চলারপথে ডেস্ক :
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ২ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।
এর আগে সকালে হাজির হয়ে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মতিউর রহমান।
গত ২৯ মার্চ রাতে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক)।
এই মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বাদী এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গত ২৬ মার্চ রাত ৯টায় শিল্পকলা একাডেমির মূল গেইটে থাকাকালীন ফেসবুক ব্রাউজ করার সময় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনের একটি নিউজের স্ক্রিনশট দেখতে পান।
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, জাকির হোসেন নামে একটি দিনমজুর শিশুর বক্তব্য উল্লেখ করে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান একটি প্রতিবেদন করেছেন। প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব। ’ নিচে লেখা জাকির হোসেন, দিনমজুর, সাভার। বাদী এই খবরটি দেখে বিস্মিত হন বলে জানান এজাহারে।
এজাহারে বাদী আরো বলেন, পরে ২৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে তার মোবাইল ফোনে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ৭১ টিভির প্রতিবেদক ফারজানা রূপার একটি প্রতিবেদন চোখে পড়ে। প্রতিবেদন থেকে তিনি জানতে পারেন, প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে উল্লিখিত প্রতিবেদনটি দেখে ফারজানা রূপা ঘটনা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে তিনি সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে প্রতিবেদনে কথিত জাকির নামে শিশুটিকে খোঁজ করেন।
তিনি প্রথম আলো অনলাইনে প্রদর্শিত জাকির নামীয় শিশুটির ছবি স্থানীয় লোকজনদের দেখিয়ে প্রতিবেদনের শিশুটিকে খুঁজে বের করেন। পরে শিশুটির বাড়িতে যান। সেখানে তিনি জানতে পারেন শিশুটির নাম জাকির নয়, তার নাম সবুজ। বয়স সাত বছর, সে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
শিশুটিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদন ও তার ছবি দেখালে সে জানায়, একজন লোক স্বাধীনতা দিবসের দিন নিজেকে প্রথম আলোর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাকে ১০ টাকা দিয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলে। শিশুটিকে ওই ব্যক্তি তার নাম বা কোনো কিছুই জিজ্ঞেস করেননি এবং তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
বাদী এজাহারে বলেন, আমি ফারজানা রূপার এই প্রতিবেদন দেখে মনে মনে আতঙ্কগ্রস্ত হই এবং আমার মনে পড়ে যে, ১৯৭৪ সালে কুড়িগ্রামের বাসন্তী নামে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মহিলাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে জনমনে দুর্ভিক্ষের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এই কথা মনে পড়ে যাওয়ায় আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি যে, ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো তাদের অনলাইন ভার্সনে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি মিথ্যা ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমি আরো বুঝতে পারি যে, প্রথম আলোর সম্পাদকের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় ওই প্রতিবেদক তার অজ্ঞাতনামা ক্যামেরাম্যান ও মুদ্রণ সহযোগীদের নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত ও হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে ২৯ মার্চ বুধবার স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি।
অনলাইন ডেস্ক :
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতেরা হলেন- সিএনজিচালক আব্দুর রাজ্জাক, যাত্রী এনাম ফকির, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল করিম আলাল ও আলম মিয়া মিলিটারি।
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজির সাথে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজি চালকসহ চারজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাকি দুইজনকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করতে পারেনি কেউ। সংঘর্ষের পর পরই ট্রাক চলে যায়।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ট্রাক ও সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহের তথ্য রয়েছে। সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার শেরপুরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নুরজাহান বেগমকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের লাশ থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই ঘাতক আব্দুল মজিদকে (৪২) আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিগত দুইবছর আগে মহিপুর বাজার এলাকায় আসেন নুরজহান বেগম। এমনকি সেখানে ভাসমান অবস্থায় থাকতেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। আর স্থানীয় বাসিন্দা ঘাতক আব্দুল মজিদও ভবঘুরে জীবন যাপন করতেন। তিনিও একই বাজারে থাকতেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয় মজিদ। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেননি ওই নারী। বরং বিষয়টি এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঘাতক মজিদ। এরই জেরে সোমবার সকালে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ঘাতক মজিদ কাঠের বাটাম দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে বেধড়ক পেটায়। এতে তার মাথা ফেটে রক্তপাত শুরু হয়। এছাড়া শরীরের একাধিক স্থানেও মারাত্মক জখম হয়। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে ঘাতক মজিদকে আটক করে রাখেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে নুরজাহান কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেও ভবঘুরে জীবন-যাপন করতো। ঘটনার পর থেকে কোনো কথা বলছে না। তাই কী-কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমার নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইট ও ধূরুং বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, অভিযানে লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও অপরিষ্কার প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় নিউ মেডিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা এবং নিরুপম সেবা কেন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, উপজেলার তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসাধারণের স্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক রেজাউল হাসানসহ পুলিশের একটি দল।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাপের কামড়ে জুলফিকার আলী (৩৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত জুলফিকার আলী দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের নজির আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, জুলফিকার বৃহস্পতিবার বিকালে মাঠে কৃষি কাজ করার সময় একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।