চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকী মূল্যে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিবিসির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে এই বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৭০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার ১৬ হাজার ৬১৮ জন কার্ডধারীর মধ্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার মেড্ডা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চান্দপুর তমিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ গোলাম ফারুক।
অনুষ্ঠানে মাছিহাতা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নাদির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক হোসেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ দ্বীন ইসলাম ভূইয়া, মাওলানা মো. ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলাম মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। সবার সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে একটি মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দলটি সর্বদা সচেষ্ট। চলমান তীব্র শীতে অসহায় শীতার্তদের কথা চিন্তা করে জামায়াতে ইসলাম দেশব্যাপী শীতবস্ত বিতরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় ৬ শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মানবিক এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরে অতিথিবৃন্দ ৬ শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রাণের দাবি ও অধিকারের ন্যায্যতা আদায় আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ ১০ মে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্র মৈত্রী ও যুব মৈত্রী।
জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনের সভাপতিত্বে এবং জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি কমরেড ফজিলাতুন্নাহার, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন নাহিদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আজ ২২ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বারে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কৈশর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জীবনের এই ইচ্ছাটুকু আপনাদের মাধ্যমে আজ সকলের কাছে প্রকাশ করেছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন দলীয় মনোনয়ন পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান খাঁন, সমাজসেবক মুন্সী শাহআলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের আনন্দঘন অংশহগ্রহনের মাধ্যমে ২৯ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এই কবিতা উৎসবে ছিলো উদ্বোধনী আলোচনা। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি গান ও সম্মাননা প্রদান।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাবেক যুগ্ম সচিব কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি জয়দুল হোসেন ও কবি মো. আ. কুদদূস। মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমস্য সচিব কবি আব্দুর রহিম, উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠণ ও আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এসময় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর সদ্য প্রকাশিত ছিন্নপক্ষ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতান আবৃত্তি সংগঠণের নাওমী।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি আর গানের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদ আহমেদ দুলাল, আলোচনা করেন কামরুল হাসান, মজিদ মাহমুদ, মামুন মোস্তফা প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিনী নাজমা মান্নান।
তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন সম্পাদক-অধ্যাপক ও কবি মাহমুদ কামাল, আলোচনা করেন রানা কুমার সিংহ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন ডক্টর জিএম মনিরুজ্জামান। এ পর্বে উপস্থাপনা করেন কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্ষা ঋতু বাংলার অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই বর্ষা ও পানিকে সুরক্ষ করতে হবে। তারা বলেন, এদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের জলবায়ূ নিয়ে কথা বলতে হবে। প্রকৃতির সব ঋতুর যেনো সুরক্ষা হয়-তা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আরও বলেন, সাহিত্যে বর্ষা নিজস্ব মহিমায় বিস্তৃত। সাহিত্যের প্রাচূর্য বৃদ্ধি পাক। তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে টেনে আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, তরুণরা এখন কবিতা লিখছেনা, এটা ভাববার বিষয়। তরুণদের কবিতা পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব শিরোনামের প্রশংসা করে তারা বলেন, কবিতার জন্য অবশ্যই বিষয় থাকতে হবে। একটা সময় বর্ষা ছিলো আমাদের জন্য আশির্বাদ। বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো কবি নেই যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেন নাই। অথচ আজ প্রকৃতি যেমন বদলে যাচ্ছে তেমনি আমাদের কবিরাও বর্ষা নিয়ে তেমন কবিতা লিখছে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগত কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম ড্রিংকস, চা, মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ছিলো। পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার এবং কবিতাবিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদদূস ও সাবেক যুগ্ম সচিব কবি সানাউল হক।
দিনব্যাপী এই বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কয়েকজন কবি অংশগ্রহন করেন এবং তাদের মাতৃভাষায় রচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও ঢাকার কবিরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল্লাহ, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিব উপস্থিত ছিলেন।