চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশী দামে জুতা বিক্রির অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের ফরিদুল হুদা রোডের এলিগ্যান্স, গোল্ডেন মাইল্স ও স্টেপ (ফুট প্রিন্ট) নামক তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীল রাখার জন্য ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জুতার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় তিনটি জুতার দোকানে অধিক মুনাফার লোভে জুতার গায়ে থাকা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যের প্রাইস ট্যাগ বসিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা করছে।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এলিগ্যান্স নামক জুতার দোকানকে ৪ হাজার, গোল্ডেন মাইলসকে ৫ হাজার ও স্টেপ (ফুট প্রিন্ট) কে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছের ডাল কাটা নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সরকার পাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- নুরুল ইসলাম (৫০), আমাতু (৪০), রফিকুল ইসলাম (১৮)।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকার পাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ির গাছের ডাল কাটা নিয়ে স্থানীয় হারুন মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার পরিবারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল ইসলামের পরিবারের ৩জন আহত হয়। শহর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আহত নুরুল ইসলাম জানান, গত ৪২ বছর যাবত মস্তু মিয়ার ভাই হারুন মিয়ার সাথে ৩৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এ জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মামলা হয়েছে। আদালতের রায়ে নুরুল ইসলাম জায়গা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে হারুন মিয়ার ছেলে আশরাফুল, সিরাজুল, সাইফুল, ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে বিজয়, হৃদয়, বাক্কি তাদের বাড়ির গাছের ডাল কাটতে আসে। এসময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী আমাতু ও তার ছেলে রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেন। আহত অবস্থায় তার স্ত্রী ও ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেছে। তিনি এ হামলার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব নদী দিবসে তরী বাংলাদেশ এর র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর বর্ণাঢ্য র্যালি দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের সকল নদ-নদী দখল-দূষণ, নাব্যতা সংকটসহ নদীর বালু লুন্ঠনের মহোৎসব এখনই থামানো না গেলে বাংলাদেশের নদ নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। যার জলন্ত উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া আকস্মিক বন্যার প্রকোপ। তিনি আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন পরিবেশ কর্মী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ নদী-প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করছেন। আমরা আশা করি তিনি নদী সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হবেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের কার্যকরী কমিটির সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, সিনিয়র সাংবাদিক কাউসার ইমরান, কমরেড নজরুল ইসলাম, নারী নেত্রী ফজিলাতুন নাহার প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাংবাদিক হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর শহরের অংশে সব ক’টি বাজারের বর্জ্য সরাসরি নদীতে যাচ্ছে এছাড়াও নদীর সাথে যুক্ত খালগুলো বিশেষ করে টাউনখাল দখল দূষণে বিলীন প্রায়।
পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকা ও আংশিক উচ্ছেদ অভিযান হলেও দীর্ঘদিন তদারকি না থাকায় দখলদারেরা পুনঃদখলের পাঁয়তারা করছে।
তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি থাকে মেড্ডা পর্যন্ত দখলদারদের চিহ্নিত করলেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। অনুরূপ লালপুর সড়কের পাশে থাকা প্রায় ১৪ কিলোমিটার খালে দখলদারদের চিহ্নিত করা হলেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
বিরাশার মোড়ে সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে টিনশেড মার্কেট নির্মাণের ফলে বারোমাস জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে মারাত্বক জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও সমাধান পাওয়া যায়নি। পানি উন্নউন বোর্ড কর্তৃক তিতাস নদী খননের কথা শোনা গেলেও মূলতঃ নদী থেকে বালু উত্তোলন আর বালুর ব্যবসা হয়েছে। নদীর বালু দিয়ে বিল ভরাট করা হয়েছে। উপশহরের নামে বিল লুণ্ঠনের পরিকল্পনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। পৌরসভার পরিধি বৃদ্ধির জন্য শহরের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও তিতাস নদীর পূর্বপাড় বিলের জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। নদী রক্ষায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, সঠিক খনন ও নৌপথ সচল রাখার গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। তাঁরা আরো বলেন বিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগর সড়কের পাশে ফসলী জমি প্লট হিসেবে বেচাকেনা হচ্ছে এবং চটকদার বিজ্ঞাপন নানা মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও প্লট ভরাটের কার্যক্রমও চলছে। যা পরিবেশ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিশেষে বক্তারা জেলা নদী রক্ষা কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক হিসাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবদুল মতিন শিপন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক আহমেদ প্রকাশ ইকরাম (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা হাসপাতালে ভাংচুর করেছে।
