিকুলাম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিষয় ভিত্তিক শ্রেণী শিক্ষকদেরকে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদান করাই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে।