চলারপথে রিপোর্ট :
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে হোটেল পরিচালনা ও খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় ফল ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর।
আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরে অভিযান চালিয়ে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৩ সিপিসি-১দিনাজপুরের স্কোট কমান্ডার এএসপি সালমান নুর আলমসহ র্যাব সদস্যরা।
দিনাজপুর শহরে স্টেশন রোড এলাকায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা ও ঘোল এর বোতলে তথ্য ট্যাগ না থাকায় মামা বিরিয়ানি হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় স্বাধীন ফল ভান্ডারকে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযানের পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ রুনী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান রমজানকে কেন্দ্র করে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে এবং অনিয়ম পেলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২৯ জুনকে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। ১৪ জুন থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। তবে চাপ কমাতে দুই শিফটে টিকিট দেওয়া হবে। সকাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের এবং বেলা ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে।
আজ ৩০ মে মঙ্গলবার রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ২৪ জুনের টিকিট ১৪ জুন, ২৫ জুনের টিকিট ১৫ জুন, ২৬ জুনের টিকিট ১৬ জুন, ২৭ জুনের টিকিট ১৭ জুন এবং ২৮ জুনের টিকিট ১৮ জুন বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯, ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার। সব টিকিটি অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। ঈদের ট্রেনে ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যোগ করা হবে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন। ২২ জুন বিক্রি হবে ২ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ওই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইউএনও অহনা জিন্নাতের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় এসময় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রাব্বী, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খাঁন, জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু প্রমুখ।
দিবস দুটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তাপমাত্রা বেশি কমে গেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার বিষয়ে আজ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রাথমিকের বিষয়ে এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি।
তবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রশ্নের জবাবে উত্তম কুমার বলেন, স্কুল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা প্রতিদিন আবহাওয়ার বুলেটিন দেখছি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে, তীব্র শীতে শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা প্রদান করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যাতে তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হয়। আমরা চাই, আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।’
আজ ২ মার্চ শনিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিমেন্ট, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট’ তথা ‘বীর’ এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই, আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।’
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই এভাবেই আমরা সবাই এক হয়ে আমাদের দেশকে গড়ে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিচ্ছি। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচন করে দেশকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ায় আজকের বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল বলে পরিচিতি পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি আধুনিক, পেশাদার ও চৌকস সশস্ত্রবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। তার নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লায় গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। এ ছাড়া তিনি কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই আমরা ‘প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮’ ও ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করা হচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক–এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সঙ্গে রয়েছে আমার গভীর বন্ধন। কারণ, জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের নামে একটি রেজিমেন্ট হবে। ২০০১ সালেই সেই রেজিমেন্ট আমরা প্রতিষ্ঠা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই রেজিমেন্টকে ‘রেজিমেন্টাল কালার’ প্রদান করি এবং ২০১১ সালে আমিই এই রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান করি। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।” ‘এই ইউনিটের সদস্যরা দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে’, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, ‘তারা এই যে কাজের মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন, তা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছে। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় এক দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সময় শিকারের আশায় যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় মো কামাল মিয়া নামে এই অভিযুক্তকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞান পার্টির দুইটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দুইটি অভিযোগেই একই ধরনের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। ৩০ আগস্ট ওমান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন সুরুজ আলী। এরপর ২ নম্বর ক্যানোপি দিয়ে বের হওয়ার সময় যাত্রীবেশী কামালের পরিচয় হয়।
কৌশলে প্রতারক সুরুজের গন্তব্য জেনে নেয় কামাল। এর পর নিজেও একই দিকে যাবেন বলে এক সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত কামাল। এরপর সুরুজকে বিভিন্ন কথা বলে বহুতল কার পার্কিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে গল্প করেন এবং আস্থা অর্জন করে যাত্রী সুরুজকে কামাল কৌশলে জ্যুস পান করান এবং ভুক্তভোগী জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সকল মালামাল হারিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর আরো এক প্রবাসীর অভিযোগ পায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। যাত্রী রিপন হোসেন সৌদি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর শাহাজালাল বিমানবন্দরে আসেন। ঢাকা ফেরার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। তিনিও সাথে থাকা ৩ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইলসহ সবকিছু হারান।
এ সকল অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তদন্তে প্রতারক কামালকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে এপিবিএনের অপারেশন টিম। এর পর জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল কামালের। গতকাল মধ্যরাতে অভিযুক্ত কামালকে আবারো যাত্রী বেশেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, আটক হওয়ার সময় নিজেকে যাত্রী দাবী করছিলেন কামাল। এ সময় যাত্রীর মত ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় কামাল। উপরে আলোচিত দুই যাত্রী রিপন ও সুরুজ দুইজনকেই সে নিজে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছে।