অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সরাইল, 18 December 2022, 1205 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আশিষ চন্দ্র দাস (২০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল নোয়াগাঁও গোগদ (ইসলামাবাদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি আশিষ নিজেই চালাচ্ছিল। আশিষ চন্দ্র দাস সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড় ধীতপুর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার শচীন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে ও পুলিশ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোগত (ইসলামাবাদ) এলাকায় অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আশিষ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। তারপর রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা পিকআপের চালক আলম আহত আশিষ চন্দ্র দাসকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিষ চন্দ্র দাস মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছি। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

মুঘল আমলের অপরূপ স্থাপত্য শৈলীর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সরাইলের আরিফাইল মসজিদ

সরাইল, 20 May 2023, 1063 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল প্রায় চারশত বছরের প্রাচীন আরিফাইল শাহী জামে মসজিদ। এটি মুঘল আমলের অপরূপ স্থাপত্য শৈলীর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন স্থাপত্যকলা ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর মসজিদটি দেখতে অনেকটা তাজমহলের মতো।

এলাকায় জনশ্রæতি আছে ১৬৬২ সালে দরবেশ শাহ আরিফ সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরিফাইল গ্রামে অপরূপ স্থাপত্যশৈলী ও কারুকার্য সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি নির্মান করেন। তার নামানুসারেই এই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে আরিফাইল মসজিদ। এর গম্বুজ ও নান্দনিক কারুকার্য মুঘল আমলের উৎকর্ষতার পরিচয় বহন করে। বর্তমানে মসজিদটি পুরাকীর্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে প্রতœতত্ত¡ বিভাগ। মসজিদের পাশেই রয়েছে জোড়া কবর যা আরিফাইল মাজার নামে পরচিত।

প্রাচীন এই মসজিদটিকে গায়েবি মসজিদ হিসেবে আখ্যায়িত করে বর্তমানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা তাদের মনোবাসনা পূরন করার জন্যে এই মসজিদে এসে নামাজ পড়েন।

সরাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরেই আরিফাইল গ্রামে। আরিফাইল গ্রামে রয়েছে বিশাল বড় এক দিঘী। সাগরদিঘী হিসেবে পরিচিত এই দিঘীটির দক্ষিন পাড়েই অবস্থিত প্রাচীন এই আরিফাইল মসজিদটি। আরিফাইল মসজিদের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট।

এর চার কোনায় চারটি বুরুজ ও মোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলো মসজিদের ভেতরের অংশকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছে। সেগুলোতে সাজানো হয়েছে পদ্মফুলের ছবিতে। এর দেয়ালের পুরুত্ব ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। চুন, সুরকি ও ইটের গাঁথুনি। মসজিদটির মূল গেইট থেকে শুরু করে মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন অংশে চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেজুয়ানুর রহমান মসজিদটির সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ করেন। মসজিদটি সংরক্ষনের জন্য পূর্বের কাঠামো ঠিক রেখে মসজিদটিতে টাইলস এবং চুনকাম করা হয়েছে। মসজিদটিতে প্রবেশ ও বের হতে একাধিক পথ রয়েছে। প্রাচীন এই মসজিদটির সঠিক ইতিহাস স্থানীয়দের জানা না থাকলেও এলাকাবাসীর কাছে এটি গায়েবি মসজিদ হিসেবে পরিচিত। তাই সওয়াব লাভের আশায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মুসল্লী এসে মসজিদটিতে নামাজ পরেন।

মোহাম্মদ আলী নামে স্থানীয় এক মুসল্লী বলেন, এই মসজিদটি কে সবাই গায়েবি মসজিদ হিসেবেই চিনে। এখানে মানুষ কিছু মানত করলে সেই মানত পূরণ হয়।

ইফতেফার হোসেন নামে স্থানীয় আরেক মুসল্লী বলেন, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে মসজিদের বিষয়ে শুনেছি। তারাও বলতে পারেননি এই মসজিদটি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে এটি আমাদের এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেন। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে আসেন মানত করতে। এখানে যদি কেউ মানত করেন সেই মানত আল্লাহতায়ালা পূরন করেন।