পাশাপাশি শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনসহ বন্ধুরা। নিহত ইশতিয়াক আহমেদ সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের হাজী সহিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ইশতিয়াক বেশ কয়েকদিন ধরে নাকের পলিপাস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর নাকের মাংস বেড়ে গিয়েছিল। নাকের অস্ত্রোপচারের জন্য গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সে জেলা শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়।
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ট হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রাফিউল আলম তার অস্ত্রোপচার করেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইশতিয়াককে ওই হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে তাকে অচেতন করার ইনজেকশন দেন অবেদনবিদ (এনেস্থেশিস্ট) ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তি। অস্ত্রোপচারের পর অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে অচেতন ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে রোগীর মা শরিফা বেগম ও তাঁর ভাবী ভয় পেয়ে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুনরায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যান। এরপর থেকে রাত পর্যন্ত স্বজনরা বার বার ইশতিয়াককে দেখার চেষ্টা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দেখার সুযোগ দেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইশতিয়াক ভালো আছেন বলে তার স্বজনদের আশ্বস করেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে রোগীর স্বজনকে না জানিয়ে অচেতন অবস্থায় ইশতিয়াক জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসিইউ স্পেশালাইডজ এন্ড জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করে আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইশতিয়াকের মৃত্যু হয়।
বেলা ১১টার দিকে ইশতিয়াকের স্বজনরা আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাসপাতালের একজন মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন। বেলা ১২টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে দুুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে নিহতের স্বজন ও বন্ধুরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহসহ নিহতের বন্ধুরা বক্তব্য রাখেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক নাজমুল সাকিব (৩২), কর্মী আরিফুল ইসলাম (২৮) ও এমদাদুল বাছির (৩৩)।
দুপুরে ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াকের মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহেতর বড় ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে আল খলিল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খলিলুর বশির, চিকিৎসক রাফিউল আলম ও ফৌজিয়া আক্তার টিকলিকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহতের ভাবী আরজিনা আক্তার বলেন, ইশতিয়াককে সুস্থ অবস্থায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। চিকিৎসক রাফিউল আলম তার অস্ত্রোপচার করেন। বিকাল চারটায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে বেডে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর পর তাঁকে ডাকতে ও নাড়াচাড়া করানোর কথা বলেন চিকিৎসক। এক পর্যায়ের তাঁর হাত পা ঠান্ডা ও কালো হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তাঁকে পুনরায় অপারেশন থিয়েটর নেয়া হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক ফোৗজিয়া সঠিকভাবে এনেস্থেসিয়া না দেয়ায় তাঁর এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানতে পারি। আমাদেরকে কিছু না বলে তাঁকে অন্য হাসপাতালের আইসিউতে নিয়ে যায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বেলা ১২টায় আইসিইউ হাসপাতাল ইশতিয়াকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসিইউ স্পেশালাইডজ এন্ড জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) আবু কাউসার বলেন, তাকে আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় আনা হয়। শনিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাফিউল আলমকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করনে নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ইশতিয়াকে মৃত্যুর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তার ভাই বাচ্চু মিয়া। ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চালের দর নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাস্ক ফোর্স বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজারে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদকে সামনে রেখে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই বাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এ অবস্থায় অভিযানে নেমেছে টাস্ক ফোর্স। এ অভিযানে চালের ক্রয়মূল্যের রশিদ না থাকা এবং মজুতের সঠিক তথ্য না দিতে পারায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, ইতোপূর্বে কয়েকটি অবৈধ চালকলে অভিযান চালানো হয়েছে। এখন বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযানে নেমেছে টাস্কফোর্স। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে অল্প জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মজুত আইনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে নিয়োজিত দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে ড্রেজার ও বাল্কহেডের দুই চালককে দুই মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপাওয়া দুই চালক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুভারামপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকার তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে নদী থেকে বিপণনের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করায় এবং ড্রেজিং এর কারণে নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় আইনের ১৫(১) ধারায় আটক দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালককে ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও আটক চারজন শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দিয়ে দেন।