অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে ভারতকে কম দামে অশোধিত তেল বিক্রি করেছে রাশিয়া। ওই তেল শোধনের পরে ইউরোপে রফতানি করে বিরাট মুনাফা অর্জন করেছে ভারতীয় সংস্থাগুলো, এমনটাই জানা গেছে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে। কেপলার ও ভরটেক্সা নামে দুই সংস্থার দাবি, ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে ভারত থেকে পরিশোধিত তেল রফতানির পরিমাণ।
দুই সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার আগে প্রতিদিন ইউরোপীয় বাজারগুলোতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল রফতানি করত ভারত। তারপরেই ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করে ইউরোপীয় দেশগুলো। রুশ সংস্থাগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন করে পশ্চিমি দুনিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে খুবই কম দামে অশোধিত তেল রফতানি করে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অনড় থেকে রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায় ভারত।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে লাফিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে ইউরোপে পরিশোধিত তেল রফতানির পরিমাণ। গত অর্থবর্ষে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করেছে ভারত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরাকের বদলে রাশিয়ার থেকেই সবচেয়ে বেশি তেল কিনেছে ভারত। কম দামে রুশ তেল কিনে পরিশোধিত তেল রপ্তানি করা হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলিতে।
কেপলার ও ভরটেক্সার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১২-১৬ শতাংশ বেড়েছে ভারতের ডিজেল রফতানির পরিমাণ। ফ্রান্স, তুরস্ক, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ডিজেল রফতানি করেছে ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কম দামে রুশ তেল কিনা তা শোধন করার পর সঠিক দামেই ইউরোপের বাজারে বিক্রি করছে ভারত। তার ফলে ব্যাপক মুনাফাও অর্জন হয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই মোটরবাইকার ‘রাশিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী বাইকার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।
তাতায়ানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মোটোতানয়া’ নামেও পরিচিত। ইউটিউবে তার চ্যানেলের ২০ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার এবং ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষের বেশি ফলোয়ার ছিল। বাইক নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করে তিনি বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করতেন, যা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ আয় করতেন।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘তুর্কিয়ে টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাতায়ানা তুরস্কের মুগলা থেকে বোদ্রাম যাওয়ার পথে মিলাসের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকে ধাক্কা মারেন। স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রথমবারের মতো আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে চালানো হলো ‘ট্র্যাক কার’। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সফলভাবে এই ট্র্যাক কার চালানো হয়। আগামী ২২ আগস্ট বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করার কথা রয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সন্ধ্যায় ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হয়। তবে রেললাইনের যেটুকু অংশের কাজ বাকি আছে তা ২২ আগস্টের আগে শেষ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরই নিদর্শন হিসেবে দুই দেশের জাতির পিতার সম্মানে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন নির্মাণ করেছে ‘সাউথ সুদান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মনুমেন্ট’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনুমেন্ট উদ্বোধন উপলক্ষে গত ১৩ জুন দক্ষিণ সুদানের ওয়াও শহরে ব্যানব্যাট-৬ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম মনুমেন্টটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ইব্রাহিম সুরুর ইব্রাহিম ও ৫–এলিফ্যান্ট ডিভিশনের চিফ অব অপারেশন মেজর জেনারেল মাকুয়েই কির আকুক। এ ছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানে কর্মরত বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পদাতিক পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্থানীয়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপশুর চিকিৎসা, বিদ্যালয়ে বই-খাতা ও স্টেশনারি প্রদান, কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
পরে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করতে শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। দক্ষিণ সুদানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ায় সবাইকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা ও খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা ও দিল্লির গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারা এ প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেল সংযোগটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। রেলপথটির বাংলাদেশের অংশ ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
অন্যদিকে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। এই রেলপথ দেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। দুই প্রতিবেশী দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষমতাসম্পন্ন।
অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক একটি ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। জাহাজটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছে হুথি। এদিকে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
হুথিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে, ইসরায়েল এটিকে ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ডের অংশ বলে দাবি করছে।
যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন এ জাহাজের পরিচালনায় রয়েছে জাপান। এটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ভারতগামী জাহাজটিতে কমপক্ষে ২৫ জন লোক ছিল।
এর আগে রবিবার হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের পতাকাবাহী যে কোনো জাহাজ আটকের ঘোষণা দেয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, হুথি বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিক নাবিকদের ইসরায়েলি কোনো জাহাজে কাজ না করার জন্য আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে ইসলামিক নিয়ম-নীতি অনুসারে আচরণ করছি। তাদেরকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের মালিকানাধীন যে কোনো জাহাজ বা যারা এ ধরনের জাহাজে কাজ করবে, আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবো। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনী। তাতে উল্লেথ তরা হয়েছে, হুতিদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া জাহাজটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তেল আবিবের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাহাজটিতে থাকা ২৫ জন নাবিকের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক নন। নাবিকরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। হুথিদের জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। ইরান ‘বিশ্বের মুক্ত নাগরিকদের’ বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তবে ইসরায়েলের এই দাবির পাল্টা জবাবে ইরান বলেছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে তেহরান জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে ইরানকে দায়ী করছে। সূত্র: আল জাজিরা