আমরা মসজিদের বাইরে যেন মানুষ নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য খোলা জায়গাতে একটি ছাউনী করে দেয়ার জন্য দাবি জানাই।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল শুক্কুর বলেন, আমার বয়স এখন ৮৮। আমার দাদা বেঁচেছিলেন ১০৪ বছর। তিনিও মসজিদের সঠিক ইতিহাস বলতে পারে নি।

এদিকে মসজিদটির পাশেই জোড়া কবর রয়েছে। স্থানীয়দের ধারনা দরবেশ শাহ আরিফ এবং তার স্ত্রী এই জোড়া কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।জোড়া কবর বর্তমানে আরিফাইল মাজার নামে পরচিত। এ ব্যাপারে আরিফাইল মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুল মজিদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এই মসজিদে প্রতিদিন শত শত মানুষ নামাজ আদায় করেন। জুম্মারদিন এই মসজিদে মুসল্লীদের স্থান সংকুলান হয়না। মানুষ কষ্ট করে বাইরে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। তিনি মুসল্লীরা যাতে মসজিদের খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য খোলা জায়গাতে একটি ছাউনী করে দেয়ার জন্য দাবি জানান।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, মসজিদটি এখন প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের অধীনে। মসজিদটির পাশে জোড়া কবর রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষ এসে এখানে মানত করেন। টাকা পয়সা দান করেন। প্রতিমাসে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা রেখে মসজিদটির উন্নয়ন কর্মকান্ড তরান্বিত করার আহবান জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আমি মসজিদটি দেখতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে মাজারে টাকা তোলার বিষয়টি আমরা জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাজারের আয়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সরাইলের ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন

সরাইল, 18 February 2024, 437 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
লেখক গবেষক ও সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরাইলের কৃতিসন্তান সঞ্জীব কুমার দেবনাথের লেখা ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।

১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহান একুশের বই মেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য কৌষিক প্রমুখ।

তিতাস গ্যাসের সাবেক কোম্পানি সচিব, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, লেখক সঞ্জীব কুমার জানায়, নিজের লেখা সুর ও স্বরলিপি করা আধুনিক, দেশাত্ববোধক, রাগপ্রধান, গণসঙ্গীতসহ মোট ৭২ টি গানের সমন্বয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় অমর একুশে বই মেলায় বের হয়েছে ‘স্বরগীতিমালিকা’ গ্রন্থটি।

সঙ্গীত শিক্ষাগুরু উস্তাদ আবদুল হামিদকে উৎসর্গকৃত গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন সঙ্গীতগুণি সৈয়দ আবদুল হাদী। প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন মেলা প্রকাশনীর কর্ণধার এম এস দোহা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মানস দেবনাথ হৃদয়। গ্রন্থটি বই মেলার ‘মেলা প্রকাশনীর’ ৬৮৭ ও ৬৮৮ নম্বর ষ্টলে পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গ্রন্থটিতে স্বরলিপিকৃত ৩ টি গানে সৈয়দ আবদুল হাদী, ৩ টি গানে প্রয়াত সুবীর নন্দী, ২ টি গানে ফেরদৌস আরা এবং ২ টি গানে আলম আরা মিনু কন্ঠ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত: এর আগে সঞ্জিব কুমার দেবনাথের একাধিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নীলনদের দেশে’, ‘সঙ্গীত স্বরূপ’, ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পূর্ববাংলা’ ও ‘ভাষা আন্দোলনে সরাইল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’।

