স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ফরিদ মিয়া বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় কফিনবন্দি হয়ে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৮ দিনের মাথায় ৮ জুলাই সোমবার রাতে তার মরদেহ নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের তুলাবাড়ি গ্রামে আসলে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দিলেন আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া প্রতিবেশীরা।
ধার-দেনা করে ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফরিদ মিয়া। সেখানে রিয়াদ শহরে বড় একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। দেশে আসার আনন্দে স্ত্রী, সন্তানসহ মায়ের জন্য কেনাকাটার পর ল্যাগেজ বেঁধে সব প্রস্তুতি শেষ করেন। প্রতিক্ষার পালা যেন তার শেষ হচ্ছে না, কবে দেশে ফিরবেন। এরই মধ্যে দেশে আসার ৩ দিন আগে হঠাৎ গত ২০ জুন সৌদি আরবের রিয়াদে স্ট্রোক করে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এদিকে আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার বাদ জোহর তুলাবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে জানাযা শেষে ধাতুরপহেলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে, রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সড়ক পথে মরদেহ লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার পরিজন আর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এক নজর দেখতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার শতশত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন।
নিহত ফরিদ মিয়া ওই গ্রামের মৃত ছায়েদ মিয়ার ছেলে। তার পরিবারে মা, স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে ফরিদ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে রিয়াদ শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ গত প্রায় ২ বছর আগে দেশে আসেন। গত ২৪ জুন দেশে আসার কথা ছিল। বাড়িতে আসার ৩ দিন আগে স্ট্রোক করে মায়াভরা এ পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে যান।
ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফরিদ খুবই একজন কর্মঠ লোক ছিলেন। দেশে থাকতে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোঁটাতে অনেক কষ্ট করে বিদেশে যান। এরপর পরিবারটা ভালোই চলছিল। হঠাৎ স্ট্রোক করে এভাবে তিনি মারা যাবেন তা কখনো ভাবিনি। বাদ জোহর জানাজার শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করে অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা খুশি। উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট ৫৪৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২ টাকা।
৭৬৬ জন কৃষক থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ চলবে। প্রত্যেক কৃষক তিন টন করে ধান দিতে পারবেন।
ধান দিতে আসা কৃষক তোতা মিয়া জানান, তিনি বেশ খুশি। খুব সহজেই সরকারের কাছে তিনি ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। দামও ভালো পেয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অর্ধ শতাধিক দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ মতিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দূরবাজ রবিদাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এন. এস কবির পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমজানুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসয় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজেন্দ্রপুর যুব পরিষদের কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রুকন উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি মামুন মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা মিয়া, সদস্য মেম্বার আনু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মুড়ি, খেজুর, ছোলা বুট, তেল, পেঁয়াজ, মুসরি ডাল, লবন ইত্যাদি।
বক্তারা রাজেন্দ্রপুর সমাজ কল্যাণ যুব পরিষদের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। যার যার সাধ্যমত গরীব-দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুব সমাজকে মাদকের ছোঁবল থেকে দূরে রাখা এবং তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনার লক্ষ্যে আখাউড়ায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি গোল্ডকাপ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে।
টুর্ণামেন্টের আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোশাররফ হোসেন নির্জন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোশাররফ হোসেন নির্জন, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন, ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিক আহমেদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, সাবেক ক্রিকেটার নয়ন ঘোষ প্রমুখ।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেন নির্জন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমার বিশ্বাস এই উদ্যোগ সফল হলে আখাউড়া থেকে অনেক তরুন ক্রিকেটার জাতীয় পর্যায়ের খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তিনি আরো বলেন, টুর্ণামেন্ট চলাকলে মাদক বিরোধী প্রচারণাও চলবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। মুক্তিযুদ্ধের উজ্জল স্মৃতিময় স্থান হলো আখাউড়া। আমাদের পূর্বজনেরা যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তার প্রতিফলন হিসেবে আমাদের মাদক গ্রহণ করা উচিত না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের একটি আন্দোলন করে তুলতে হবে। খেলাধুলাই হবে তার একটি দৃষ্টান্ত।
আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা থেকে মোট ৮টি দল দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। বিজয়ী দলকে গোল্ডকাপ ট্রফি এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টুর্ণামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শরীফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার দায়ে মাহবুব মিয়া (৩৮) নামে এক পুলিং এজেন্টকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি মাইক প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন।
এসময় ভোট কক্ষে দ্বায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল আলীকে নির্বাচনের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার এ ঘটনা ঘটে। এক ভোটারের ভোট জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য প্রতীকে দেওয়ায় দণ্ডবিধির ১৭১-চ ধারায় ০৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।