চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে ৮১ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। সেটাই রানের দিক থেকে টি-টোয়েন্টিতে সেরা জয়।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে খেলা মাঠে গড়ানোয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার করে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ বলে ১২৪ রানের রেকর্ড গড়েন লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদার। ১৮ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়া লিটন ফেরেন ৪১ বলে ১০টি চার আর তিন ছক্কায় ৮৩ রান করে।
২৩ বলে তিন চার আর ২টি ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার। ১৩ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়।
মাত্র ২৪ বল মোকাবেলা করে ৩ চার আর দুই ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তুলতে সমর্থ হয় আইরিশরা।
৭৭ রানের জয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশের জয়ে গোল করেছেন আকলিমা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পায় বাংলাদেশ। রিপার বাড়ানো পাসে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। এরপর ম্যাচের ১৩ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে ব্যবধান দিগুণ করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ২৪ মিনিটে কর্নার থেকে থেকে গোল করে ব্যবধান কমান নেপালের মানমায়া দামাই।
প্রথমার্ধে শামসুন্নাহার আঘাত পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তাকে ছাড়াই নামে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে না পারায় তার বদলে আইরিনকে নামান কোচ। বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে শুরু থেকেই। তবে সেসব চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। নেপালি রক্ষণ সেসব সামলেছে ভালোভাবেই। অন্তিম সময়ে এসে দলের ব্যবধান বাড়িয়ে স্বস্তি দিয়েছে শাহেদা আক্তার। এতে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এ জয়ে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাফ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। দিনের প্রথম ম্যাচে ১২ গোলের ব্যবধানে জেতা ভার এখন আছে টেবিলের চূড়ায়। আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
এক দশক আগে শিলাদিত্য সান্যালের সাথে বিয়ে ভেঙে গেলেও শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোর সাথে সম্পর্ক অটুট আছে টালিউডের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের।
বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তার স্বামীর সাথে শ্রীলেখার বন্ধুত্ব আগের মতোই রয়ে গিয়েছে, সে কথা তিনি বারবার উল্লেখ করেন। প্রাক্তন স্বামীর সাথে জুড়ে থাকা পুরোনো সম্পর্কগুলোও আগের মতোই অটুট।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তন স্বামীর পিসির সাথে ছবি পোস্ট করলেন শ্রীলেখা। সাথে মন ছোঁয়া ক্যাপশন। লিখলেন, ‘আমার পিসি শাশুড়ি। না উনি আমার এক্স নন, ওনার সাথে ডিভোর্স হয়নি।’
শ্রীলেখার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তার ও শিলাদিত্যর একমাত্র মেয়ে মাইয়্যা (ঐশী) সান্যালেরও। এই মাসেই ১৯-এ পা দিয়েছে শ্রীলেখা-কন্যা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সিনেমাটোগ্রাফার শিলাদিত্য সান্যালের সাথে বিয়ে হয় শ্রীলেখার। ভালোবেসেই পরস্পরের হাত ধরেছিলেন দু’জনে। তবে এ সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ে ভাঙার কারণ কোনও তৃতীয় ব্যক্তি বা পরকীয়া নয় বরং ছিল পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিয়েলবোটিক্স সম্প্রতি উন্মোচন করেছে এক অভিনব রোবট সঙ্গী। এটি একজন নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনের সঙ্গী হবে, প্রেমিকারও প্রয়োজন মেটাবে! মার্কিন সংস্থাটির দাবি, রেগে গেলে প্রেমিকা ঠিক যেমন আচরণ করে, রোবট গার্লফ্রেন্ড আরিয়াও তেমনই করবে।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
এমনকি মন খারাপে সে আপনার কথা শুনবে, দেবে সমস্যার সমাধান। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অবদান রোবটদের আগের তুলনায় আরো মানবিক করে তুলছে। অর্থাৎ, আরিয়া সব কিছু বুঝতে পারে। আপনার সঙ্গে একেবারে গার্লফ্রেন্ডের মতোই আচরণ করবে।
