চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাস মাহে রমজানের প্রথমদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাজার তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকায় নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার দুপুরের দিকে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা।
জানা গেছে, মূল্য তালিকা না থাকায় সাতটি সবজি দোকান ও দুইটি মুদি দোকানকে ওই জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বলেন, রমজানকে সামনে রেখে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন মুদি ও সবজির দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এসব ডাল বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে মসুর ডাল আমদানি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো পাঁচ টন মসুর ডাল আমদানি হয় ভারত থেকে ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ২য় চালান ঢুকে বাংলাদেশে। জানা যায়, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে আরও ডালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টন প্রতি ৯০০ ডলারে এসব ডাল আমদানি করেছে। সিএন্ডএফ ছিল আখাউড়ার মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারক ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড।
মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন জানান, দুই দফায় ত্রিপুরার স্থানীয় বাজার থেকে ডাল আমদানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় ৩২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ২ সহোদরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (৪৬) ও লোকমান মিয়া (৪২)। এই সময় মাদক বহনকারী দুটি সিএনজি জব্ধ করা হয়।
র্যাব-৯, সিপিসি -১, হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ধরখার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ভাই ভাই বেকারির সামনে অভিযান পরিচালনা করে দুটি সিএনজি থেকে ৩২ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে কম দামে গাজা সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করত।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ সূত্রে জানা যায়, আসামী লোকমান মিয়া একজন চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
এ বিষয়ে র্যাব-৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের’কে গাজা ও সিএনজিসহ আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও গাজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৯ এপ্রিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার অভিযানে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গণমাধ্যমকে দেয়া পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া বাইপাস সড়কের খড়মপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুই কেজি গাজাসহ মো: আল আমিন (৩৫) ও মো: সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে দুই মাদক ব্যবসায়িকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মাদক মামলা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মো: দেলোয়ার হোসেন রানাকে গ্রেফতার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তন্তুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও তিনি জানান ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আখাউড়ায় বিএনপি-জামাতের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং ২ জন জামাতের। তবে, উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমনে মিথ্যা মামলায় তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।
গত ১৬ দিনে পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান খান সানি (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রানা (৫০), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আমজাদ খান (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন (৩১), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান ভূইয়া (৪৫), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর চৌধুরী (৫৪), মনিয়ন্দ প্রবাসী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুমন (৪২) দরখার ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান মানিক (৫০), ধরখার ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খন্দকার (৩৭, মোগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ (৪০), উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মোঃ আলমগীর মিয়া (৪৬), মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ কাউছার (১৯), বিএনপি কর্মী মোঃ ইকবাল (৫০), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (৫৪) জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম আশিক (৪৭) উপজেরা জামাতের শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আল আনসারী (৫৫), জামাতের কর্মী মোঃ রতন (৪৫)।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, যে তারিখ ও সময়ে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করার জন্য মিথ্যাা মামলা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে নির্বাচন, গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে দূরে রাখার জন্য এ মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ, ও ককটেল বিস্ফোরনের দায়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।