চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) উদ্যোগে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ মার্চ বুধবার দুপুর ১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গনশুনানীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ডিপিএফের বিভাগীয় প্রতিনিধি আলমগীর মিয়া, জেলা রেজিষ্ট্রার সরকার লুৎফুল করীর, জেলা সমাবসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ মাহমুদুল হাসান, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ভিকারুন নেছা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ন্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক পলিসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন।
গণশুনানীতে সাংবাদিক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, এনজিও কর্মী, চাকুরি প্রার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেন।
গণশুনানীতে অংশ নেয়া সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করে বলেন, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিটিজেন চার্টে রোগীদের কি খাবার খেতে দেয়া হয়, তা লিখা নেই। এটি লিখা থাকলে রোগীরা নিয়মিত খাবার পাচ্ছে কি না জানা যাবে।
একজন বলেন, তিনি একদিন মধ্য রাতে তার এক শিশুকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পাশের বেসরকারি নবজাতক হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সরকারি এই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তুলা ও ব্যান্ডেজ বাইরে থেকে রোগীদের কিনতে হয়।
কয়েকজন বক্তা বলেন, শহরে পুকুর ভরাট চলছে, দলিল করতে ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতেও টাকা লাগে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানরা একে একে উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলায় পুকুর ভরাট নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা। তবে তিনি জেলায় যোগাদানের পর কোনো পুকুর ভরাট হতে দেননি। কোনো পুকুরই ভরাট করতে দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বই ছাপায় বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, শহরের হকার, যানজট ও ট্রাক প্রবেশ বিষয়ে পুলিশকে সাথে নিয়ে কাজ করব। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় চারলেনের বিষয়ে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। সময় লাগবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।
২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলান্স টিম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি টিমের যৌথ অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন করে। এসময় তারা ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিলেন্স টিমের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বাদশা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম, ব্যবস্থাপক জসীম উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আসছে বাখরাবাদ।
বাখরাবাদের সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে বাখরাবাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়ের ভিজিল্যান্স টিম।
আভিযানিক টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল এলাকার প্রতিটি মহল্লার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে সংযোগ অবৈধ হলে বিচ্ছিন্ন করছেন, বিল বকেয়া থাকলে আদায় করছেন, তাৎক্ষণিক বিল পরিশোধ না করে সময়ক্ষেপণ করলে সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শহর, সদর উপজেলা, ও সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাখরাবাদের আওতাধীন সবগুলো পাড়া-মহল্লা-গ্রাম পরিদর্শনের কাজ চলমান আছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামরাইলে অভিযানে ৪০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৮শত ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ উত্তোলন, কিলোমিটার অধিক ১ইঞ্চি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করনে ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ শহরের লোডশেডিং ও যানজট সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুধী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, দৈনিক সমকাল এর স্টাফ রিপোর্টার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বেলাল।
আবরণী নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, আরমান উদ্দিন পলাশ, সমাজকর্মী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, জেলা নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল দুর্দশা লাগাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক ফোরামের গণদাবি দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে নানা সময়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বক্তাগণ এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে লাঘবে অতি দ্রুত ট্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
বক্তাগণ এসময় জেলা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র যানজট ও লোডশেডিং সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ, ফসিউর রহমান হাছান, আওলাদ হোসেন খান, রোস্তম আলী ভূঁইয়া, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট (অবঃ) মোঃ তাজুল ইসলাম, আফছারুন নবী মোবারক, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ মোঃ আব্দুল্লাহ্।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবের অভিযোগে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, গাইনী চিকিৎসক ও সার্জন ডাঃ নওরিন পারভেজ, ডাঃ ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদি সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে নবীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় করা একটি আল্টাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যাথা উঠলে সেখানকার চিকিৎসকরা যমজ শিশু গর্ভে থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিজাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্টে দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোন সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। তারা জানায় লিজার গর্ভে একটি সন্তান ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।