চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির পুর্নগঠন প্রক্রিয়ার যুগ্ম মহাসচিব ও এরশাদ ট্রাস্টের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল আজ ১০ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবু কাউসার খানের সঞ্চালনায় পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হক শেরিন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ মোশারফ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ কবির ফারুক, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ছদর উদ্দিন, সদস্য মেরাজ মৃধা, গাজী জামান, সৈয়দ কুতুবুল আলম, পৌর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সৈয়দ রুহুল আমিন, মাজেদ আলী, ছাত্র সমাজের আহবায়ক রাকিব উদ্দিন, সদস্য সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রতিুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির সার্বিক উন্নয়নের কার্যক্রমকে আরো বেগবান ও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি উন্নয়নের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে জেলার সকল সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. জুয়েল নামে এক হাজতি। আজ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। মৃত মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চাঁন মিয়ার ছেলে। জুয়েল ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম নিবাসী, বিশিষ্ট সালিশকারক, বর্ষীয়ান মুরব্বি, ৭নং তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আজ ৫ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৫ ছেলে, ৬ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। আজ বাদ আসর অষ্টগ্রাম বাজার মসজিদ প্রাঙ্গণ মাঠে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কয়েকদিন ঝড়ো হাওয়ার সাথে হালকা হতে মাঝারী বৃষ্টিতে জলবায়ুর চলমান অবস্থার সাথে প্রখর সূর্যের অসহনীয় তাপপ্রবাহে খানিকটা শীতল প্রবাহ বয়ে যাবার পর আবারও প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ তাপপ্রবাহে গরমের পারদ বেড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যখন ৩৫ হতে বেড়ে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বিরাজ করছে, ঠিক সে সময় জনসচেতনতায় উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস।
আজ ২৫ মে শনিবার দুপুরে সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলাম (বকুল) এর নেতৃত্বে ৩ কর্মকর্তা-স্বাস্থ্যকর্মীর একটি টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের বিভিন্ন স্পটে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় “গরম যখন চরমে সবাই চলি নিয়মে” প্রতিপাদ্যে প্রচন্ড গরমে স্বাস্থ্য বার্তা শিরোনামে ৬টি নির্দেশনাযুক্ত করণীয় বিষয় উল্লেখিত সহস্রাধিক রঙিন প্রচারপত্র পথচারীদের মধ্যে বিতরণ করেন।
এতে মুদ্রিত নির্দেশনায় রয়েছে : তীব্র গরমে ঘরের বাইরে গেলে সাদা ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন, সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন। শরীরে পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন এবং প্রচুর খাবার গ্রহণ করুন। শিশু, গর্ভবতী মা, বয়স্ক ও মারাত্মক ঝুঁকিপুর্ণ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল করুন। গরমের সময়ে ঢিলেঢালা পাতলা সুতি পোশাক পরিধান করুন, গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে “স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে” যোগাযোগ করুন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের এই কার্যক্রম পথচারী সবার প্রশংসা অর্জন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক ও সূধী সমাজের উদ্যোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবন্ধনে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়। আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এশিয়ান টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, ওর্য়াকার্স পার্টির সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুবেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয় প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিককে আটক করে দেশ চলতে পারে না, গণতন্ত্র টিকতে পারে না। সাংবাদিকদের টার্গেট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সংখ্যালঘুদের আটকের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। সাংবাদিক শামসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল মামলার কোনো প্রাইমেসি নেই।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে অবিলম্বে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের রজত জয়ন্তী আজ ১ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপাল সূত্রধর।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ তাজুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।