অনলাইন ডেস্ক :
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শামীম হোসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের হোয়াইটওয়াশ এড়ায় আইরশিরা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জেতা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল আয়ারল্যান্ডকে ধবলধোলাই। এ লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। পরে সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শুরুতে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (৫)। তার দেখাদেখি একে একে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), রনি তালুকদার (১৪), সাকিব আল হাসান (৬), তাওহিদ হৃদয় (১২), রিশাদ আহমেদ (৮) ও তাসকিন আহমেদ (০)।
এই অবস্থায় হাল ধরেন শামীম হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। এই মাইলফলকে যেতে তার লেগেছে ৪০ বল। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানে আউট হন তিনি।
জবাবে দলীয় ১৭ রানে ওপেনার রস এডেয়ারের উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। লরকান টাকারও সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। এরপর হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক পল স্টার্লিং। ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতকে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় আইরিশরা।
৪১ বলে ৭৭ রান স্টার্লিংকে আউট করেন অভিষিক্ত রিশাদ আহমেদ। ৪ ছক্কা ও ১০ চারে এই রান করেন আইরিশ অধিনায়ক। কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬ এবং হ্যারি টেক্টর ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, শরিফুল ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১২৪/১০ (১৯.২ ওভার)
আয়ারল্যান্ড : ১২৬/৩ (১৪ ওভার)
ফল : আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবা-মার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চেপে বাড়ি এলেন প্রবাসী ছেলে। শনিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে আসেন আলম আনসারী নামে এক সৌদি প্রবাসী। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর মুকমদশা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউলের ছেলে। এ সময় গ্রামের কয়েক শ মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।
গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠের একটা জায়গায় তৈরি করা হয় হেলিপ্যাড। জমির আইল ধরে সড়ক পার হয়ে গ্রামের মানুষ আসেন হেলিপ্যাডের পাশে। হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়।
আ. রহিম বকাউল বলেন, আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে আলম আনসারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে। আজ আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
প্রবাসী মো. আলম আনসারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে বাস করছি। আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। আমি আসবো আগে থেকেই মা-বাবাকে জানিয়েছিলাম। তারা আমাকে নেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যায়। হেলিক্প্টার ভাড়া করে বিমানবন্দর থেকে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের বোচাগঞ্জে ট্রাকের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী খালা ও ভাগিনা নিহত হয়েছেন। আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রধান ফটকের সামনে সেতাবগঞ্জ বাজার হতে বাড়ীতে যাওয়ার পথে খালা ও ভাগিনা এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, চম্পা রানী রায় (২২) বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন জালগাঁও গ্রামের স্বদেব চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং শিশু জয় (৫) তার বোনের ছেলে একই উপজেলার আনোড়া গ্রামের বিশ্বজিতের ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কে সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন উপজেলা সড়কে মাল বোঝাই ট্রাক দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী চম্পা রানী রায় ও তার বোনের ছেলে শিশু জয় (৫)কে সাথে নিয়ে সেতাবগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চলন্ত ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে তারা দুইজনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এলাকাবাসীরা শিশু জয়কে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় ট্রাক, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বোচাগঞ্জ পুলিশে সোপর্দ করে।
বোচাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলফার পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে রুবেল মিয়া (২২) নামের এক গ্রিল মিস্ত্রি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। নিহত রুবেল মিয়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের মো. ধানেশ উদ্দিনের ছেলে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের আজমতপুর উত্তর পাড়া মোড়ল বাড়ি সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফায়েজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বাবা ধানেশ উদ্দিন জানান, রুবেল পাঁচ বছর যাবত কালীগঞ্জের আজমতপুর এলাকায় গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে কাজ করতো। গ্রীল দোকানের মালিক আমাদেরকে ফোনে জানিয়েছেন কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে মারা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে ব্রিজ স্থাপনের দুই বছর পার হলেও সড়ক যোগযোগা এখনো বিচ্ছিন্ন। ফলে বাধ্য হয়ে তিন গ্রামের মানুষ ব্রিজে উঠানামায় ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল রাস্তার ওপর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়নের পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার। তবে ওই বরাদ্ধে ব্রিজের দুই পাশের সড়ক সংযোগের জন্য মাটির খরচ ধরা থাকলেও সেখানে মাটি ফেলা হয়নি। ফলে এপার-ওপার যেতে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
রোয়াচালা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, শুধুমাত্র এই ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় রোয়াচালা বাজারে আসতে ও কুড়াখাল বাজারে যেতে প্রায় তিন কিলোমিটার হাটতে হয় আমাদের। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে যে ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল আজ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর পুরাতন গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ তোজাম্মেল হক (৩৭) (মূলহোতা), পিতা- মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, ২। মোঃ মাসুদ রানা (৪৫), পিতা- মৃত লায়েস উদ্দিন, উভয় সাং-বাজিতপুর (পুরাতন গ্রাম) , থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জদ্বয় কে ১০০(একশত) গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উল্লেখিত আসামী মোঃ তোজাম্মেল হক মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদক বহন করে অন্যত্র যাচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি চৌকস আভিযানিক দল শিবগঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামে ফাঁকা রাস্তায় তাকে আটক করে।
আটকের পরে জিজ্ঞাসা বাদে সে জানায় যে, সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোঃ মাসুদ রানা এর বাড়ীতে হেফাজতে রাখে। আভিযানিক দলটি তাকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করে তার ঘর থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানা যায় যে মো: তোজাম্মেল হক প্রায়শঃই মাদক ক্রয় করে উক্ত ব্যক্তির কাছে হেফাজতে রেখে তার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। র্যাব-বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।