ভালোবাসা, কথা, গান এবং কখনও কখনও অভিমানও করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটির ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত রয়েছে ১৭টি মোটর। যা আরিয়ার মুখ এবং চোখের নড়াচড়া, অন্যান্য অঙ্গভঙ্গি হুবহু মানুষের মতো করতে সহায়তা করছে। আরিয়াকে প্রথম দেখা গেছে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫-এ। তার দাম ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার)।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি
রিয়েল বোটিক্সের সিইও অ্যান্ড্রু কিগুয়েল জানান, তার কোম্পানির লক্ষ্য এমন রোবট তৈরি করা, যা মানুষের কাছ থেকে প্রায় আলাদা করা যাবে না। একই সাথে তা পুরুষদের একাকিত্ব দূর করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোবট নির্মাণে এক অনন্য স্তরে পৌঁছেছি। এটা মানুষের রোমান্টিক সঙ্গী হতে পারে, আপনার কথা মনে রাখবে এবং বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের মতো আচরণ করবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
স্পোর্টস ডেস্ক :
লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বাজে ফর্ম ও প্রবীন জয়াবিক্রমা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তরুণ স্পিনার খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে একপ্রকার জোর করেই নিলেন ৩০ বছর বয়সী প্রভাথ জয়সুরিয়াকে। সেই জয়সুরিয়াই আজ স্পিনার হিসেবে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের ইতিহাস গড়লেন টেস্টে। ভেঙেছেন ৭১ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গল টেস্টে ইতিহাস গড়তে কেবল ৭ উইকেটই প্রয়োজন ছিল জয়সুরিয়ার। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা পান কাঙ্ক্ষিত দুই উইকেটের। পাল্টে দেন ইতিহাসের পাতা।
৭১ বছর আগে মাত্র ৮ ম্যাচেই ৫০ উইকেট শিকার করেছিলেন ক্যারিবীয় স্পিনার আলফ ভ্যালেন্টাইন। জয়সুরিয়া তার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছেন। পেসার ও স্পিনার মিলিয়ে অবশ্য রেকর্ডটি অজি পেসার চার্লি টার্নারের দখলে। ১৮৮৮ সালে মাত্র ৬ ম্যাচেই ৫০ উইকেট স্পর্শ করেন তিনি। সেই তালিকার চারে আছেন জয়সুরিয়া। সাত ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছেন সাবেক ইংলিশ পেসার টম রিচার্ডসন ও প্রোটিয়া পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার।
দেশের হয়ে খেলার জন্য ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছিলেন জয়সুরিয়া। কিন্তু বয়স ৩০ হওয়ার আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ হয়নি। ২০১৮ তে ওয়ানডে খেলেছিলেন দুটি। কাকতালীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যখন টেস্ট অভিষেক হলো তখন তার বোলিং দেখে অবাক সবাই। এমনকি করুনারত্নে নিজেও ভাবেননি এমন মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট শিকার করবেন এই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম তিন ম্যাচেই পকেটে পুড়েন ২৯ উইকেট। বাকি ২১ উইকেট নিতে অবশ্য চার ম্যাচ লাগে তার। এর মধ্যে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন ছয়বার।
অনলাইন ডেস্ক :
নাক ব্যবহার করে আপনি কি কোনো কিছু লিখেছেন? হয়তো আপনাদের কেউ কেউ চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু নাক দিয়ে কতটা দ্রুত কম্পিউটারে লিখতে পারেন? ভারতের এক ব্যক্তি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে নিজের আগের রেকর্ডই ভেঙেছেন। তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
বিনোদ কুমার চৌধুরী (৪৪) ২০২৩ সালে প্রথম নাক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েন। ওই সময় তিনি ২৭ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখেছিলেন। পরে একই বছর তিনি ২৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডে লিখে আগের রেকর্ড ভাঙেন। এবার তিনি ইংরেজি অক্ষর লিখতে সময় নিয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’
বিনোদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর মাথা ঘুরে উঠত যাতে তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাঁকে।
বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এই গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা, আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা।
বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।
বিনোদ কুমার আরো বলেন, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও যে কাউকে তাঁর আবেগ–অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।
বিনোদ বলেছেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া