মহারাষ্ট্রে গাছ উপড়ে পড়ে ৭জন নিহত

আন্তর্জাতিক, 10 April 2023, 1179 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের চাপায় সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরো পাঁচজন।

banner

আজ ১০ এপ্রিল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের আকোলায় একটি টিনের চালায় গাছ পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহারাষ্ট্রের আকোলায় একটি মন্দিরের সামনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গাছ উপড়ে পড়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। প্রবল বৃষ্টি এবং জোরালো বাতাসের কারণে পুরানো একটি নিম গাছ টিনের শেডের ওপর ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় টিন শেডের নিচে বহু ভক্ত আশ্রয় নিয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, শেডের নিচে চাপা পড়েন ৩৫ থেকে ৪০ জন। তাদের মধ্যে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন।

এ ঘটনায় আরো পাঁচজনকে আহত অবস্থায় আকোলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস এ মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।

ফডনবীস বলেছেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের গাছচাপা পড়া এবং কিছু ভক্ত নিহত হওয়ার ঘটনা বেদনাদায়ক। নিহতদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। ’

তিনি আরো বলেন, ‘কালেক্টর ও পুলিশ সুপার অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:উপজেলা কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

চলারপথে রিপোর্ট : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাহমিনা আক্তার বলেছেন, আমাদের Read more

স্থলবন্দর দিয়ে এলো ৫ টন ভারতীয়…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো ৫ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : “অলিম্পিক খেলায় জয় লাভই বড় কথা নয়, Read more

নাসিরনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র Read more

সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের…

অনলাইন ডেস্ক : জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে Read more

লুও ফুলির মস্তিষ্কেই ডিপসিকের রহস্য!

অনলাইন ডেস্ক : চীনের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ডিপসিক Read more

বিদেশি পিস্তলসহ একজন আটক

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে একটি বিদেশি Read more

নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণ

চলারপথে রিপোর্ট : খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে উৎসবমুখর Read more

নবীনগরে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে Read more

হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজবাড়ীতে ৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত Read more

বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি Read more

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শিব্বীর আহমেদ’র ৫টি বই

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ও Read more

বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 29 January 2025, 67 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তিনি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

banner

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, আমরা আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনকে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

বাংলাদেশে বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি জানি বাংলাদেশ ব্যবসা, চাকরি এবং উভয় দেশের বাজারে ভোক্তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারিত্বকে আরো উন্নত করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগ এবং বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সােথ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ’।

স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে বুক পেতেছিল ছাত্র-জনতা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 27 September 2024, 325 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে।

banner

আজ সেপ্টেম্বর ২৭ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস।

ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছিল। আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে।

বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও তরুণরা বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন আমাদের তরুণীরা। স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্ক চিত্তে উৎসর্গ করেছিল তাদের জীবন। শত শত মানুষ চিরতরে হারিয়েছে তাদের দৃষ্টিশক্তি। আমাদের মায়েরা, দিনমজুরেরা ও শহরের অগণিত মানুষ তাদের সন্তানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিলেন রাজপথে। তপ্ত রোদ, বৃষ্টি, মৃত্যুভয় তোয়াক্কা না করে তারা সত্য ও ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করার অশুভ ষড়যন্ত্র পরাভূত করেছিল। জনগণের এই আন্দোলনে আমাদের জানা মতে আট শতাধিক জীবন আমরা হারিয়েছি স্বৈরাচারী শক্তির হাতে।

কলা দেখলে ভয় পান সুইডেনের মন্ত্রী পাওলিনা!

