আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই : অ্যাড. কামরুল ইসলাম

রাজনীতি, 11 April 2023, 718 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোন আলোচনা নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আওয়ামী লীগ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় বা প্রতিহত করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের দেশের মানুষের প্রতি আস্থা নেই, তাদের আস্থা বিদেশীর উপর। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের তিন হাজার দুস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ইদ উপহার বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নুরে আলম, ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সাইদুল মাদবর প্রমুখ।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে যারা বিজয়ী হলেন

জাতীয়, রাজনীতি, 29 May 2024, 356 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।

আজ ২৯ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

তৃতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।

বগুড়া: জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশিষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শাজাহানপুরে পুনরায় প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
সদরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক (ঘোড়া), শাজাহানপুরে সাজেদুর রহমান শাহীন (ঘোড়া) ও ফিরোজ আহমেদ রিজু (মোটরসাইকেল) ছিলেন।

বুধবার রাত ৮টায় তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কমকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ: জেলার তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহিন।
তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।

সাতক্ষীরা: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ৮টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মেহেদী হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

আচরণবিধি লঙ্ঘন : মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সাকিবসহ ১২ জনকে ইসির শোকজ

জাতীয়, রাজনীতি, 30 November 2023, 774 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তিনজন মন্ত্রী, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ ১২ প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যেই শোকজের জবাব দিতে বলেছে ইসি।

আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-২ আসনের সংসদ জাহিদ আহসান রাসেল ও ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী (ক্রিকেটার) সাকিব আল হাসান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সংসদ সদস্য ঢাকা-৬ আসনের কাজী ফিরোজ রশীদকে শোকজ করা হয়।

এর মধ্যে আচরণবিধি ভেঙে অস্ত্রধারীসহ শোডাউন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান গতকাল বুধবার ঢাকা থেকে মাগুরায় আসার সময় কামারখালী এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকেন। তিনি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে তাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সাংবাদিকের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ এসেছে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মোস্তাফিজ সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে শোকজ করেছে ইসি।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকেও শোকজ করেছে ইসি।

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আখাউড়া, কসবা, জাতীয়, নাসিরনগর, বিজয়নগর, রাজনীতি, সরাইল, 9 January 2023, 6037 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ জানুয়ারি সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’
এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’
জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা-আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছিলো। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে সরকার পরিচালনা করে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বাসস।

বিএনপির সঙ্গে আমরা খেলতে চাই: তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতি, 8 May 2023, 770 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয়ে যায়।

আজ ৮ মে সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসীর মনে যে প্রশ্ন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোভাব যখন ব্যক্ত করেছেন, তখন সরকারের মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয়ই পরিষ্কার হয়েছে।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো পালিয়ে বেড়াক সেটা আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয় যায়। এটিই হচ্ছে দুঃখজনক।

বিএনপির দাবি মেনে নিয়ে তাদের নির্বাচনে আনা সম্ভব কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আবদারটা হচ্ছে মূলত, তারা নানা ভাষায় বলে, নানা ছুতোয় বলে, নানা কৌশলে বলে। কিন্তু তাদের সব কথার সারমর্ম হচ্ছে- তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হবে। সে নিশ্চয়তা দরকার। সেটিতো নির্বাচন কমিশন ও জনগণ দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হয় সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে আশা করব বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।

বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, সে আন্দোলনে অংশ নিতে আসনের বণ্টন চাচ্ছে দলটির শরিক দলগুলো। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিকরা আসন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপিকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কি না।

তিনি বলেন, শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে, তার মানে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এটি।

এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর লাগবে: ফখরুল

রাজনীতি, 2 June 2023, 547 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারে নাই। এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর লাগবে।

কারো আয় করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল বা টিআইএনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এমন সেবাগ্রহীতাদের ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর দিতে হবে। বাজারে গেলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এদেরকে (সরকার) বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

আজ ২ জুন শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার কার্টুন দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন ভিক্ষুক, তার দুই পা কাটা, তিনি একটা থালা নিয়ে ভিক্ষা করছেন, আর বুকের মধ্যে একটা বোর্ডে লাগিয়েছেন তার টিন নম্বর। অর্থাৎ যারা আয়কর বহির্ভূত তাদেরও দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। তাদের টিন নম্বর দিতে হবে। এখন ভিক্ষা করতে হলেও টিন নম্বর লাগবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এইভাবে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পকেট কেটে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে এটা একটা বাস্তবতা বিবর্জিত বাজেট। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।

বাজেটকে গোঁজামিলের বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী (অর্থমন্ত্রী) বলছেন চমৎকার বাজেট। সরকার বলছে সুন্দর বাজেট। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে, এই বাজেট মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে নাই।

অর্থনৈতিক সংকটে যে বাজেট হওয়া দরকার ছিল সেই বাজেট দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, কীভাবে টাকা আসবে, কোথা থেকে আসবে তার সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বাজেটে। এটা ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এরা সব সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে টিকে থাকতে চায়। আজও তারা এই কাজ করেছে।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দেন। নইলে জনগণ কীভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা ভালোভাবে জানে।