চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাকচাপায় ইতি রানী দাস (১৮) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি রানী দাস নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের রামচরণ দাসের মেয়ে। এই ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, সকালে সিএনজিযোগে ইতি রানী দাসসহ তার পরিবারের সদস্যরা নাসিরনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধরন্তি নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়৷ এই ঘটনায় ইতি মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। সেই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব, একটা সুষ্ঠু ভোট দিতে হবে।’ গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই সভা হয়। সভায় কয়েক শ নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেশের মালিক আপনারা-জনগণ, আপনারা যাকে ভোট দেবেন, তারাই দেশ চালাবে। আপনাদের ভোট ছাড়া যারা দেশ চালাবে, তারা অবৈধ।’
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা শেষমেশ দেশ থেকে পলাইতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের লড়াই কিন্তু শেষ হয় নাই। এখন সুষ্ঠু ভোটের লড়াই চলছে। আমরা এখনো নির্বাচনের তারিখ নিতে পারি নাই।’ সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অনেকে বলে আপনি তো ঢাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আপনি গ্রামে সরাইল-আশুগঞ্জে থেকে কেন নির্বাচন করতে চান। আমি বলি নাড়ির টানে এখানে আসি। আমি আপনাদের সন্তান। আমি এখান থেকে নির্বাচন করতে চাই। আল্লাহ যদি আমাকে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য করে। তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। এখানেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। এখানকার শিক্ষার উন্নয়ন করব। বাচ্চাদের পড়াশোনার মান, স্কুল-কলেজের পড়াশোনার মান উন্নত করব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষি জমি থেকে অহিদ মিয়া (৫৭) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ জুন বুধবার বেলা ১০টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়বল্লা শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অহিদ মিয়া ওই এলাকার মৃত লোফা মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, অহিদ মিয়া পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ করতেন। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেও সন্ধ্যান পান না। পরে বুধবার সকালে কৃষি জমির ভেতরে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তিনি আরো জানান, তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ২৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীর ভাই আজির উদ্দিন আহমেদ পান্নার সঙ্গে তরুণ দলের নেতা আরাফাত রহমান হৃদয়ের বিতণ্ডা হয়। এ সময় সরাইল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলম আরাফাতের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ নিয়ে দুলাল ও নুর আলমের মধ্যে বিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে দুই নেতার সমর্থকরা উপজেলা সদরের সড়কের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একটি ভেকু ও একটি ট্রাক জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মানুডোবা বিলে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন।
এ সময় ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একটি ভেকু ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যান। এ সময় সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (ছ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করার জন্য সরাইল থানাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।