আন্তর্জাতিক, 26 November 2024, 134 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বে কেউ উঁচু দালান দেখলে ভয় পায় আবার কেউ অন্ধকারে ভয় পায়। কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কেউ কি কখনো শুনেছেন? এবার বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ সমস্যার কথা শুনা যাচ্ছে। ওই ভীতিতে ভুগছেন সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের।

banner

তিনি বিরল কলা-ভীতির সমস্যায় আক্রান্ত। একে বলা হয় ‘ব্যানানাফোবিয়া’। সেই কারণে তার সরকারি সফরের সময় আশপাশ থেকে সব কলা সরাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সফরের সময় তার কক্ষ থেকে আগে থেকেই সমস্ত কলা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুইডিশ সরকারি কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এমনই খবর জানায় বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্র্যান্ডবার্গের সহকারী কর্মকর্তারা ই-মেইলে অনুরোধ করেছেন, মন্ত্রীর উপস্থিতির আগে যেন কোথাও কলা না থাকে। ২০২০ সালে ব্র্যান্ডবার্গ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই তার বিশ্বের অদ্ভুততম কলা-ভীতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যদিও সেই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়।

কলা-ভীতি শুধু ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সুইডিশ রাজনীতিবিদ টেরেসা কারভালোও একই ধরনের ভীতিতে ভোগেন। কারভালো মজার ছলে উল্লেখ করেন যে, যদিও কর্মক্ষেত্রে নানা বিষয়ে তার এবং ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু কলা নিয়ে ভীতি তাদের মধ্যে একটি ‘সাধারণ শত্রু’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যানানাফোবিয়া খুবই বিরল একটি মানসিক সমস্যা। এর কারণে কলা দেখা বা গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথেই উদ্বেগ, মানসিক অস্বস্তি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইলে এটি শক্তিশালী অ্যালার্জি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও একে ফোবিয়া হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে পেশাগত সাহায্য নিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বিরল ফোবিয়ার মতো ব্যানানাফোবিয়ার কারণও অস্পষ্ট। তবে শৈশবে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে এই ভীতি জন্ম নিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের এই বিশেষ কলা-ভীতির খবর মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। মানসিক ফোবিয়া যে ধরনেরই হোক, তা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সুইডেনের সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিরল ফোবিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী সারলেন বাগদান

আন্তর্জাতিক, 15 February 2024, 572 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বান্ধবী জোডি হেডনের সাথে তার বাগদানের কথা প্রকাশ করেছেন।

banner

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৬০ বছর বয়সী আলবানিজ একটি লাভ হার্ট ইমোজির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ‘তিনি (তার বান্ধবী) হ্যাঁ বলেছেন।’

ঘোষণার নীচে তিনি একটি সেলফি পোস্ট করেছেন, যেটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তোলা হয়েছে। এই জুটিকে ছবিতে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।
হেডন পান্না সবুজ পোশাক পরেছে এবং হেডন তার হাত আলবানিজের বুকে রেখেছেন। তার আঙুলে বাগদানের একটি আংটি দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী একটি হালকা-নীল কালার শার্ট পরেছেন।

সরকারী সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, ২০২০ সালে মেলবোর্নের একটি ব্যবসায়িক নৈশভোজে হেডনের সাথে আলবেনিজের দেখা হয়েছিল। তিনি হলেন প্রথম অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালীন বাগদান করলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং পোস্ট করে বলেছেন,‘ভালবাসা একটি সুন্দর জিনিস। আমি তোমাদের উভয়ের জন্য খুব খুশি!’

অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ এবং ইংরেজ সেলিব্রিটি শেফ নাইজেলা লসনসহ অন্যদের কাছ থেকে দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে অভিনন্দন ছড়িয়ে পড়ে।

অনলাইন সমালোচকরা বলেছে, আলবেনিজ গাজার যুদ্ধসহ চাপের বিষয়গুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

আলবেনিজ, ডাকনাম আলবো, হাই স্কুলে থাকাকালীন বাম রাজনীতি কেন্দ্রিক লেবার পার্টিতে যোগদান করেন এবং পরে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ২০২২ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব

আন্তর্জাতিক, 1 July 2024, 295 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে আরো সৌদি বিনিয়োগের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।

banner

আজ ১ জুলাই সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বাংলাদেশে বিশেষত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. শফিকুর রহমান ও মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর) মো. আরিফ নাজমুল হাসান এবং সৌদি কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।

সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে গাজাতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তারা।