চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে। গত ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া উপজেলা মডেল মসজিদসহ সারা দেশে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
তিন তলা ভীত বিশিষ্ট এ মসজিদটিতে প্রায় ১০০০ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। নামাজ ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের পূর্বে পাশে সড়কের দিক মুখ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তবে উদ্বোধন হলেও ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ চূড়ান্ত না হওয়ায় এবং কিছু কাজ বাকী থাকায় নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রমজানের ঈদের পরে নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর। নির্মিত অত্যাধুনিক এই মডেল মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১০০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।
নারীদের আলাদা ওজু ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। নারী ও পুরুষের নামাজ আদায় ছাড়াও থাকছে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, লাইব্রেরি, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, নারী ও হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে আখাউড়া উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামান্য পূর্বে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দক্ষিণ পাশে আধুনিক নির্মাণশৈলী ও নান্দনিক ডিজাইনে তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তাফা কামাল এন্ড মেসার্স নির্মাণ বিল্ডার্স আধুনিক এই মসজিদটি নির্মাণ করছে। ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যে জানা যায়, তিন তলা ভবনের নীচ তলা ১০ হাজার ৬০০ বর্গফুট, ২য় তলা ১০ হাজার ৬৭০ বর্গফুট এবং ৩য় তলা ৭ হাজার ৪১৫ বর্গফুট আয়তন রয়েছে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাদা রংয়ের তিন তলা ভবনটি নির্মাণ শৈলীর গুণে খুবই সুন্দর লাগছে। ভেতরে আলোকসজ্জাসহ কাঠের নকশার ডিজাইন খুবই আকর্ষণীয়। শ্রমিকরা সাইড ওয়ালের পাইলিংয়ের কাজে ব্যস্ত। মিনারের শেষ মুহুর্তের রংয়ের ফিনিংসের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে নির্মাণ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন দুলাল বলেন, মূল ভবনের কাজ প্রায় শেষ। রংয়ের ফিনিংসের কাজ চলছে। একটি সাইড ওয়াল এবং কালভার্ট নির্মাণ কাজ বাকী আছে। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোন সময় মূল ভবন বুঝিয়ে দিতে পারব।
আখাউড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার আব্দুল মতিন মোল্লা বলেন, মডেল মসজিদের জন্য ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেম নিয়োগ পক্রিয়াধীন আছে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই চলছে। রোজার ঈদের পরে লিখিত এবং ভাইবা পরীক্ষার পর নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপরই নামাজ আদায় শুরু হবে। ইমামের জন্য যোগ্যতা কামেল বা দাউরা হাদিস পাস এবং বয়স্ক অনুর্ধ ৪৫ বছর বলে তিনি জানান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, সরকার প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আখাউড়া মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সামান্য কাজ বাকী আছে। আশা করছি রমজানের ঈদের পরপরই মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শোনলৌহঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল ওই গ্রামের রকিব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক সম্মতিতে ৫ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইসমাইল। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত ইসমাইল তার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হন। এতে ইসমাইলের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে দুই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
স্ত্রী ছেড়ে চলে গেলে ইসমাইল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং চরম বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন। এ সময় বিষণ্নতা কাটাতে মাদক সেবনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন ইসমাইল। এ পরিস্থিতি কাটাতে তার পরিবার দীর্ঘদিন মানসিক চিকিৎসা করালেও কোনো সুফল পায়নি। পরে রবিবার সকালে নিজ বসতবাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে জনৈক ব্যক্তির কাঁঠালগাছের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা থানাপুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার এসআই মো. এরশাদ মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা আর নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আখাউড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত ১২ টা ১ মিনিটে আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারী ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থিত শহিদ মিনারের বেদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর একে একে শহীদ মিনারে পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, আখাউড়া প্রেসক্লাব, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, জাতীয় পার্টি, জাসদ, রেলওয়ে পুলিশ, আখাউড়া থানা পুলিশ, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিনব্যাপী আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ও মিলনায়তনে আলোচনা সভা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান,কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা দিবস ও একুশের বিভিন্ন থিম নিয়ে চিত্রাঙ্কন করেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুরে আলমসহ রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গায়ে কাঁটাযুক্ত এই ফল দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। এটি বিদেশী ফল রামবুটান।
আখাউড়ায় প্রথম বারের মত রামবুটান চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাস ফেরত রাজু আহমেদ মোল্লা। তিনি আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নাছির মোল্লার পুত্র। কৃষি কাজে রাজু মোল্লার খুবই আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ৮০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
