চলারপথে রিপোর্ট :
১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৯ মার্চ বুধবার সকালে কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর সহকারী পরিচালক (লাইব্রেরিয়ান) মো. সাইফুল ইসলাম লিমন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, উদীচী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি, লোকগবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন, জেলা পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মমিনুল আলম বাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরুণ লেখক ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিশুদের সুকুমারবৃত্তি প্রকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন ক্রীড়া-সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন। এতে তাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মেধা ও প্রতিভার প্রকাশ হবে। এবং বাহিরের পৃথিবীর সঙ্গে তাদের একটি সংযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, যারা সাহিত্য সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের যুক্ত থাকে না ভবিষ্যতে তারা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলতে বা নিজেকে উপস্থাপন করতে ভয় পায়। তাই এই বয়স থেকেই তাদের মঞ্চে উঠে পারফরমেন্স করা উচিত।
বক্তব্য তিনি আরো বলেন, এই সমস্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট ও বই বাসার আলমারির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, আলমারিকে স্মার্ট বানায়। কিন্তু এই বইগুলো যদি আমরা না পড়ি তাহলে মানুষ হিসেবে আমরা স্মার্ট হতে পারবো না। তিনি বলেন, স্মার্ট হওয়া মানে শুধু মোবাইল, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিচালনার দক্ষতাকে বোঝায় না, স্মার্ট হওয়া মানে হচ্ছে জ্ঞান সমৃদ্ধ মানুষ হওয়া। কাজেই এই স্মার্ট মানুষ গড়ে উঠবে বই পড়ার মাধ্যমে। তাই শিশুদেরকে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বই অন্যান্য বই পড়ার আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা লিখন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বই ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ৮ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।
মনোনয়নপত্রের আবেদন নিয়ে এডভোকেট নিশাত সাংবাদিকদের কাছে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন। এরআগে নবম ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছিলেন নিশাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের তুখোর নেত্রী এডভোকেট নিশাত ১৯৮৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা, জেলা ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদিকা নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ওই বছরই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের রোষানলে পড়েন নিশাত। দ্রুত বিচার আইনে তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও আদালতে ২টি মামলা হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের তত্ত্বাবধানে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন নিশাতসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিশাত সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ২০২২ সালের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সম্মেলনে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক প্রশংসা পান।
এছাড়া জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দল অন্তপ্রাণ নিশাত দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে নারী প্রচারকর্মীদের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন নিশাত। প্রায় ১৫শ’ নারীকর্মী তার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে গিয়ে গণসংযোগ এবং প্রচারণা চালিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে নারী সমাবেশের আয়োজন হয় তার নেতৃত্বে।
নিশাত ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭৫ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নারীদের কল্যাণে কাজ করেন নিশাত। পারিবারিক কলহে অসহায় নারীদের আইনী সহায়তা প্রদান, দরিদ্র নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে তার ভূমিকা অসামান্য। জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান এবং ইউএন সিডিএফ প্রতিনিধিদল ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল তার কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত আসমাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সুইড বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশাত। এছাড়াও তিনি ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিম, ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশন ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্যে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন নিশাত। এছাড়া নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২০২০ সালের ৮মার্চ জাতীয়ভাবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ কর্তৃক ‘আনস্টপ্যাবল ওম্যান অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে হাদিসুর রহমান নামে (২৯) এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে থানা পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সেনা সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। হাদিসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। সে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাদিসুর রহমান মাদকাসক্ত ছিল। রাতে সে ঘরের মধ্যে ইয়াবা সেবনের পর ভোর থেকে দা হাতে নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে গ্লাসের জানালায় দা দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে শহরের সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে সদর মডেল থানার ফটক ডিঙ্গিয়ে ভিতের প্রবেশ করে থানা পুকুরেও ঝাঁপ দেয়। পরে সে উঠে না আসায় পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা সকাল ৮টায় পুকুর থেকে হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে হাদিসুরের মা আলেয়া বেগম ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাদিসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগমের সাথে তার আগের স্বামীর যোগযোগ নিয়ে প্রায়শই কলহ চলত। এমনকি আগের স্বামী মনির বর্তমান স্বামী হাদিসুরকে মারধরও করেছিলো। এনিয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। তারা হাদিসুরের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবী করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতি। আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল। নিবন্ধনহীন গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়ির মালিক চিহ্নিত করা কষ্টকর হতো। চালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় পুলিশের হাতে নানা ভাবে নাজেহাল হতো।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিস পুনরায় রোজিষ্ট্রশন কার্যক্রম চালু করে। সরকার অটোরিক্সার লাইসেন্স চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জেলার জন্য ১০ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যা থেকে সরকার প্রায় ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাশের কুমিল্লা জেলায় ২৩ হাজার, মৌলভীবাজার জেলায় ২১ হাজার এবং হবিগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার নিবন্ধনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রয়েছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে ১ হাজার ৮৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার রেজিষ্ট্রেশনের পর হঠাৎ করে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এতে করে সিএনজি মালিক-চালকরা বিপাকে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে প্রতিটি অটোরিকসার রেজিষ্ট্রেশন করি। কাউকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা দেইনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে স্থগিত হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ হাজার নতুন রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানান। এতে করে একদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবে অপর দিকে সড়কে বৈধ যানচলাচল বৃদ্ধি পাবে। সড়কে যান চলাচলে শৃংখলা ফিরে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের মিয়া, অর্থ সম্পাদক কামাল মিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচপিভি টিকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্স টিকাদানকারী ও প্রথম শ্রেণীর সুপার ভাইজারদের নিয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়েছে।
২১ অক্টোবর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সুবল চন্দ্র সাহা, নাসিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মোছামাৎ মিরন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার মো. মোস্তাকুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। আগামী ৩ ই নভেম্বর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এ টিকা প্রদান করতে হবে তার দিক নিদের্শনার জন্য আজকের এ কর্মশালাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় নার্স, টিকাদানকারী প্রথম শ্রেণীর সুপারভাইজার ছাড়াও এর সাথে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়ের সাথে আজ ৭ অক্টোবর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, জেলা পজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিতোষ রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্যুৎ বৈদ্য, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সব্যসাচী পাল, আনন্দময়ী কালীবাড়ি ট্রাষ্টি বোর্ডের সভাপতি অরুপ রায়, কাল ভৈরব মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য, ভাদুঘর সাহা পাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা, রঘুনাথ জিউর দুর্গা মন্ডপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্তোস ঘোষ, রামরাইলের পরিতোষ দেব নাথ প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করারই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সবাই মিলে মিশে এই উৎসব সম্পন্ন করতে চাই। সকল মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য সকলের অনুরোধ জানান।