চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে কাগজপত্রবিহীন অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। এ সময় মোটর সাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকদের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ১৫টি মামলা ও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালকদের গতিরোধ করে তাদের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করেন। এসময় যাদের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি সেই গুলোকে করে এ আর্থিক জরিমানা ও মামলা করা হয়।
উপজেলার বাহির থেকে অবৈধ মোটর সাইকেল নিয়ে অনেকেই এসে মাদক ও অপরাধের সাথে জরিত হওয়ায় এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজয়নগর থানা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ আরো বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে সড়ক পথে অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১-এর সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামালমোড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার আদশা গ্রামের মৃত আবদুর রশীদের ছেলে মোঃ রাসেল হাজী (৩২), ফেনী জেলার সদর উপজেলার আকরামপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামালমোড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ সানি মিয়া (১৯)।
আজ ৩ মে শুক্রবার দুপুর ১২টায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো র্যাব-৯-এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল নোট প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী চক্রের সদস্যরা জাল নোট প্রস্তুত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের বিভিন্ন মার্কেটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জাল টাকা প্রতারণামূলকভাবে বাজারজাত করে আসছে। এই চক্রের সদস্যরা অল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় আসল টাকার ভিতর জাল টাকা মিলিয়ে লেনদেন করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে জাল নোট প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯- গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১-ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় জানতে পারে যে, জাল নোট বাজারজাতকারী চক্রের তিনজন অসাধু ব্যক্তি বিজয়নগর উপজেলা এলাকায় জাল নোট লেনদেন করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-৯, বিজয়নগর উপজেলার কামালমোড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশী ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের জাল টাকা ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি (স্ক্যানার সংযুক্ত কালার প্রিন্টার, প্রিন্টারের পাউডার কালি, জাল নোট তৈরির জন্য ব্যবহৃত সাদা কাগজ, হার্ড ড্রাইভ, কী বোর্ড, মাউস, মাল্টিফ্লাগসহ ইলেকট্রিক ক্যাবল, এন্টি কাটার এবং খালি জারিকেন ইত্যাদি) সহ জাল নোট প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাব-৯-এর গোয়েন্দা নজরদারি এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে আক্তার মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের পূর্ব পাশে সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আক্তার মিয়া ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান আক্তার মিয়া। এর কিছুক্ষণ পর সড়কে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে আক্তার মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইফুল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং তিনি বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালে শশুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘ ৮ বছর পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শিপু বেগম (৪৫)। তাঁকে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার খাদুরাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ এর প্রথম আদালতে শশুর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং দায়রা ১৩০/১৫। উক্ত মামলার ২০/১১/২০১৯ তারিখে আদালতে মোছাঃ শিপু বেগম এর যাবত জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর পিতা ও যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শিপু বেগম এর শশুর কাঁছা মালাকে গত ২৫/৯/২০১৪ সালে শ্বাসরুদ্ধ করে শশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হলে সে গোপনে বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে কাটিয়ে গোপনে গত সপ্তাহে দেশে আসলে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামী প্রবাস থেকে দেশে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে বিজয়নগর থানার একটি চৌকস ঠিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৫ মে বুধবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগিদয়া গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ি মতি মিয়া ও জলফু মিয়া পালিয়ে যায়। পরে রাস্তার উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।