স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এর মধ্যে যৌথ রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকাল ৫ টার সময় আখাউড়া চেকপোস্টের শূন্য রেখায় দু দেশের সুসজ্জিত চৌকস দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই যৌথ রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় যৌথ সিরিমনিতে দু-প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা,সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফের) গোকুলনগর সেক্টর হেডকোয়াটার ডি আই জি রাজ নারায়ণ মিশ্রা,৪২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট শের শিংহসহ বিজিবি- বিএসএফের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এ সময় কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা বলেন,১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়বে আরো।
তিনি আরো বলেন, বিজিবি বিএসএফ উভয়ই আমরা স্ব স্ব সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছি। দুদেশের নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য পারস্পরিক আন্তরিক সোহার্দ সম্পর্কের মাধ্যমে, সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত বন্ধুভাবাপূর্ণ মনোভাব আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে ও সবসময় একইরকমভাবে বজায় থাকবে।
বিএসএফের গোকুলনগর সেক্টরে হেডকোয়াটার ডি আই জি রাজ নারায়ণ মিশ্রা বলেন,সীমান্তের সমস্যাগুলো আমরা বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে সমাধান করি। আমরা আগামীতেও এভাবে বন্ধুত্বের মাধ্যমে সীমান্ত রক্ষা করবো।
পরে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বিজিবিকে ফুল,ফল,মিষ্টি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবৈধভাবে হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওড়া নদী থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে আবু কাউছার ভূঁইয়া ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করে করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
তিন টিকেট কালোবাজারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চর-নারায়নপুরের হিরণ মিয়া (৩৯), পৌর শহরের বড় বাজার এলাকার মজিবুর রহমান (৪৫) ও তারাগন গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫)। এর আগে সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৫১টি আসনযুক্ত টিকেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহাত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আখাউড়া উপজেলায় প্রকাশ্যে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী একটি মিছিল বের করে।
মিছিলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার, স্টেশন রোড ঘুরে মুক্ত মঞ্চের সামনে সমাবেশ করে।
আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সেক্রেটারি মাওলানা মো. বোরহান উদ্দিন খান।
বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে অনেক জুলুম নির্যাতন করেছে। ১৫ বছর পর প্রকাশ্যে মিছিল করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী আবু সাঈদসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় পৌর জামায়াতের আমীর মো. মোরশেদ আলম, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সিফাত উল্লাহ, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ, শিক্ষক আব্দুর রহমান কাশগরি উপস্থিত ছিলেন।