চলারপথে ডেস্ক :
বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই আরেক প্রবাসীর কাছে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট কিনে পাঠান দেশে। কিন্তু এসব মূল্যবান জিনিস পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে আত্মসাৎ করতে বগুড়ায় শ্বশুরবাড়ি চলে যান ওই প্রবাসী। এ ঘটনায় ভেঙে যায় ওই বিয়ে। উপায়ান্তর না দেখে প্রবাসীর পরিবার থানায় মামলা করে। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎ করা সামগ্রী উদ্ধার করে।
আজ ২ মার্চ রবিবার সেই মালপত্র প্রবাসীর মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, প্রতারক শাওন আহমেদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিনি এখন কারাগারে।
জানা যায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। বিয়ে ঠিক হলে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই তাঁর বোনের জন্য স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন কেনেন। আর হবু বরের জন্য কেনেন আইফোন। দেশে ফেরার সময় শাওন নামে প্রবাসীর হাতে তা তুলে দেন। নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালপত্র গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কনের বাবা। কিন্তু প্রতারক ফাঁকি দিয়ে চলে যান বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে একতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ ধরেন, কেনেন দামি মোটরসাইকেলও।
এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী কন্যার বাবা। পরে উদ্ধার করা মালপত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোনো রকমে ঠেলা ধাক্কায় ওপরে ওঠা। এরপর শুরু একের পর ঝাঁকি। মোট ৩৬টা। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘ইস’ আর ‘উফ’ আওয়াজ।
বেশি বেকায়দায় পড়লে শোনা যায় হায় হায় শব্দ। পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম বলে চিৎকার। দৌড়ে এসে রক্ষার চেষ্টা। রেললাইন ১২টা, ডুয়াল গেজের।
একেকটায় তিনটি করে রেলপাত। সেই হিসাবে মোট ৩৬টি পাত পার হওয়ার সময় প্রতিবারই বেশ ঝাঁকি লাগে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেল ওভারপাসটি ওঠার সময়ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার লাল বাজারের একটি লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ লেভেলক্রসিং পার হয়েই যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লেভেলক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে বড় বাজার নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ছাড়া জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ লেভেলক্রসিং পার হয়ে এলাকায় যান।
সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালবাজার নামে এলাকার শেষ হতেই লেভেলক্রসিং শুরু।
এক থেকে দেড় শ গজ পার হয়ে ওপারে বড় বাজার। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়াল গেজ প্রকল্প নির্মাণের আগে তিনটি রেললাইন পার হয়ে এপার-ওপার যাওয়া যেত। আর এখন মোট ১২টি রেললাইন বসানোয় এটি পার হতে বেগ পেতে হয়। প্রতিটি রেললাইনের পরের জায়গা বেশ উঁচু-নিচু। এ ছাড়া নতুন রেললাইন অনেক উঁচুতে নির্মাণ হওয়ার সেটি সড়ক থেকে বেশ উঁচুতে। যে কারণে ঠেলা-ধাক্কায় যানবাহন ওঠাতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। কখনো মালবাহী অনেক যান এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতের বেশি ট্রেন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে একটু পর পর বেরিয়ার ফেলে রাখা হয় এ লেভেলক্রসিংয়ে। এতে হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে যাওয়া রোগীরা অনেক সময় আটকা পড়ে যান। লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে বেশ ঝাঁকি লাগে বলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চালকরা এ পথ দিয়ে যেতেও চান না।
দুর্ভোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদক একাধিবার নিজেই দেখেন। যানবাহন চড়তে দুর্ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। রাধানগর চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই লেভেলক্রসিংয়ে হয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ঠিকই দুর্ভোগে পড়তে হয়। লেভেরক্রসিংয়ে ওঠার সময় এ প্রতিবেদকের অটোরিকশা আটকে যায়। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি পেছন দিকে নামতে থাকলে অস্থায়ী বেরিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যুবক টেনে ধরেন।
লেভেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল, একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং জেলা সদর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়ক থেকে রেললাইন অনেক উঁচু হওয়া ও অনেকগুলো রেললাইন পার হতে হয় বলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেবেন।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ করেন। নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার পর থেকে চলতে গিয়ে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাড়ভাঙা রোগী, গর্ভবতী নারীদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে বেশি। এ পথ ছাড়া হাসপাতালে আসার কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের জন্য এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি এলাকাবাসী বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে যত দূর জানি পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ কিংবা অন্য প্রকল্পে চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাস কিংবা একটি আন্ডারপাসের পরিকল্পনা থাকতে পারে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবু সাইদ (২৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রায়েরবাগ রইচনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাইদ জামালপুরের মেলান্দহ থানার দুই নম্বর চড় গ্রামের ফকির আলীর ছেলে। বর্তমানে রায়েরবাগ রইচনগর এলাকাতেই থাকতেন।
