চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় “লাইক ফ্যাশন হাউজ” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ৫ হাজার ও “লা-রোজা” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ. টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রির দায়ে লাইক ফ্যাশন হাউজের শো-রুমকে ৫ হাজার এবং ক্রয় মূল্যের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারায় লা-রোজা নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পৌর শহরস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন স্কাউটসদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকল স্কাউট্স দের পরিচয় প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্কাউটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রাক্তন স্কাউটস সদস্য আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ সাধারন সভায় কার্যবিবরনী পাঠ করেন শাহ আলমগীর।
বিগত সাধারণ সভা আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শাহীন, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন স্মৃতি সাবোন, মোর্শেদ আমিনী মিলি ও ঘোষ। এর পর গঠনতন্ত্রের বিষয়বস্তুর উপর সকল স্কাউটরা আলোচনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপচার্য সাদমান সাদিক রকি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস যুগ্ন সম্পাদক-১ খশরুজ্জামান খান বাপ্পী, স্কাউটস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিশনার মোঃ সাহিদুল ইসলাম, স্কাউটাস এস কে শাহীন মাহমুদ, স্কাউটাস রেজাউল কাইউম স্বপনসহ প্রাক্তন স্কাউটস সদস্যবৃন্দ।
উক্ত সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন, নতুন প্রজন্মের স্কাউটদের উৎসাহ, স্কাউটিং আন্দোলন বিকশিত, প্রাক্তন স্কাউটসদের যুক্ত করা এবং সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ও কার্যবিবরণী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। প্রাক্তন স্কাউটস সমাজিক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর বক্তারা জোড় দেন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যদি বাধা আছে তাহলে বাধাদানকারীদের বুঝিয়ে ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাক্তন স্কাউটসদের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে অবহিতকরন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রদান ও সংগঠনের নতুন নামকরণে সাধারন সম্পাদকের নাম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
রিক্সা- ভ্যানের লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নে (রেজি নং- মৌ-০৪০)উদ্যেগে এক প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশসকের নিকট নয় দফা বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রমিক নেতা নাজমুল ইসলাম দারু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা সাহেদ মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কমরেড সাজিদুল ইসলাম।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন, টিইউসির জেলা সদস্য সচিব আল মামুন, সংগঠনের সহ-সভাপতি জয়নাল মিয়া, সহ-সম্পাদক রুহেল খান, সদস্য দুলাল মিয়া, হিরু মিয়া, কালাম মিয়া ও বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতা কালাম মিয়া প্রমুখ।সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শত বছরের পৌর সভায় রাস্তাঘাট নাই।রিক্সা-শ্রমিকদের ষ্ট্যান্ড বিভিন্ন ব্যাক্তি ও পতিষ্ঠান দখল করে ফেলেছে।অনতিবিলম্বে রিক্সা ষ্ট্যান্ড পিনঃ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বলেন রিক্সার লাইসেন্স নিয়ে দুরর্নীতি বন্ধের জন্য সকল রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকদের পৌরসভা থেকে লাইসেন্স এর পরিবর্তে মাসিক টোকেন ব্যবস্হা করতে হবে। রিক্সার লাইসেন্স নিয়ে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যানজট নিরসনের জন্য মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ, মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত ও শহর খালকে খনন করে নৌচলাচলের ব্যবস্হারও দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত আজ ৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কনফারেন্স রুমে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন। ডাক্তার মাহমুদুল হাসান এর উপস্থাপনায় “স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে : কাজ করি একসাথে” শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুমন ভূঁইয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেন ডাক্তার খোকন দেবনাথ। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সিনিয়র স্টাফ নার্স (শিশু বিভাগ ইনচার্জ) মোছাম্মত হেলেনা বেগম, নার্স মোছাম্মত রুনা আক্তার, হেলথ এডুকেটর মোঃ শরিফুল ইসলাম। পরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জেনারেল হাসপাতালে আগত রোগী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। উভয় কর্মসূচীতে অতিথিবৃন্দসহ ডাক্তার আজহারুর রহমান তুহিন, ডাক্তার শামীমা সুলতানা, ডাক্তার মারুফ হোসেন, ডাক্তার হিমেল এবং সাংবাদিক ও নার্সগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান জনসংখ্যা অনুপাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শয্যা (বেড) সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজনের ১০ ভাগের এক ভাগ মাত্র। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে আরো উন্নত করতে হবে। আমাদের স্ট্রাকচারাল উন্নয়ন হয়েছে। এখন দরকার মানসিক উন্নয়ন। দেশ থেকে মেধাবী সন্তানেরা চলে যাচ্ছে বিদেশে, এই একেবারে যাওয়াটা আমাদের জন্য দেশের জন্য ক্ষতির কারণ। স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে মোটিভেট দিয়ে রোগমুক্ত করতে হবে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন বর্তমানে শিশু মৃত্যু হার, মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে। পুষ্টিমান বেড়েছে, এই পুষ্টিমান বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সেবা গ্রহিতা ও সেবা দানকারীদের মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য সেবার মানকে বাড়িয়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজন সভাপতি, মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার মো: ইকরামুল হক (নাহিদ) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
জাবেদ রহিম বিজন এরআগে গত ১৬ আগষ্ট প্রেস ক্লাব সভাপতির শূন্য পদে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। দুপুর ১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাব কার্য নির্বাহী পরিষদের ১১ পদের মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অন্যান্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো: জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো: ইব্রাহিম খান সাদাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া বিল্লাল ও শাহজাহান সাজু।
২টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবুর রহমান খান ও সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী।
নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক এমদাদুল হক। তার সাথে ছিলেন জালাল উদ্দিন রুমি ও উজ্জল চক্রবর্তী।