চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকার উন্নয়নের নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আগামীদিন বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে সেই লুটের টাকার হিসেব নেয়া হবে।
তিনি আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০দফা দাবিতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।
স্টেশন রোডের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, বর্তমান সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকার ১৫ বছরের দুঃশাসনের মাধ্যমে মানুষকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছে তাতে আগামী ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোঃ জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য মুমিনুল হক, উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন, তালশহর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন আহমেদ, শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রওয়াজ আহমেদ, তারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামদু মিয়াজী, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাবুল আহমেদ, চর-চারতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি উদ্ভট উদ্ভট কথা বলে। যে আইন আমাদের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে দিয়েছে। যে আইন সংসদে পাশ করে উল্টাইয়া গেছে ওই টেক ব্যাক থিউরি থেকে এখন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে।
গতকাল সোমবার বিকেলে আখাউড়ায় উপজেলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না। তারা নকল করায় ওস্তাদ। তারা আমেরিকা থেকে টেক ব্যাক থিউরি এনেছে। তারা বলছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তার মানে হচ্ছে বিএনপি আমাদেরকে যে আস্তাকুড়ে রেখেছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে সব মুছে দিয়ে আমাদের সেই গর্তে ভরতে হবে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে আগামী নির্বাচন হবে। তার এক ইঞ্চি তারতম্য হবে না।
বিএনপির টেক ব্যাক বাংলাদেশের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশের মেহনতী মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এখন টেক ব্যাক বাংলাদেশ হলে তাহলে তো পদ্মা সেতুন ভাঙতে হবে। ওই নদীতে সেতু থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এগুলো অন্ধকার করে দিতে হিবে। যে রাস্তাঘাট হয়েছে, সবগুলো সড়কে ড্রেন কাটতে হবে। কারণ টেক ব্যাক বাংলাদেশ।
রেলওয়ে স্টেশন সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইবনে মাসুদ খলিফা লাকসু।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির খান, ধরখার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি হাবিবুল্লা বাহার সাচ্ছু, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল, উপজেলা ভ্যান শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমজি হাক্কানি, এম এ আজিজ, মনির হোসেন বাবুল, মো. সেলিম ভূইয়া, সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির মানববন্ধনের নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ তাদের শান্তি সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অপর দিকে, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সামান্য দূরে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশের আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে শান্তি সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, বিএনপি মানববন্ধনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে। এই মানববন্ধনে যারা এসেছেন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অপর দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিলো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশের যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।
তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ‘৬৬ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রসহ সকল রাজনৈতিক অপশক্তির চক্রান্তকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে নিশ্চিত করতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ জুন ‘৬ দফা দিবস’ উৎযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এই আহবান জানান।
বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং রুবেল সিকদারের সঞ্চালনায় সভায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের আহম্মেদ, অধ্যক্ষ শাহাজান আলম সাজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেবজু মিয়া, হাজী ছাইদুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া ও মোশারফ হোসেন মুন্সি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।