চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে ৫০টি ফলজ ও ফুলের চারা রোপনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এর উদ্বোধন করেন। শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার কর্ম এলাকা ৫৫ টি জেলায় ছাদ বাগান কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের অফিসের ছাদে বাগান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভিন, শক্তিফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ও হেড অব ট্রেনিং মোঃ নজরুল ইসলাম, জোনাল হেড মোঃ নাজমুল হক, রিজিওনাল হেড আল মামুন, এরিয়া সুপার ভাইজার মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারণা মামলায় মাহবুব শরীফ (৪২) নামে এক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহবুব একই এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মামলার বাদী শামিমা হক জানান, তারা দুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করেন। একই স্থানে কাজের সুবাদে দুজনের মধ্যে ভাল সম্পর্ক হয়ে উঠে। একসময় মাহবুব তাকে গরুর ব্যবসার অংশীদার হতে প্রস্তাব দেন। পরে শামিমার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য স্টাম্প ও চেকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা নেন মাহবুব। তারপর থেকে ব্যবসার লাভ কিংবা মূল টাকা ফেরত দেয়নি মাহবুব। টাকা উদ্ধার করতে না পেরে ২০ নভেম্বর মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মাহবুব শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট পেয়ে অভিযান চালিয়ে মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি পরিকল্পিত নগরায়ন (দৃষ্টি নন্দন ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও আইন-শৃংখলা ও সুশাসনের (নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপর জোর দেন। আগামী নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তিনি ৮.৭% থেকে প্রায় শুন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আশ্বাস দেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ একটি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কৃষি কলেজ স্থাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস ও যাতায়তের জন্য বাসের ব্যবস্থা, বিজয়নগরে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপন, একটি ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা ও একটি আইটি পার্ক স্থাপন, ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সিটিস্ক্যান, এমআরআইসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি অর্থোপেডিকস ও ট্রমা হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আন্তঃ বিভাগ স্থাপন, বক্ষব্যাধি ও/যক্ষ্মা হাসপাতাল আধুনিকায়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অত্যাধুনিক মাতৃসদন স্থাপন, তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে পরিকল্পিত উপশহর গড়ে তোলা, সদর উপজেলার নন্দনপুরের বিসিক শিল্পনগরীকে একটি পূর্নাঙ্গ “ শিল্প পার্কে” রূপান্তর, মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন, ট্রেন এবং ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, শহরের ভাদুঘর পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন, একটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ইজিবাইক ও রিকসার জন্য আলাদা আধুনিক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিনত করা।
তিতাস গ্যাসের প্রাপ্ত আয়ের ২% ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রবাসীদের জন্য একটি হাউজিং এস্টেট তৈরীর পরিকল্পনা, সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প, সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর-স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মান, শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন, একটি বহুমুখী ক্রীড়া একাডেমী প্রতিষ্ঠা।
ইশতেহারে স্বাস্থ্যকর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), গতিশীল ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (যোগাযোগ ও অবকাঠামো), খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া( কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন), শিক্ষিত ও দক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন), দারিদ্রমুক্ত, কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দারিদ্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়ন), স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (প্রবাসী কল্যাণ), চৌকস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খেলাধূলা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও পর্যটন) ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ( ধর্মীয় সহনশীলতা) কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও সদরে মুহতামীম, দেশের শীর্ষ আলেমেদ্বীন আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:)’র স্বরণে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ আসর জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এর বর্ণাট্য জীবনীর উপর আলোচনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা শামসুল হক ছাতিয়ানী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মুফতী শামসুল হক, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী আবু বকর, মুফতী শরীফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী রাকিবুল হাসান, হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মাওলানা শরিফুদ্দীন, ক্বারি বোরহান উদ্দিন, মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) সারাজীবন ইসলাম, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ দ্বীনের বহুমুখী কার্যক্রম অত্যন্ত নিষ্টার সাথে পরিচালনা করে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা জীবন যাপন করে গেছেন।
আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এলেমের জগতে এক কিংবদন্তী আলেম ছিলেন, তার ইন্তেকালে এলেমের জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা পূরণ হবার নয়। সকলের সাথেই আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর ছিলো হাসিমাখা অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে তিনি সবসময় অবিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার ইন্তেকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন যোগ্য অবিভাবক হারিয়েছে।
আলোচনা শেষে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ 🙂 এর মাগফিরাত কামনায় মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, তালিবুলইলম ও মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।