সাত্তার ডাব ॥ জিয়াউল পেলেন সিংহ

আশুগঞ্জ, রাজনীতি, সরাইল, 17 January 2023, 2151 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি থেকে পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পেয়েছেন ডাব প্রতীক। তার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকা জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন সিংহ প্রতীক। দু’জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন লাঙ্গল ও জাকের জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক। এছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন মটর গাড়ি (কার) প্রতীক।
উপনির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন। আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি খালি হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। উপরন্তু আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর ফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়ন ফরম কিনে বহিস্কৃত বিএনপি’র পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘মীরজাফর’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কৃত ওই নেতা এখন আওয়ামী লীগের ‘দাবার গুটি’।
রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করতে আবদুস সাত্তারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার ‘পাস করিয়ে নিবে’ এমন আলোচনা সর্বত্র। বিএনপি’র পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দলের প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের এমন কৌশলও এখন স্পষ্ট।
১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। এ অবস্থায় শুরুতে আসন পুনরুদ্ধারে এবার সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে ধরে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে কৌশলগত আঘাত করতে এ আসনের উপ-নির্বাচনকে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য যিনি এখন দলটির কাছে মিরজাফর হিসেবে পরিচিতে সেই আব্দুস সাত্তার এখন ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের দাবার গুটি।
এ অবস্থায় সাত্তারের পক্ষে কাজ করলে দল থেকে বহিস্কারের কথা জানিয়েছেন বিএনপি’র সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় দল, যে দলে দু’একটা মীরজাফর থাকলে কিছু আসে যায় না। যদি কেউ আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কাজ করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তারেক (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
উপনির্বাচনে অংশ নিতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছায়ের পর পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৈধ ঘোষিত আট প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলম।

এখনো সাত্তারের দেখা মেলেনি ॥ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা দেওয়া, যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় বহুল আলোচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া অংশ নেননি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। মাঈনুল হাসান বলেন, ‘আব্বু ঢাকায় আছেন, সুস্থ আছেন। প্রতীক পেয়েছি। আগামী বুধবার থেকে প্রচারণায় নামবেন।’ এর আগে তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর, ৮ জানুয়ারির পর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মাঠে নামবেন।’ তবে এখন পর্যন্ত তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি। তিনি অসুস্থ বলেই প্রচার রয়েছে।

আবদুস সাত্তারের সঙ্গে নেই বিএনপির সাবেক নেতারা ॥ ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সরাইল উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক কমিটির (বর্তমানে পদবঞ্চিত) অনেক নেতা-কর্মী মাঈনুল হাসানের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাত্তারের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। দল ত্যাগের পর তাঁদের অনেকেই ঢাকার বাসায় গিয়ে সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এখন তাঁরা কেউ সাত্তারের সঙ্গে নেই।
তবে মাঈনুল হাসান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক কমিটির সব নেতা-কর্মী সাত্তার সাহেবের সঙ্গে আছেন। কারণ, তাঁদের পদ হারানোর ভয় নেই। এমনকি পদে আছে এমন অনেক নেতা-কর্মীও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁরা গোপনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা কাজও করবেন।’

উপজেলা বিএনপির ৩০ বছরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (সাত্তার) এখন দলের কেউ না। তাঁর নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারি না।’

ইজারা নিয়ে মুখোমুখি দুই উপজেলার জেলে

নাসিরনগর, সরাইল, 13 May 2023, 1972 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিল শাপলা জলমহাল ইজারা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার জেলেরা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাসিরনগরের জেলেরা বলছেন, বংশ পরম্পরায় ওই বিলে মাছ ধরে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারাও নেন। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে সরাইলের জেলেরা বিলটি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা নাসিরনগরের জেলেদের মাছ ধরতে বাধা ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপরদিকে সরাইলের জেলেদের ভাষ্য, তাঁরা মিলেমিশে বিলে মাছ ধরতে চান।

৩৯৬ দশমিক ৬৫ একরের বিল শাপলা জলমহালটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের পূর্ব পাশে। কাছেই তিতাস নদী। জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত জেলে ৫৩৮ জন। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত আরও প্রায় ৭০০ জেলে এখানে মাছ ধরেন। সব মিলিয়ে ১২০০ জেলে পরিবারের সদস্য প্রায় ১০ হাজার। তাঁরা সবাই বিলের ওপর নির্ভরশীল। বিলের দক্ষিণে সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর গ্রাম। শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধিত সদস্য ৪৯।

জেঠাগ্রামের প্রবীণ জেলে মিলন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বাপের জন্ম এই বিলের পাড়ে। আমার জন্মও। ছেলেমেয়েও জন্ম নিছে এ বিলের পাড়েই। আমরার আগের পুরুষ বিলের পাড় থাইক্যা মাছ ধরত।’ নিজেদের কোনো জমিজমা না থাকায় বিলের মাছ আর পরের জমিতে শ্রম বিক্রি করেই জীবন পার করছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিল না পাই, মাছ ধরতাম না পারি, তইলে বাল-বাচ্চা (ছেলেমেয়ে) লইয়া না খাইয়া মরণ লাগব।’