এদিকে রাজু মোল্লার রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে ভীড় করেন। রাজু মোল্লার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে চাঁনপুর গ্রামে রাজু মোল্লার ফুলকলি গার্ডেন গাউসে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার পাতার ফাঁেক চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকাড়ে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশেও বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
চাষী রাজু আহমেদ মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মজীবন কাটিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি পরিবারের প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসেই হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়ি। তারপর কৃষিকাজটা মন থেকে বেছে নিলাম। হালাল পথে আয়-রোজগার করার এটা ভালো পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি প্রতিটি জায়গায় কৃষি এবং ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি। এটা করতে আমার ভালো লাগে। কৃষিকাজ-গাছের যত্ন করে আমার সময় কেটে যায়। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি ফল বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আল্লাহর রহমতে আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী এবং ভালো আছি।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে একটি রামবুটান ফলের চারা নিয়ে এসেছিলাম। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় চারাটি রোপন করে যাই। ৬/৭ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক বছর অল্প পরিমাণে ফল আসতো। নিজেরাও খেয়েছি। কিছু আত্মীয় স্বজনকে দিয়েছি।
এবছর প্রায় এক মন ফল এসেছে। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাম্বুটান ফল চাষ করতে বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয় না। লিচু গাছের মতই চারা রোপন করে দিলে আস্তে গাছ বড় হয়ে যায়। স্বাভাবিক যতœ নিলেই হয়। তবে এ গাছের শত্রু বাদুড়, ইঁদুর ও পাখি। এ জন্য গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হয়।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, রামবুটান ফলটি আখাউড়ায় কেউ বিক্রি করেনা। তবে ঢাকায় পাওয়া যায়। শুনেছি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রামবুটান ফলটি লিচু পরিবারের। এটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ও ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। ফলটির খোসায় হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। ফলটির ভেতরে লিচুর মতো শ্বাস থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং রয়েছে ঔষধি গুণও। আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকা রামবুটান চাষের জন্য উপযোগি।
বিশেষ করে যেখানে লিচু, কাঠাল ফল হয় সেখানে রামবুটান ভালো চাষ হবে। তিনি বলেন, চাষী রাজু মোল্লাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ ফল চাষ আখাউড়ায় আরও সম্প্রসারিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘দাঙ্গা হাঙ্গামা করবো না, অপরাধী হবো না’, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন, দাঙ্গা থেকে বিরত থাকুন’, ‘দাঙ্গা করবো না, জেল খাটবো না’, জনসচেতনা সৃষ্টিতে এমন সুন্দর নীতিবাক্য সম্বলিত ফেস্টুন হাতে সড়কে দাঁড়ালো একদল শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ স্কাউট আখাউড়ার শাখার আয়োজনে আজ ১৭ জুলাই সোমবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে ব্যতিক্রমী এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয় পৌরশহরের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার কাব ও স্কাউটরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কাউট কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষিকা। ছোটদের এ বড় আহবানের ব্যতিক্রমী আয়োজন পথচলতি সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা আখাউড়া উপজেলার অনেক সুনাম রয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে আখাউড়ারবাসী অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়।
এ সুনাম আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। কিশোর গ্যাং এবং মাদকে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য কিশোরদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এসবে সম্পৃক্ত হয়ে তারা যেন দাঙ্গায় জড়িত না হয়।
কারণ দাঙ্গা-হাঙ্গামা কখনও শান্তি বয়ে আনে না। আর আমাদের সমৃদ্ধির জন্য সবার আগে সামাজিক ও মানসিক স্থিতিশীলতা দরকার। আজকের ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে দাঙ্গা বিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউট, আখাউড়া উপজেলা শাখার সম্পাদক, মোঃ ইলিয়াছ খান, কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার কাজী সাফিয়া খাতুন, প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রাশেদুজ্জামান প্রমুখ। আয়োজকরা সপ্তাহজুড়ে এ ক্যাম্পেইন চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যারা জয়লাভ করেছেন- তাদের জোট বাধা না বাধার বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল কাকে বলা হবে, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৮ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা সদরের মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
৭ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয়লাভ করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে ১১টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি আসনে জয়লাভ করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অবস্থান কী হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তারা নিজেরা জোট করবেন নাকি আলাদা থাকবেন- সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্কার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিরোধী দল কে, কাকে বলা হবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এ সময় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।