চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাস মাহে রমজানের প্রথমদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাজার তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকায় নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার দুপুরের দিকে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা।
জানা গেছে, মূল্য তালিকা না থাকায় সাতটি সবজি দোকান ও দুইটি মুদি দোকানকে ওই জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বলেন, রমজানকে সামনে রেখে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন মুদি ও সবজির দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
২৬ আগস্ট সোমবার বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রত্যন্ত বন্যা কবলিত দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০০ পরিবারের মধ্যে উপহারের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডা. মো. তারেকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল হক শাকিল, সহ-সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা ড্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় ড্যাব সদস্য ডা. জুনায়েদুর রহমান লিখন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মেজবাহ উদ্দিন, ড্যাব সদস্য ইকরামুল রেজা, ডা. সারোয়ার হোসেন, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সেলিম ভূইয়া, সদস্য সচিব আক্তার খান ও যুবদল সদস্য সচিব মহসীন ভূইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। শেখ হাসিনা পালাবেন না বলে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়ায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি। বন্যা পরবর্তীতে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে সুরক্ষার জন্য ড্যাবের মেডিকেল টিম বিনামূল্যে জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিবে বলে জানান তিনি। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে যানজট কমানের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. রাহাতুল ইসলামের পৃথক দুটি আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এসময় সড়ক অবৈধ মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের দায়ে তিন চালককে তিনটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাস্তার পাশে মোটর সাইকেল রেখে যানজন সৃস্টি করায় এবং মালিকবিহীন ৫টি মোটর সাইকেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাট উন্মুক্ত রাখার জন্য ভাসমান দোকানীদেরকে সতর্ক করেন আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, সড়কে যত্রতত্র গাড়ি রাখায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে জনসাধারণের সমাগম বৃদ্ধি পায়। সড়কে যানজট কমানোর লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল পালিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন তা জানা নেই কারও।
আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে হামলার পর পাশের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যান তিনি। পুকুরে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বলছেন, পুকুর থেকে উঠে বোরকা পরে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাড়িতে হামলার সময় তার বাড়ির ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাড়ির সব কিছু লুট হয়। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র মিলি আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়রের কক্ষে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
স্থানীয় লোকজন গণমাধ্যমকে জানায়, গত মঙ্গলবার সকালেও মেয়রের বাড়িতে লুটপাট চলতে থাকে। বাড়ির দালান ভবনের রড, ইটও খুলে নিতে থাকে লোকজন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিএনপি নেতারা লুটপাটকারীদেরকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সামনে রশি টানিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা চলে গেলে আবার লুটপাট শুরু হয়। আবার ছুটে এসে লুটপাটকারীদেরকে শাসিয়ে সরিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলমসহ মো. বাহার মিয়া, মো. সেলিম ভূঁইয়া, জিয়াউল হাসান সানি, মো. ইমরান মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে আরো ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় আখাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামসেদ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভূমিহীন গৃহহীন ব্যক্তিদের মাঝে ঘর প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথথিবীতে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র প্রধান আজও এধরণের কোন মহৎ উদ্যোগ নেয়নি। আজকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিরা ভ‚মি ও ঘর পেয়ে হাঁস-মুরগি, গরু, ছাগল লালন পালন করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষাবাদ করে আয় রোজগার বাড়ানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় ৬৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মুসলেহ উদ্দিন আহম্মদ।