চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার প্রয়োজন হলে তা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২ এপ্রিল রবিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বারে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন এই আইনের কী পরিবর্তন করা যায় সেজন্য প্রথমত জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং এ আলোচনা চলমান রয়েছে। সেখান থেকে একটা কারিগরি নোট এসেছে। সেটা নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলছে। এছাড়া যাতে সাংবাদিকদের অহেতুক হয়রানি না করা হয় সেজন্য একটা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া গত ১৪ মার্চ সুধী সমাজের সঙ্গে এ আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তারা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। আমারও কিছু বলার ছিল। সেজন্য গত ৩০ মার্চ আবারও আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই হবে।’
ডিজিটাল আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে সেগুলো যদি কোনো বিধি দ্বারা নিরসন করা যায় কিংবা যদি আইনটির সংশোধন করা লাগে সেটি বিবেচনা করা হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের আইন আছে। সেটা হয়তো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে না থেকে অন্য কোনো নামে আছে। সাইবার অপরাধ দমনে এ ধরনের আইন প্রয়োজন রয়েছে।
প্রথম আলোর সম্পাদকের আগাম জামিন শুনানিতে আদালতের অপরাগতা প্রকাশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্য করবো না। তবে অতীতে এমন নজিরও আছে- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় (শুনানিতে) সাতটি কোর্ট বিব্রতবোধ করেছিল।’
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান সামসের বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করেনি বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সরকার মামলা করেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দেশের মর্যাদা হেয় প্রতিপন্ন করা যায় কি-না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
ঢাকা।।
২২তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় ট্রাফিক নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাগুলোর রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে— কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা গাড়ি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে পার্কিং করবে— মহসিন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি), মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, সবজি বাগান থেকে নেভাল গ্যাপ পর্যন্ত, সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং পর্যন্ত, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল গলি, নেভাল গেট এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে, মিন্টো রোড ক্রসিং থেকে পুলিশ ভবন ক্রসিং এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মাজহারুল ইসলাম বাঁধন (২২) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩ জুন শনিবার নগরীর টমছমব্রীজ স্টাফ কোয়াটার পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাজহারুল ইসলাম বাঁধন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং নগরীর সামবকশী এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
শনিবার দুপুরে বাঁধন ও তার দুই বন্ধু টমছমব্রীজ স্টাফ কোয়াটার পুকুরে গোসল করতে যান। সাঁতার কেটে পুকুরের মাঝখানে গিয়ে হঠাৎ বাঁধন ডুবে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুল শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম সজলের (৪১) লাশ দেখে তার মামা আবু সাইদের (৫০) মৃত্যুবরণ করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর এবং সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুবরণ করা রাশেদুল ইসলাম সজল মৃত বজলুর রহমানে ছেলে। তিনি গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আর আবু সাঈদ মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা দুজনই সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, রাশেদুল ইসলাম সজল তার বন্ধুদের সঙ্গে আজ সকালে ফরিদপুরে বেড়াতে যান। সেখানে দুপুর আনুমানিক ২টার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তার মৃতদেহ তার নিজ বাসায় নিয়ে আসে। মরদেহ দাফনের কার্যক্রমের জন্যে গোসল করানোকালে হঠাৎ তার ছোট মামা আবু সাইদ লাশটি দেখা মাত্রই হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের বন্ধু রিপন মাহমুদ আকাশ বলেন, তাদের মামা-ভাগ্নের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই তার ভাগ্নের এমন মৃত্যু মামা সহ্য করতে পারেননি। আজ রাত ১০টায় ওই এলাকার কেন্দ্রীয় ধনকুন্ডা জামে মসজিদের সামনে জানাযা শেষে একসঙ্গে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জিএমপির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কুনিয়া তারগাছ এলাকার শহিদুল শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৪), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে রতন (২০) ও সজল দাসের ছেলে শান্ত দাস (১৯), চান্দুরা এলাকার মৃত মিজানের ছেলে মো. হাশেম (২৩), একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে শ্যামল আহমদ (২১) এবং হামিদুর রহমানের ছেলে শাহীন (২০)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জানান, গত ২২ আগস্ট রাত সোয়া দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকার সেটার্ন গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ৭/৮জন সশস্ত্র ডাকাত। এসময় তারা ওই মাইক্রোবাসের সামনের ও সাইডের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং দুই আরোহীকে মারপিট ও আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাতেরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাস আরোহীদের কাছ থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল লুণ্ঠন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনায় কুনিয়া, তারগাছ ও চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে যাত্রীবেশে, পথচারী সেজে সঙ্গবদ্ধ ভাবে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।