তাঁর মতো এমন হাজারো জেলের আশঙ্কা–এবার না বিলের ইজারা সরাইলের শাহজাদাপুরের জেলেরা নিয়ে যান! এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জলমহালটি ছয় বছরের (১৪৩০-১৪৩৫ বঙ্গাব্দ) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ জন্য আবেদন করে শাহাজাদাপুর গ্রামের তিতাস মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে–এমন আশঙ্কায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি। তাই তিতাস সমিতির আবেদন বাতিলে সিদ্ধান্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সই করা চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। পরে জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে নতুন করে ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে আগ্রহী হয়ে তদবির শুরু করে শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।

নাসিরনগরের জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা জানান, ১৯৭৭ সালে সমিতি গঠনের পর থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে তাঁরাই বিলটি ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি শাহাজাদাপুরের জেলেরা তা ইজারা নিতে চাইছেন। নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৪(চ) অনুযায়ী স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন, নিকটবর্তী বা তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এ হিসেবে জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির এ অধিকার বেশি।

জেঠাগ্রামের জেলে হিরামন দাস বলেন, ‘বিলে মাছ ধরনের লাইগ্যা নতুন জাল, নৌকা কিনা হয়ছে এনজিও থেইক্যা (ঋণ নিয়ে)। এই গেরামের কয়েক হাজার মানুষ কোটি টাকা ঋণ নিছে।’ এভাবে ঋণ নিয়ে মাছ ধরে তা শোধ করেন জানিয়ে হিরামন বলেন, ‘আমরার এলাকার বিল যদি সরাইলের মানুষরে দিয়া দেয় তাইলে ঋণ শোধ করতে বসতঘরটাও বেইচ্যা দিয়ন লাগব।’

জেলে নয়ন দাসের ভাষ্য, ‘আমরার লোকজন বিলে গেলেই সরাইলের লোকজন মাইরধর করে। এহন হুনতাছি সরাইলের লোকেরা নাকি বিল লইয়া যাইব। এই বিলের লগে আমরার রক্ত মিশ্যা আছে। জান থাকতে বিল কেউরে নিতে দিমু না।’

জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ইজারা বিষয়ে শুনানির জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। সরাইলের জেলেদের সঙ্গে মিলেমিশে মাছ ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, জলমহালের ইজারা সরাইলের জেলেদের পাইয়ে দিতে তদবির করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

সরাইলের শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, ‘কাগজেপত্রে বিলের মৌজা নাসিরনগরের। মিলেমিশেই বিলের মাছ ধরতে চাই। আমরাও জেলে পরিবার। কিন্তু ওই এলাকার জেলেরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কথা বলিনি। বিলটি নাসিরনগরের, এটা সবাই জানে। সরাইল ও নাসিরনগরের প্রকৃত জেলেরা যেন মিলেমিশে মাছ ধরতে পারে–সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’ বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র ঘেঁটে বিলটি দীর্ঘদিন ধরে নাসিরনগরের জেলেরাই ইজারা নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার। ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী ও তীরবর্তী হিসেবে নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামই আসে।

বিল ইজারা দিতে রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী যাঁরাই উপযুক্ত, তাঁরাই এ বিল (ইজারা) পাবেন।

১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের জবাব দিয়েছে জনগণ : রুমিন ফারহানা

সরাইল, 1 September 2024, 124 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, শেখ হাসিনা মনে করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয়েছে এক কাপড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিএনপি নেতা কর্মীদের গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়ে হিসাব রাখত। মূলত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ।

৩১ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার আর কোন জায়গা হবে না। এদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না তার সমুচিত জবাব দিবে বিএনপি।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর যাবত ধৈর্য ধরেছে এবং আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান রাজার বেশে দেশে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ গঠনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পথ অনুসরণ না করে হিংসা, গুম, খুন, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্ব মুক্ত দেশ গঠনে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মিয়া খাদেমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আক্তার হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জুমনসহ ইউনিয়ন বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।