চলারপথে ডেস্ক :
টাইগারদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হলো না আয়ারল্যান্ডের। লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো আইরিশদের। সিরিজের একমাত্র টেস্ট আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবরা।
১৩১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে শুরুতেই অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। এরপরই সাজঘরের পথ ধরেন গ্রাহাম হিউম। আর এতেই ২৯২ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের দৌড়।
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বিকালের সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। তবে লরকান টাকারের সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ায় আইরিশরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হলে ১৩৮ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।
১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে দলীয় ৩২ রানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৯ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে দ্রুতই আউট হন নাজমুল হাসান শান্ত। দলীয় ৪৩ রানে ৯ বলে ৪ রান করে ফিরে যান শান্ত।
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দৃঢ়তা নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। ২ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থাকে ফিরে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ১০৫ রানে আউট হন তামিম। ৬৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ৪৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আয়ারল্যান্ড : ২১৪ এবং ২৯২
বাংলাদেশ : ৩৬৯ এবং ১৩৮/৩
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। জোড়া গোল করে আলো ছড়িয়েছেন দরিয়েলতন গোমেজ। কিংসের অন্য দুটি গোল রাকিব হোসেন ও রবসন রোবিনহোর।
ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে লিগ শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। পুলিশের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আজ কিংসের কাছেও বড় ব্যবধানে হারল চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যাচের গতিপথ বুঝে ওঠার আগেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে কিংস।
ঘড়ির কাটায় দুই মিনিট পেরোনোর আগেই দরিয়েলতন গোমেজের গোল। মধ্যমাঠের খানিকটা ওপর থেকে টুটুল হোসেন বাদশার ক্রস গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের মাথায়, দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। এবারের মৌসুমে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
দশম মিনিটেই পেয়ে যায় ম্যাচে ফেরার গোল। ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ছয় গজ বক্সে বাদশা ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পান ডেভিড ওজুকু, তাঁর ছোট পাসেই জোরাল শটে বল জালে পাঠান আজিজ আবোলাজি।
সময় বাড়ার সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নেয় কিংস। কেন তারা সেরা, সেটির প্রমাণ রাখে দ্রুতই। ২৮ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মধ্যমাঠ থেকে রবসন রোবিনহোর বাড়ানো পাস ধরে বক্সে ঢুকে গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। প্রথমার্ধেই ব্যবধান ৩-০ করে কিংস। নিজের দ্বিতীয় এবং কিংসের তৃতীয় গোলটি করেন দরিয়েলতন। গোললাইনের ওপর থেকে রফিকুলের কাটব্যাক গিয়ে পড়ে দরিয়েলতনের পায়ে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি। আগের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন দরিয়েলতন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিংসের পায়েই বল ছিল বেশিক্ষণ। সুযোগও আসে একাধিক কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিল না। হ্যাটট্রিকের সুযোগও নষ্ট করেন দরিয়েলতন। ৮৫ মিনিটে বক্সে মাসুক মিয়া জনিকে ফেলে দেন রায়হান হাসান। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি, সফল স্পট কিকে জয়ের ব্যবধান আরো বাড়ান রোবিনহো। এক বছরেরও বেশি সময় পর এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন কিংসের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। গত মৌসুমের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। অস্ত্রোপচারের পর পুর্নাবসন প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মাঠে ফিরলেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিয়েলবোটিক্স সম্প্রতি উন্মোচন করেছে এক অভিনব রোবট সঙ্গী। এটি একজন নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনের সঙ্গী হবে, প্রেমিকারও প্রয়োজন মেটাবে! মার্কিন সংস্থাটির দাবি, রেগে গেলে প্রেমিকা ঠিক যেমন আচরণ করে, রোবট গার্লফ্রেন্ড আরিয়াও তেমনই করবে।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
এমনকি মন খারাপে সে আপনার কথা শুনবে, দেবে সমস্যার সমাধান। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অবদান রোবটদের আগের তুলনায় আরো মানবিক করে তুলছে। অর্থাৎ, আরিয়া সব কিছু বুঝতে পারে। আপনার সঙ্গে একেবারে গার্লফ্রেন্ডের মতোই আচরণ করবে।
ভালোবাসা, কথা, গান এবং কখনও কখনও অভিমানও করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটির ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত রয়েছে ১৭টি মোটর। যা আরিয়ার মুখ এবং চোখের নড়াচড়া, অন্যান্য অঙ্গভঙ্গি হুবহু মানুষের মতো করতে সহায়তা করছে। আরিয়াকে প্রথম দেখা গেছে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫-এ। তার দাম ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার)।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি
