চলারপথে রিপোর্ট :
পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ঝুমা নামে (৫) এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মালিহাতা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ঝুমা ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিলেটগামী তরমুজবোঝাই একটি মালবাহী পিকআপভ্যান মহাসড়কের মালিহাতা এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় শিশু ঝুমা গুরুতর আহত হয়। আর পিকআপটি সড়কে উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বাসুদেব ইউপির কোট্টা সড়কের পাশ থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউপির কোট্টা সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। ওসি আরো জানান, অজ্ঞাত নারীর বয়স আনুমানিক ২৫। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে গোলাপী রঙের বোরখা ছিল। লাশের বিভিন্ন অংশে পিঁপড়া ও পোকামাকড় কামড়ে মাংস তুলে ফেলেছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাতে যে কেউ তাকে হত্যা করে ফেলে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“সেবার ব্রতে চাকরি” এই শ্লোগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ৭১ জন চাকরি প্রত্যাশী। অনলাইনে জনপ্রতি মাত্র ১০৫ টাকা খরচ করে (আবেদন খরচ) তারা চাকরি পেয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৭১জনের নাম ঘোষনা করেন।
৭১ জনের মধ্যে ৬০ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে। পরে পুলিশ সুপার সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম ফুল দিয়ে চাকুরি পাওয়াদের বরণ করে নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ১ হাজার ৭৩৮ জন আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি স্কিনিং শেষে ১২৩৮ জন প্রার্থীর শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ শেষে ৪৬৩ জন চাকরি প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে ৪৬১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৮৯ জন মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ন হন। ২৮৯ জন চাকরি প্রত্যাশী মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৭১জনকে চুড়ান্তভাবে মনোনীত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা টিআরসি-২০২৪ নিয়োগ বোর্ড। ৭১ জনের মধ্যে ৬০জন ছেলে ও ১১ জন মেয়ে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিপিএম বলেন, সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৭১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্যতা ও মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ছিলো। আমরাও সঠিক কাজটি করতে পেরেছি। ১০৫ টাকা আবেদন খরচের বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে।
তিনি আজকে যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হলেন তারা সবাই সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও সদরে মুহতামীম, দেশের শীর্ষ আলেমেদ্বীন আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:)’র স্বরণে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ আসর জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এর বর্ণাট্য জীবনীর উপর আলোচনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা শামসুল হক ছাতিয়ানী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মুফতী শামসুল হক, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী আবু বকর, মুফতী শরীফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী রাকিবুল হাসান, হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মাওলানা শরিফুদ্দীন, ক্বারি বোরহান উদ্দিন, মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) সারাজীবন ইসলাম, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ দ্বীনের বহুমুখী কার্যক্রম অত্যন্ত নিষ্টার সাথে পরিচালনা করে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা জীবন যাপন করে গেছেন।
আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এলেমের জগতে এক কিংবদন্তী আলেম ছিলেন, তার ইন্তেকালে এলেমের জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা পূরণ হবার নয়। সকলের সাথেই আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর ছিলো হাসিমাখা অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে তিনি সবসময় অবিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার ইন্তেকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন যোগ্য অবিভাবক হারিয়েছে।
আলোচনা শেষে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ 🙂 এর মাগফিরাত কামনায় মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, তালিবুলইলম ও মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।
তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।