চলারপথে রিপোর্ট :
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আখাউড়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে এক মুরগী ব্যবসায়ী ও তিন মুদি দোকানিকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের সড়ক বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্যানিটারি ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামসহ থানা পুলিশের একটি দল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা দোকানে প্রদর্শন না করা ও ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পরায় তাদের সতর্কতামূলক এ জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় আখাউড়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে সাথী ইসলাম (২৬) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সাথী ওই গ্রামের অটো চালক মোস্তাফা কামালের স্ত্রী। সে কে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরহদেহ উদ্ধার করে আখাউড়া থানায় নিয়ে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারনা করছে।
আখাউড়া থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাথী ইসলাম তার স্বামীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে। ঈদ মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে ভালো রোজগার হওয়ায় পরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে অটোচালক স্বামী। এরইমধ্যে একদিন ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার আবার স্বামীর কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু বলেন এখন যাত্রী বেশি ঈদ মৌসুম শেষ হলে আবার ঘুরতে নিয়ে যাব। একথা বলে তিনি বিকালে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২ টার দিকে মোস্তাফা কামাল বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে সাথী রাগ করে দরজা না খুলে তাকে অন্য ঘরে ঘুমাতে বলে। মোস্তাফা কামাল তখন তার ভাতিজার সাথে অন্য ঘরে ঘুমায়। সকাল ৬ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩ বছর আগে মোস্তাফা কামাল ও নারায়নগঞ্জ জেলার সাথী ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ঈদুল ফিতরের পর সাথী তার স্বামীকে কুটি কাঠের পুল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে বলে।
কিন্তু ঈদের মৌসুমে যাত্রী বেশি থাকায় কুটি না নিয়ে আখাউড়া চেকপোষ্ট এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বুধবার বিকালেও সে আবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এ নিয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
আখাউড়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে এসি লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হুজাইফা (২৫) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে পৌর শহরের খড়মপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হুজাইফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের মো. বুলবুল মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার খড়মপুর দক্ষিণপাড়ার প্রবাসী মো. জহির খাদেমের বাড়িতে এসি মিস্ত্রি হুজাইফা কাজ করতে যান। রুমের মধ্যে এসি লাগানোর পর এতে সংযোগ দিতে গেলে অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৪ জুন বুধবার দুপুরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি উদযাপনে আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন, বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং আগরতলা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও বিএসএফ সদস্যদের ফুল-মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলামসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর নিজ জন্মভূমিতে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া ফজিলা খাতুন নেছা (৫৫)। শুক্রবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন আগরতলা থেকে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে তাকে দেশে পাঠায়।
এর আগে তিনি ২০০০ সালে ঝিনাইদহ জেলার নিজ বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। ফজিলা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালি গ্রামের খয়বার আলীর মেয়ে। এদিকে হারিয়ে যাওয়া ফজিলা খাতুনকে গ্রহণ করতে সীমান্তের শূণ্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন তার মেয়েসহ স্বজনরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাকে ফিরে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গেন পরেন মেয়ে পিঞ্জিরা আক্তার। মেয়ের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকেন অসুস্থ ফজিলা খাতুন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় এসময় হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দিন পর স্বজনকে ফিরে পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন স্বজনরা। তবে অসুস্থতার কারণে ফজিলা কথা বলতে পারেননি। তিনি কিভাবে ভারতে গিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি।
সীমান্তের শূন্য রেখায় ফজিল খাতুনের ভাইপো মোঃ শাহজালাল বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ফুফু ভারতের আগরতায় মানসিক হাসপাতালে আছে। তারপর সরকারের সাথে যোগাযোগ করে ত্রিপুরার হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদের সহযোগিতায় আজকে ফুফুকে দেশে আনতে পেরেছি।
মাকে ফিরে পেয়ে পিঞ্জিরা আক্তার বলেন, মা যখন হারিয়ে যায় তখন আমার বয়স ১২। শুনেছি মা হারিয়ে গেছে। মাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাইনি। মা এতদিন আমাদের কাছে মৃত ছিল। আজ জীবিত ফিরে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর পরে হারিয়ে যাওয়া এক মাকে তার সন্তানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিজ বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। তার পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোজাখুজি করেও পায়নি। পরবর্তীতে কোন এক সময় তাকে ত্রিপুরায় পাওয়া যায়। পরে ত্রিপুরার মর্ডাণ সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ত্রিপুরা পুলিশ আমাকে তার কথা বলে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার তথ্য প্রেরণ করে তার নাগরিকত্ব যাচাই করে ভারত সরকারকে অবহিত করি। ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আজকে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, একদিকে যেমন আনন্দের। একই সাথে আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী, মোঃ আল আমিন, ৪২ বিএসএফ আগরতলা আইসিপির কোম্পানী কোমান্ডার ধিবেকান দিমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূইয়া, বিজিবি আখাউড়া আইসিপির ইনচার্জ মোঃ শাহআলম, ইমিগ্রেশন পুলিশের এএসআই দেওয়ান মুর্শেদুল হক প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
পুলিশের সহায়তায় আদালত পরিচালনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বনগজ গ্রামের রৌশন আলী বেপারী ও ভাটামাথা গ্রামের মোঃ সালাহ উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিক্রির উদ্দেশ্য ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছিল। খবর পেয়ে বেলা ২ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম ঘটনাস্থল বনগজে গিয়ে মাটি কাটার সময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাটি কাটার সত্যতা পাওয়ায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।