অনলাইন ডেস্ক :
কয়েক দিন আগেই বলিউড প্রসঙ্গে বোমা ফাটান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিজের কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীন বলিউড ছাড়েন তিনি। বলেছিলেন, বলিউডের নোংরা রাজনীতির কারণেই না কি মায়ানগরী ছেড়ে পাড়ি দেন সুদূর আমেরিকায়। এখন হলিউডের নয়নের মণি তিনি। একের পর এক কাজও পাচ্ছেন সেখানে। হলিউডে জায়গা পাকা করে নিতে পেরেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলিউডে ফেরা তার কাছে এখন শুধু মাত্র ঘরে ফেরার টান। এবার মেয়ে মালতীকে নিয়ে প্রথমবার মুম্বাই ফিরলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার মুম্বাই কালিনা বিমানবন্দরে স্বামী নিক ও মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনসের সঙ্গে আলোকচিত্রীদের দেখা মাত্র পোজ দেন ‘দেশি গার্ল’।
তবে বিমানবন্দরে নামা মাত্রই স্বামীর সঙ্গে পথ আলাদা প্রিয়াঙ্কার। মেয়েকে নিয়ে এক গাড়িতে নিক, অন্য গাড়িতে উঠলেন প্রিয়াঙ্কা।
কিন্তু হঠাৎ কী কারণে মুম্বাইতে প্রিয়াঙ্কা? জল্পনা, পরিণীতির বিয়েকে কেন্দ্র করে!
মেয়ে মালতীর জন্মের পর একবার ঝটিকা সফরে এসেছিলেন মুম্বাইতে। যদিও সেই সময় একাই এসেছিলেন তিনি। স্বামী নিকের দায়িত্বেই রেখে আসেন মেয়েকে। সদ্য এক বছর হয়েছে মালতীর। এবার তাই দেশে সপরিবার হাজির প্রিয়াঙ্কা। তবে নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেকেই আঁচ করছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার ‘রোকা’ অনুষ্ঠান মানে বাগদান পর্ব। দিন কয়েক ধরেই মায়ানগরী সরগরম পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার বিয়ের খবরে। দিন কয়েক আগেই মুম্বাই ঘুরে এসেছেন আপ নেতা রাঘব। দিল্লিতে গিয়েছেন পরিণীতি। এর মাঝেই প্রিয়াঙ্কার দেশে ফেরা যেন সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
তবে হাতে যে বেশ অনেকগুলো কাজ নিয়ে এসেছেন, তা ভালই বোঝা গেল। বিমানবন্দরে নেমে স্বামী, মেয়েকে গাড়িতে তুলে অন্য গন্তব্যে রওনা দিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কোথায় গেলেন, তা অজানা।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে আরেকটি ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আজ ২৮ আগস্ট বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয়, গ্রুপপর্বে হারের প্রতিশোধ এবং প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, এ যেন ‘এক ঢিলে তিন পাখি মারলো’ বাংলার যুবারা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে গোল পায়নি স্বাগতিক নেপাল। বিপরীতে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে গোল নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরও দুই গোল করে। শেষ দিকে এসে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি। এরপর বাংলাদেশ আরও এক গোল পায়। তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মিরাজুল ইসলামের জোড়ায় বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে। মিরাজুল দুটি ছাড়াও রাব্বি হোসেনের গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এছাড়া চতুর্থ গোলটি এসেছে পিয়াস আহমেদ নোভার লক্ষ্যভেদে। এ নিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশের দুটি শিরোপা এলো। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে সিলেটে ট্রফি জিতেছিল সাদউদ্দিনরা। আর বুধবার কাঠমান্ডুতে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া কাঠমান্ডুর মাঠ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত।
১৯৯৯ সাফ ফুটবল (এস এ গেমস), ২০২২ সালে মেয়েদের সাফের শিরোপা এসেছিল। মাঝে নারীদের বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা ঘরে ওঠে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৪৮ রান। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আকস্মিক ধস না নামলে সেটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু যা হয়েছে বোলিং সহায়ক উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট। বল হাতে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষদিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখান এশিয়ান দেশটির বোলাররা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট আবারও চোখ রাঙাচ্ছিল। আফগান সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের অমন ইনিংসের কথাই ভাবছিলেন। সেই ম্যাচে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে হারতে হয় আফগানিস্তানকে। তবে আজ আর তেমনটা হয়নি। ম্যাক্সওয়েলকে ৫৯ রানে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একা হাতে লড়াই করে আফগানদের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতেও সেই শঙ্কা জাগিয়ে তুলছিলেন ম্যাক্সি। আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন; সেখানে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে এদিন গল্পের শেষটা দেখে আসতে পারেননি ম্যাক্সি। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের শেষ হয় ম্যাক্সির। সেই সঙ্গে শেষ হয় অজিদের জয়ের স্বপ্ন। ম্যাক্সিকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরা আফগানরা শেষমেশ বিশ্বমঞ্চে অজিদের বিপক্ষে পেয়ে যায় প্রথম জয়টা। তাও ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। ঝুঁকিতে পড়ে গেছে অজিদের সেমিতে খেলা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তিনি আউট করেছেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্সকে। বোলিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্য বোলাররা। ট্রাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরানো নাভিন উল হকও ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ওভারে হেডকে ফেরানো নাভিন তৃতীয় ওভারে ফেরান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। এরপরই মুলত গুলবদিন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। তাঁর বাউন্সারে ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হন স্টয়নিস। টিম ডেভিডও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেছেন গুলবদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর হার দেখল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে শুরুটা দারুণ করে আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। যদিও তুলনামূলক কঠিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তাঁরা। দুজনে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯৫ বলে। ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম। গুরবাজ করেছেন ৪৯ বলে ৬০।
