অনলাইন ডেস্ক :
নতুন একটি আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির স্থল শাখা।
নতুন এই ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে মিরাজ-৫৩২ এবং ইরানের তরুণ বিশেষজ্ঞরা এই ড্রোনের নকশা ও উৎপাদনের কাজ করেছেন।
আইআরজিসির স্থল শাখার গবেষণা ও স্বনির্ভর জিহাদ অর্গানাইজেশনের প্রধান জেনারেল আলী কুহেস্তানি বলেন, এই ড্রোনে একটি পিস্টন ইঞ্জিন রয়েছে এবং একমুখী পথে এর পাল্লা হচ্ছে ৪৫০ কিলোমিটার।
তিনি জানান, কামিকাযে এই ড্রোন ১২ হাজার ফুট ওপর দিয়ে টানা তিন ঘণ্টা উড়তে পারে। এ ছাড়া, ড্রোনটি গাড়ির উপর থেকে উড্ডয়ন করা যায়।
জেনারেল কুহেস্তানি বলেন, এই ড্রোন ৫০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
এ ছাড়া, ড্রোনটি খুব সহজ পদ্ধতিতে নির্মিত এবং অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায়। ফলে এই ড্রোনকে ব্যবহারে আনার জন্য অল্প সময় প্রয়োজন হয়।
সূত্র : ইরনা
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে একটি তিনতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ে নয় জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুলতানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি বহুতল পুরানো ভবন ধসে একজন শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
জেলাটির জরুরি কর্মকর্তা ডাঃ কলিমুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মুলতানের হারাম গেট এলাকায় একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ে এবং ১০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে।
’ ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও তাদের তিন মেয়েসহ একই পরিবারের সাত সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ধসে পরার পর জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করেন। রেসকিউ ১১২২-এর আটটি গাড়ি এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নয়টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ভবন ধসে পড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানহীন উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
সাধারনত খরচ কমাতে নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো উপেক্ষা করা হয় সেখানে। ২০২০ সালের জুনে দেশটির বৃহত্তম শহর করাচিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধসে ২২ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া, সামা টিভি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী ফ্রেন্ডস তারকা অ্যানিস্টনের সাথে এমন একজনের প্রেমের গুঞ্জন উড়ছে, যা চমক তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিটি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ডেইলি মেইল লিখেছে, ওবামার সাথে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে টক শো জিমি কিমেল লাইভে এসে অ্যানিস্টন বলেছেন, এ ধরনের কথা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো ফোন পেলে তিনি রীতিমত আকাশ থেকে পড়েন।
অ্যানিস্টন বলেন, আমি মোটেও এই গুজবে বিরক্ত হইনি। আমার তখন মনে হয় এসব আবার কী হচ্ছে! অথবা জানতে পারবেন কোনো সস্তা ট্যাবলয়েড একটা গল্প বানিয়েছে, আর তারপর যা হবার তাই।
এই আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল ইন্টাচ ম্যাগাজিনের শিরোনাম। যে শিরোনামে লেখা ছিল ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট জেন অ্যান্ড বারাক’। ওই গুজব ফের ডালাপালা মেলেছে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়।
ওমাবা পরিবারের সাথে মেলামেশার কথা জানিয়েছেন অ্যানিস্টন। তিনি বলেন, আমি মিশেলকে (বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা) তার স্বামীর চেয়ে বেশি চিনি। বারাক ও মিশেলে ‘বিচ্ছেদ গুজবে’ উঠে এসেছে এই অভিনেত্রীর নাম।
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন সিরিজের মধ্যে জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ ‘ফ্রেন্ডসে’ অভিনয় করে দারুণ খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন অ্যানিস্টন।
এ অভিনেত্রী সম্পর্কে জড়িয়েছেন হলিউডের অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সাথে। পরে পিট ও অ্যানিস্টন বিয়েও করেন ২০০০ সালে। আর সংসার জীবন থেকে দুই অভিনয় শিল্পী বিচ্ছেদ নেন ২০০৫ সালে।
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
৫২ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন জাতীয় প্রতিরক্ষার তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আফগান ও ইরাক যুদ্ধের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ করে আসছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে কারাগারে ছিলেন। এখানে বসেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।
অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কোনো সময় ব্যয় করতে হবে না এবং যুক্তরাজ্যে বন্দি থাকার ফলে সে সুবিধা পাবে। বিচার বিভাগের চিঠি অনুযায়ী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন।
২৪ জুন সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বালমার্স কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১ হাজার ৯০১ দিন তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বিকালে তিনি যুক্তরাজ্যের যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকেই তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২১ জুন শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ ঘোষণা দেন। পাল্টা বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছেন।
ইরানে হামলার পর ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় পূর্ণমাত্রায় বোমা বর্ষণ করেছে এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরে গেছে।
তারপরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে তেহরান থেকে। গত ১৮ জুন বুধবার খামেনী টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, দেশটি যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে যা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে। ভাষণটিই শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণার পর খামেনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রকাশ করা হয়। খামেনি কোথায় সেটি স্পষ্ট না হলেও তার বার্তার মাধ্যমে তেহরান ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে চায়।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, ক্বোম প্রদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশ শত্রু বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্বোম প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোরতেজা হেইদারী বলেন, শত্রুর লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত হওয়ার পর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যায় এবং ফোরদোর একটি অংশে বিমান হামলা হয়।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা নাতানজ ও ইসফাহানেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসফাহানের গভর্ণরের সহকারী আকবর সালেহি বলেন, নাতানজ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে স্পষ্ট, ওই এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
এসব স্থাপনায় তেজস্ক্রিয় কোনো উপাদান ছিল না বলে দাবি করেছে ইরান। ইরনা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেগুলোয় এমন কোনো পদার্থ ছিল না যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করতে পারে।
ওই কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলার সম্ভাবনার কথা আঁচ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ পূর্বেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামসহ সব তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে নিয়েছিল। ফলে বোমার আঘাতে পরিবেশগত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হয়নি।