চলারপথে ডেস্ক :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সংসদে বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুজিববর্ষ বিশেষ অধিবেশন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন। কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর ক্ষমতা না দেওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দেন সংবিধান। এরপর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান- এটা বিশ্বে বিরল।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন- কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয় এবং জাতীয় সংসদের ৫০বছর পূর্তি ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের কার্যাদি নিষ্পন্নের জন্য সময় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় অধিবেশন শুরু হয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ৭ এপ্রিল বিকাল ৩ টায় এবং ৮ ও ৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় অধিবেশন শুরু হবে।
এ অধিবেশনে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টায় স্মারক বক্তৃতা দেবেন।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ২০টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৪৪৯টি প্রশ্নসহ মোট ৪৬৯টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে, বিধি-৭১ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩৫টি। অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য ৮টি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে। গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ৯টি বিলসহ ১৭টি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ৭টি, পাসের অপেক্ষায় ১টি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় ৯টি। বেসরকারি সদস্যদের বিলের কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম সঞ্চালনা করেন। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এসময় স্পিকার মটসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
তিনি বলেন, মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের ৫০ বছরের পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্পিত, পল্লবিত ও বিকশিত হয়ে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিতাস বাংলাদেশ অবদান রেখেছে। যার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে মটস, যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে তাদের শতকরা ৯৫ শতাংশই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সেবাস্টিয়ান রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, জুয়েল আরেং এমপি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনা ডায়োসিসের বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, ঢাকা আর্চ ডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডিরোজারিও, আখিলা ডিরোজারিও, আর্চবিশপ বিজয় এন ডিক্রুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মটসের পরিচালক জেমস গোমেজ ।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় একজন খুন ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাইদুর রহমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির ফুফাতো ভাই ও কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং মনির হোসেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
আখাউড়া উপজেলায় মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সদরে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে খান আরিফুর রহমান এবং নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঝালকাঠি সদরে খান আরিফুর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান হোসেন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অ্যাডভোকেট জিকে মোস্তাফিজুর রহমান।
ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে দুই উপজেলার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইএম মাসুদ রেজা আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৭৯টি।
অপরদিকে, পাঁচবিবি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেকুন নাহার। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভিপতি আবু বকর সিদ্দিক আনারস প্রতীক পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৭ ভোট।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৫ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (পালকি প্রতীক) বুলবুল হাসান পিপুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রাজীবুল হাসান রাজু ১১ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (তীর ধুনুক প্রতীক) মোছা. নার্গিছ আক্তার মোট ৩৬ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (হাঁস প্রতীক) মোছা. ইন্দোনেশিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৬১ ভোট।
চৌগাছা (যশোর): যশোরের চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আখতারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
অন্যদিকে, বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে হামিদ লতিফ ভূঁইয়া ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪ ভোট।
বগুড়া: বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত রাজু বগুড়া-৩ (আদমদিঘী দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাধনের বাবা। এমপি বাধনের মা জেলা পরিষদের বগুড়া ৩নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামীমা আখতার মুক্তা।
চেয়ারম্যান পদে রাজু নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেসবাউল করিম। রাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের রাশেদুল ইসলাম রাজা।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আহম্মেদ বিপ্লব, কাহালুতে হাবিবুল হাসান কবিরাজ সরুজ এগিয়ে আছেন। দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার বগুড়া জেলার তিন উপজেলার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ২৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে কাহালু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পেদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা পুলিশ পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নগরের নিমতলা খালপাড় ও পাহাড়তলী থানার বৌ বাজার থেকে জাল নোট উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথ এলাকার সেলিম মিয়ার বাড়ীর মো. শাকিব (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার কৃষ্ণনগর হিন্দুবাড়ীর সন্তান অন্তর বিশ্বাস (২২)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা বলেন, পৃথক অভিযান চালিয়ে মো. শাকিব ও অন্তর বিশ্বাসকে ৯ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী তাদের তথ্য মতে পাহাড়তলী থানার বৌ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নাই। ২০১৪ সালে ভোট দিতে পারিনি, ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারিনি। এখন আবার নির্বাচন আসছে, তারা (সরকার) আবার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা শুরু করেছে।
আজ ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। যদি তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হয় তাহলে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। এজন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই।
‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে আছে তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে, সচেতনভাবে সাধারণ মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদের কাজের কোনো সংস্থান নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের নাভিশ্বাস চলছে। অথচ আওয়ামী লীগের সরকারে যারা আছে, তাদের সঙ্গে যারা আছে তারা অন্যায় অর্থ উপার্জন করে, লুটতরাজ করে এদেশ থেকে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করাসহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে তাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।