রিয়েল বোটিক্সের সিইও অ্যান্ড্রু কিগুয়েল জানান, তার কোম্পানির লক্ষ্য এমন রোবট তৈরি করা, যা মানুষের কাছ থেকে প্রায় আলাদা করা যাবে না। একই সাথে তা পুরুষদের একাকিত্ব দূর করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোবট নির্মাণে এক অনন্য স্তরে পৌঁছেছি। এটা মানুষের রোমান্টিক সঙ্গী হতে পারে, আপনার কথা মনে রাখবে এবং বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের মতো আচরণ করবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন যুগে পা রাখলো লঙ্কান ক্রিকেট। অবশেষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পেলো তারা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিধ্বংসী এক ডাবল হাঁকিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার কীর্তিও গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১৩৯ বলে তার ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৮টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নিশাঙ্কা। এই ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার তিনি।
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা আছে আজসহ ১২টি। এর মধ্যে ভারতের রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি।
নিশাঙ্কার চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১৮২ রান তুলে দেন নিশাঙ্কা। ফার্নান্ডো সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন বল সমান ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৪ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বামী জহির ইকবালকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তার এই অভিযোগের কথা শুনে শুরুতে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। তাহলে কী অভিযোগ দ্বারা এই ছয় মাসের দম্পতি বিচ্ছেদের খবর শোনাবেন? এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল অনেকের মনে। তবে সেটা অভিযোগ নয় বরং সেটা আসলে স্বামীর প্রতি এক ধরনের অনুযোগ।
অভিনেত্রীর কথায়, জহির সবসময় এর সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটিতে মেতে থাকেন। সেজন্যই একটুও শন্তিতে নেই সোনাক্ষী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সোনাক্ষী। আর বেড়াতে গিয়েই দু’জনে মেতে উঠেছেন ছেলেমানুষিতে। কীভাবে সারাক্ষণ জ্বালাতন করেন জহির, তার নমুনা হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এই বলিউড তারকা।
ভিডিওতে দেখা গিছে, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ দম্পতি। সেখানে পানিতে পা ভেজাচ্ছেন অভিনেত্রী। এমন সময় জহির পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দিলেন। ঢেউয়ের তোড়ে সোনাক্ষী এ দিকে পড়ছেন একবার, কখনও আছাড় খাচ্ছেন সমুদ্র পাড়ে। দূরে দাঁড়িয়ে হেসে কুটিকুটি জহির। ক্যামরাবন্দির সেই মুহূর্তটা শেয়ার করে অভিনেত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাকে এক ফোঁটা শান্তি দেবে না। একটু ভিডিও করতে দেবে না।’
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, সোনাক্ষী বিমানে ঘুমাচ্ছেন তখনও স্ত্রীকে বিব্রত করছেন, কখনও আবারও ভয় দেখাচ্ছেন জহির। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতোলা। কোনো না কোনো ইস্যু নিয়ে কিছুদিন পর পরই সংবাদের শিরোনামে আসেন এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়ই নামের সাথে জুড়ে থাকে বিতর্ক। কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে কথা বলে কটাক্ষের মুখে পড়েন। তারকার ওপর হামলা নিয়ে সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে নিজের লাখ টাকার ঘরি শো-অফ করেন। এ দৃশ্য দেখে অসংবেদনশীল তকমা দেয়া হয় তাকে। পরে এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিনেত্রী ঊর্বশী।
এদিকে, এবার এ অভিনেত্রী বাথরুম থেকে ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বাথরুমে প্রবেশ করছেন ঊর্বশী। এ সময় পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
এরপরই প্রশ্ন উঠে-এ ধরনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রকাশ্যে এলো কীভাবে? এ নিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা যখন নানান আলোচনা-সমালোচনা করছেন, বিষয়টি নিয়ে তখনই প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী।
এ ব্যাপারে ঊর্বশী রাউতোলা বলেন, নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, আমাদের সিনেমা নিয়ে কোনো ধরনের হাইপ নেই, আলোচনাও নেই। এ সিনেমার জন্য জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তারা এমনটাও বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে যদি কোনো শোরগোল তৈরি করা না যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।
এ অভিনেত্রী বলেন, নির্মাতারা এসে আমার বিজনেস ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করেন এবং অনুমতি নেন আমাদের। আর আমাদের সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আলাদা কিছু শুটিং করিনি। এ জন্য তিনি বলেছিলেন, এটি আমরা আরো আগে মুক্তি দিতে পারি কিনা। আর প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রোমোশনের জন্য এমনটা করি। যা ‘ঘুষপেটিয়া’ সিনেমার দৃশ্যের ছিল।