এমন জুটির পর বড় একটা সংগ্রহই হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। তবে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রান করতে পারে তারা। এর কারণ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। উইকেট নিয়েছেন ১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
আজ কামিন্সের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ১৮ ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই প্রথম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১৪৮/৬
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.২ ওভার ১২৭/১০
ফল : আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর দুই মাস। তার আগে বিশ্ব ভ্রমণ করছে বিশ্বকাপের ট্রফি। অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভেন্যু ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে বিশ্বকাপ ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ঘুরে বিশ্বকাপের ট্রফি আসছে বাংলাদেশে।
আজ ৬ আগস্ট রবিবার মধ্যরাতে ঢাকায় আসছে সেই ট্রফি। ৭ থেকে ৯ আগস্ট এই তিনদিন ট্রফি থাকবে বাংলাদেশে। বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে নেয়া হবে সেই সূচিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে।
তিন দিনের সফরে ট্রফি প্রদর্শনের তিনটি জায়গা ভাগ করা হয়েছে।
বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ আগস্ট অফিসিয়াল ফটোশ্যুট হবে পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাওয়া প্রান্তে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ফিরে হোটেলে রাখা হবে।
পরদিন ৮ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করা হবে ট্রফি। যেখানে জাতীয় দল, নারী দল, বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্মকর্তা এবং সংগঠক এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদের ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
শেষের দিন (৯ আগস্ট) ঢাকার পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে বিশ্বকাপ ট্রফি। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ভক্তরা ছবি তুলতে পারবেন। এ জন্য কোনো টিকিট লাগবে না।
বেশি সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিসিবি।
অনলাইন ডেস্ক :
পঞ্চমবারের মতো বিয়ে করেছেন মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। এই বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মারডকের আঙুরবাগানে।
৯৩ বছর বয়সী মারডক গত শনিবার ৬৭ বছর বয়সী এলেনা জুকোভার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এলেনা একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ জীববিজ্ঞানী। চলতি বছরের মার্চে মারডকের সঙ্গে এলেনার বাগ্দান হয়। তখনই নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, জুনে দু’জনের বিয়ে।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চ্যাপলেইন (পুলিশের বিশেষ পরামর্শক) অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে মারডকের বাগ্দান হয়েছিল। তারা বিয়ের পরিকল্পপনাও করেছিলেন। কিন্তু বাগ্দানের পরের মাসে (গত বছরের এপ্রিল) হঠাৎ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। তখন থেকেই এলেনার সঙ্গে মারডকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যানের সঙ্গে মারডকের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে। পরিচয় পরে গড়ায় প্রণয়ে। অ্যানের সঙ্গে প্রেম ও বাগ্দানের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে মারডক বলেছিলেন, ‘প্রেমে পড়ার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে এটাই আমার শেষ প্রেম। এটা ভালো, আমি ভীষণ খুশি।’ শেষ পর্যন্ত অ্যানের সঙ্গে মারডকের আর ঘর বাঁধা হয়নি।অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া মারডকের ছয় সন্তান আছে। তিনি নিউজ করপোরেশনের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান। নিউজ করপোরেশনের মালিকানায় রয়েছে ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সান ও টাইমসের মতো গণমাধ্যম।
গত বছর ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন মারডক। তিনি তাঁর ছেলে লাচলান মারডককে উভয় সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব দেন।
জানা যায়, মারডক ও এলেনার দেখা হয়েছিল একটি পার্টিতে। এই পার্টির আয়োজক ছিলেন চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেং। তিনি মারডকের সাবেক স্ত্রী। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বিচ্ছেদ ২০১৩ সালে।
মারডকের অন্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মান ও মার্কিন মডেল-অভিনেত্রী জেরি হল।
মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, প্যাট্রিসিয়াকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। একই বছর আন্নাকে বিয়ে করেন মারডক। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ২০১৬ সালে জেরিকে বিয়ে করেন মারডক। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়।
পঞ্চম স্ত্রী এলেনার আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সাবেক স্বামী রুশ তেল ব্যবসায়ী আলেকজান্ডার জুকোভা।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন মারডক। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও সান সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদপত্র কেনেন।
১৯৯৬ সালে ফক্স নিউজ চালু করেন মারডক। এটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় টিভি নিউজ চ্যানেল। নানা কারণে মারডক আলোচিত-সমালোচিত।
সূত্র : বিবিসি