সাইদের ভাই ওয়াসিম জানান, তারা একসঙ্গেই পাইলিংয়ের কাজ করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে রইচনগরে ব্যক্তি মালিকানা ভবনের পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন। বিকেলে কাজ করার সময় হাতে থাকা লোহার রড বাইরের বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে স্পর্শ লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন সাইদ। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘পরিবর্তনগুলো এতই বেশি ছিল যে, তখন যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (নাম) রাখা হতো, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইন হতো। এটি বিভ্রান্তিকর হতো। এ জন্য এটিকে সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা এবং সেগুলোর শাস্তি এখন কী হবে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে দিতে আদালত বাধ্য। কিন্তু সেখানে চিন্তাভাবনা করা হবে, এই (প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন) আইনে যেহেতু শাস্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো হয়েছে এবং সেই কমানোটিই সরকারের এবং আইনসভার উদ্দেশ্য। তাই সেই কমানোটি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।’
তার আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নতুন আইনটি হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানি মামলার জন্য কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে, সেটি এখনো তিনি (গোয়েন লুইস) সম্পূর্ণভাবে দেখেননি। দেখেননি বলেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। এটির যে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যেটি শুনেছেন, সেটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে এটি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গতকাল আপনাদের যা বলেছি, ওনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও একই কথা বলেছি। সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি দফায় (ধারা) আছে এটিকে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হয়েছে এবং এটিকে রহিত করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব কারিগরি ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আছে। সে জন্য সব সময় বলে আসছি, এটি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশোধনও হয়নি, আবার কেউ যদি বলে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে না। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনে দুপুরে সড়কে ছুরি ধরে গলার চেইন ছিনতাই করে পালানোর সময় জনগণের হাতে ধরা পড়লো রুস্তম আলী (৩৮) নামের এক ছিনতাইকারী। তিনি সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই গাড়ারোড এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া শিল্পী ভট্টাচার্য জানান, তিনি বাসা থেকে বের হয়ে মেইন সড়ক যাচ্ছিলেন খালি রিকশার আশায়। এমন সময় হাতে ছুরি নিয়ে এক ছিনতাইকারী গলার চেইন নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। অন্যন্যা পথচারীরা বিষয়টি দেখে দৌড়ে তার পথরোধ করে আটক করে পুলিশে দেয়। এদিকে ছিনতাইকারী সহ ওই নারী আহত হওয়ায় নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে শিল্পী ভট্টাচার্য চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক দৌড়ে ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এছাড়া ছিনতাইয়ের কবলে পড়া শিল্পী ভট্টাচার্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে আটক ছিনতাইকারী আহত হওয়ায় তাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আনা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন। আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। খবর বাসসের
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গত ১৫ বছরে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় স্থানীয় টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, প্রসাধনী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, গৃহস্থালীর পণ্য, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, ভেষজ সামগ্রী, টয়লেট্রিস, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র ও অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত এবং বিক্রি হবে।
তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরানের কোম্পানিগুলো এ বছর তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলায় বিদেশি কোম্পানির ১৬-১৮টি প্যাভিলিয়নসহ ৩৫১টি স্টল রয়েছে।
মেলায় প্রবেশ মূল্য সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা। সকাল ১০টায় মেলা খোলা হবে এবং সপ্তাহের দিনগুলোতে রাত ৯টায় বন্ধ হবে। সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা রাত ১০টা পর্যন্ত মেলায় থাকতে পারবেন। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ফার্মগেট থেকে মেট্রোরেল এবং এলিভেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগের জন্য বাস পাওয়া যাবে।